2021-07-31 19:58:31
শাম ও ইরাকের বাহিরের ভাইদের কর্মপদ্ধতিঃ .
যে সকল মুসলিম শাম ও ইরাকের বাইরে আছেন আমি তাদের বলব,
আপনারা খৃষ্টানদের বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানুন। এটি করতে বিন্দুমাত্রও দ্বিধাগ্রস্থ হবেন না।.
এই আঘাত কেন করবেন? কারণ, পশ্চিমা খৃষ্টান রাষ্ট্রগুলো ইরাক ও আহামের আগ্রাসনের নেতৃত্ব দিচ্ছে। অন্যরা তাদের আদেশ পালন করছে। আমরা যদি মাথায় আঘাত হানতে পারি তাহলে ডানা ও দেহ দুটোই ধরাশয়ী হবে। এ যুদ্ধ যদি তাদের ঘরে সংক্রমিত করা যায় তবে অবশ্যই তারা লেজ গুটাতে বাধ্য হবে এবং তাদের সমরনীতি নিয়ে নতুন করে ভাবতে বাধ্য হবে।আমরা মনে করি এখন পশ্চিমা খৃষ্টানদের বিভিন্ন স্বার্থে আঘাত হানা উচিৎ এবং যুদ্ধকে তাদের দেশে স্থানান্তর করা উচিৎ। তাদেরকে বুঝিয়ে দেয়া দরকার যে, তারা যেভাবে বোমা বর্ষণ করছে সেভাবে নিজেরাও বোমা বর্ষণের শিকার হবে। যেভাবে তারা অন্যদেরকে হত্যা করছে সেভাবে তাদেরকেও হত্যা করা হবে। তারা যেভাবে অন্যদের ক্ষত-বিক্ষত করছে তাদেরকেও সেভাবে ক্ষত-বিক্ষত করা হবে। তারা যেভাবে ধ্বংসযজ্ঞ, জ্বালাও-পোড়াও করছে তারা সেভাবে ধ্বংসযজ্ঞ, জ্বালাও-পোড়াওয়ের শিকার হবে। তাদেরকে বুঝিয়ে দিতে হবে- পরাজয়ের স্বাদ কতটা তিক্ত হতে পারে। অনেক মুসলিম যুবক যুদ্ধের ময়দানে যেতে পারছে না বলে আক্ষেপ করছে। আ ফ গা নি স্তা ন, ওয়া জি রিস্তান, ইরাক, শাম, ফি লি স্তিন, ইয়ে মেন, সোমা লিয়া, কা শ্মী র, চেচ নিয়া এবং সমগ্র মুসলিম বিশ্বের ধ্বংসযজ্ঞের চিত্র দেখে দেখে তাদের অন্তর ক্ষোভে ফুঁসছে। আবার অনেকে ইস্তেশহাদী হামলার জন্য প্রস্তুত হয়ে আছে।
তাদের করণীয় হচ্ছে পশ্চিমা দেশসমূহে আক্রমণ করা। তাদের অর্থনৈতিক কেন্দ্র এবং শিল্প কারখানায় আক্রমণ করা।.
বিস্ফোরক ছাড়াও কখনো কখনো ইস্তেশহাদী হামলা সম্ভব। আর যদি বিস্ফোরকের প্রয়োজন হয়ও তাহলে তা প্রচলিত বিস্ফোরক হতে হবে এমন কোন কথা নেই। বিস্ফোরক ছাড়া বা প্রচলিত বিস্ফোরক ছাড়া হামলার যেসকল উপায় রয়েছে সেগুলো বিবেচনায় রাখা যেতে পারে এবং চিন্তাভাবনা ও গবেষণার মাধ্যমে আরো অনেক পন্থা উদ্ভাবন করা যেতে পারে। এ ময়দানে নিকট অতীতে অনেক জানবাজ স্থাপন করে গেছেন অসংখ্য অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত। তাদের কয়েকজন হলেন, রমজী ইউসুফ ও তার সঙ্গীগণ, মোহাম্মাদ আতা এবং তার সঙ্গীগণ, মোহাম্মাদ সিদ্দিক খান, শেহজাদ তানভীর, নিদাল হাসান, ওমর ফারুক, তামারলার ও তার ভাই যোখার সারনায়েত, মুহাম্মাদ মারাহ ও প্যারিস হামলার রূপকারগণ। সুতরাং কেন আমরা তাদের পদাঙ্ক অনুসরণ করছি না এবং যুদ্ধের একাধিক প্ল্যাটফর্ম তৈরি করছি না? এই পন্থায় যারা কিছু করতে আগ্রহী তাদের জন্য ময়দানে যাওয়ার প্রয়োজন নেই। এমনও হতে পারে যে,
আপনার দুকদম সামনেই জি হা দের ক্ষেত্র তৈরি হয়ে আছে। তাছাড়া জিহাদের ময়দানে পৌঁছতে গেলে শত্রুদের প্রযুক্তির চোখে ধরা পড়তে পারেন।
সুতরাং আল্লাহর সাহায্য প্রার্থনা করুন। দুর্বলতাকে প্রশ্রয় দেবেন না। এ ধরনে আক্রমন পরিচালনা করতে আস-সাহাম মিডিয়া পরিবেশিত ‘ফা ক্বতিল ফী সাবিলিল্লাহ লা’ অডিও/ভিডিও বার্তা এবং আল-মালাহীম মিডিয়া পরেবেশিত ‘হাররিদ’ বা Inspire সাময়িকী থেকে আপনারা কৌশলগুলো এর সমৃদ্ধ করে নিতে পারেন।
.
খৃষ্টান দেশে বসবাসকারী হে মুসলিম ভাইয়েরা!
আপনারা কিতালের শরীত নীতিমালা শিক্ষা করুন। তারপর শরীয়ত অনুমোদিত টার্গেট খুঁজে বের করুন। উপযুক্ত উপকরণ সংগ্রহ করুন এবং ই’দাদ গ্রহণ করুন। আর সাবধান, কাছের মানুষটিকেও আপনার সংকল্প সম্পর্কে অবহিত হতে দিবেন না। মুসলমানদের ভিতরে ঘাপটি মেরে থাকা গুপ্তচরদের ব্যাপারে সতর্ক থাকুন। তারপর দৃঢ় সংকল্প নিয়ে সামনে অগ্রসর হোন। আল্লাহর হুকুমে বিজয় আপনারই হবে। মোবারকবাদ জানাই বাইতুল মাকদিসের ভাইদেরকে! তারা অতি সাধারণ অস্ত্রের মাধ্যমে নিজেদের ফারীজা পালন করে যাচ্ছেন। নিজেদের ভঙ্গুরদশা ও দুর্বলতা সত্বেও তারা মুসলিম উম্মাহর সামনে এক অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।
.
- শাইখ আ য় মা ন আয যা ও য়া হি রি ইসলামী বসন্ত
@SheikhAymanBn
1.1K views16:58