Get Mystery Box with random crypto!

আন নুসরাহ - النصرة

टेलीग्राम चैनल का लोगो talibtimes2bn — আন নুসরাহ - النصرة
टेलीग्राम चैनल का लोगो talibtimes2bn — আন নুসরাহ - النصرة
चैनल का पता: @talibtimes2bn
श्रेणियाँ: राजनीति
भाषा: हिंदी
ग्राहकों: 3.02K
चैनल से विवरण

আসসালামুয়ালাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ☝
নিয়মিত মজলুম উম্মাহ ও মুজাহিদীনের যাবতীয় খবরাখবর জানতে আমাদের "আন নুসরাহ || AN Nusrah" চ্যানেলের সাথেই থাকুন ইং শা আল্লাহ।

نحن الذین بایعوا محمدا
علی الجھاد مابقینا ابدا

Ratings & Reviews

3.67

3 reviews

Reviews can be left only by registered users. All reviews are moderated by admins.

5 stars

1

4 stars

1

3 stars

0

2 stars

1

1 stars

0


नवीनतम संदेश 2

2022-02-06 23:08:32
490 views20:08
ओपन / कमेंट
2022-02-06 22:33:37 দ্বীন প্রতিষ্টার লক্ষ্যে যেসব বীরগন উম্মাহর বিভীষিকাময় মূহুর্তে জিহাদের পুনর্জাগরণ করেছেন তাঁদের লেখনীগুলোর সমাহার।

সবাই সাবস্ক্রাইব করতে পারেন ইনশাআল্লাহ

https://t.me/IQAMATEDEEN
501 views19:33
ओपन / कमेंट
2022-02-06 19:47:10 তরুণদের কামের আগুনকে উসকে দিচ্ছে। ইন্টারনেট প/র্নোগ্রাফির সহজলভ্যতার কারণে পা হড়কানো দুটো মাউসের ক্লিকে র ব্যাপার মাত্র। এ রকম এক অস্থির পৃথিবীতে হয়তো আপনার সন্তান, ছোট ভাই-বোন, কাযিনও রক্ষা পায়নি প/র্ন ভিডিও, হ/স্তমৈথুন কিংবা চটি বইয়ের কবল থেকে। হয়তো আপনার আশেপাশে আপনার সন্তান, ছোট ভাই-বোন, কাযিন হ/স্তমৈথুন, প/র্ন ভিডিওতে আসক্ত হয়ে বিভীষিকাময় জীবন পার করছে। সে তার কষ্টগুলো হয়তো আপনাকে বুঝতে দিচ্ছে না, হাসিমুখের আড়ালে আপনার কাছ থেকে গোপন করে রেখেছে তার এ অন্ধকার পৃথিবী।
.
তার সঙ্গে বন্ধুর মতো মিশুন। তার আস্থা অর্জন করুন, তাকে তিরস্কার না করে, লজ্জা না দিয়ে তার অন্ধকারের গল্পগুলো শুনুন, তার কষ্টগুলো অনুভব করুন। বাড়িয়ে দিন সাহায্যের হাত।
.
আপনার সাহায্য তার খুব প্রয়োজন।
.
খুব বেশি প্রয়োজন!
-

ভাই আমার, নীল অন্ধকারে আর কতোকাল মাথাকুটে মরবে? কেন তুমি শুরু করছোনা আলোর পথে তোমার সেই অভিযাত্রা? কবে তুমি বের হবে মুক্ত বাতাসের খোঁজে? একবার বের হয়েই দেখনা… মিতালি হবে ঘাসফড়িং আর শিশিরের সঙ্গে।পাবে নীলাকাশ, ঘাসফুল। পাবে মাটি,মানুষ, মৌলিক ভালোবাসা। পাবে ধ্রুপদী আনন্দ। আনন্দম আনন্দম আনন্দম……!

@Pornographyisathreattohumanity
536 views16:47
ओपन / कमेंट
2022-02-06 12:30:59
ইমামুল মুজাহিদীন শাইখ উ--সা--মাহ্ রহিমাহুল্লাহ, এক মুবারক কসম খেয়ে বলেছিলেন

أقسم بالله العظيم الذي رفع السماء بلا عمد لن تحلم أمريكا ولا من بعيش في أمريكا بالأمن قبل أن نعبشه
و واقعا في فلسطين وقبل أن نخرج جميع الجيوش الكافرة من أرض محمد صلى الله عليه و سلم
অনুবাদ : "মহান আল্লাহ তায়ালার নামে কসম করে বলছি, যিনি আসমানকে খুটিবিহীন দাঁড় করিয়েছেন। আমেরিকা ও আমেরিকাতে বসবাসরত লােকেরা কখনাে শান্তির স্বপ্নও দেখতে পারবে না, যতক্ষণ না আমরা ফিলি/স্তিনে বাস্তবে শান্তিতে বসবাস করতে পারবো এবং মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের জমিন থেকে সকল কাফির সৈন্যকে প্রত্যাহার করে নেয়া হবে"

@Talibtimes2bn
607 views09:30
ओपन / कमेंट
2022-02-05 22:30:56 বিশ্ব বেহায়া দিবস উপলক্ষে লিফলেট চাপানো হয়েছে
85 views19:30
ओपन / कमेंट
2022-02-05 22:30:56
আলহামদুলিল্লাহ!

যিনা দিবস উপলক্ষ্যে লিফলেট ডিজাইন করা হয়েছে। তরুণ- তরুণী কিশোর কিশোরীদের মধ্যে এই লিফলেট ইনশা আল্লাহ্‌ বিলি করতে পারবে। খুব চমৎকার দাওয়াহ হবে ইনশা আল্লাহ্‌।
.
লিফলেট ডাওনলোড লিংক- https://drive.google.com/drive/folders/11rVitH_4NwsLtTqWDIamWnZZJKJQpbSI?fbclid=IwAR1Yd5T6qxLTFPRBJibqcG41Ady9VD66TxuJls-ilcd_exEvBpfHbHaWE4w
.
প্রিন্ট করে বিতরণ শুরু করতে পার ইনশা আল্লাহ্‌। যারা নিজেরা প্রিন্ট করতে চাও না তারা সংগ্রহ করতে পার Ummah Point এর কাছ থেকে।
.
#ভালো_হোক_ফেব্রুয়ারি
#fight_against_filth
85 views19:30
ओपन / कमेंट
2022-02-05 12:11:06
তিনি চলে গিয়েছেন। তার ভুল ও অপরাধ তার সাথে চলে গিয়েছে। সেটা আমাদের আলোচ্যবিষয় নয়। আমাদের আলোচ্যবিষয় হল সেই সমাজব্যবস্থা যা তাকে এই অপরাধ করতে উৎসাহিত করল। সামাজিকভাবে প্রতিষ্ঠিত একজন মানুষ আত্মিক প্রশান্তি না পেয়ে হতাশায় ভুগে আত্মহত্যা করে ফেলছে। যে সমাজব্যবস্থা আমাদের সন্তানদের স্বার্থপর হিসেবে গড়ে তোলে, পারিবারিক বন্ধন চুরমার করে দিতে যে সমাজব্যবস্থা সকল পন্থা অবলম্বন করে, সে সমাজের পরিণতি এমন হওয়াটাই স্বাভাবিক। মানুষের সকল হতাশা, বিষণ্ণতা, ব্যর্থতার একমাত্র সমাধান হল ইসলাম। যখন মানুষের ব্যক্তিগত জীবনে, পারিবারিক জীবনে, সাংসারিক জীবনে, সামাজিক জীবনে, রাষ্ট্রীয় জীবনে একমাত্র আল্লাহ ও রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সালামের আধিপত্য প্রতিষ্ঠিত হবে, আমাদের সন্তানদের শিক্ষাদীক্ষার মাধ্যম হবে ইসলাম। কেবল তখনই শান্তি ও স্থিরতা অর্জন হতে পারে। দ্বীন ও ঈমানের সাথে যুদ্ধ ঘোষণাকারী সমাজব্যবস্থায় থেকে শান্তি লাভের একমাত্র উপায় হল এই সমাজব্যবস্থার সাথে যুদ্ধ ঘোষণা করা। পাশ্চাত্য সভ্যতার বানানো জীবনব্যবস্থা যতই আকর্ষণীয় হোক না কেনো এর ভেতরটা অশান্তি আর বিশৃঙ্খলায় ভরপুর। এই ধরণের ঘটনাগুলো আমাদেরকে বারবার মনে করিয়ে দেয় আল্লাহ তাআলার দিকে ফিরে যাওয়ার কথা। কিন্তু আমরা বুঁদ হয়ে থাকি নিত্যনতুন ইস্যু আর ট্রেন্ড নিয়ে। আর দোষারোপ করতে থাকি নিজের ভাগ্যকে।


"হে বুদ্ধিমান লোকেরা, তোমরা উপদেশ গ্রহণ করো।"
মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে আত্মহত্যা করতে প্রস্তুত লোকটি জানেই না আর এক মিনিট পরে সে কোন পরিস্থিতির সম্মুখীন হবে। সে জানে না এই জগত ছাড়ার সাথে সাথে সে কোন জগতে প্রবেশ করবে। ফেসবুক লাইভ দেখতে থাকা হাজারো মানুষ ভুলে থাকে তার কী হবে? পিস্তল দিয়ে গুলি করে দুনিয়া ছেড়ে চলে যাওয়া লোকটির স্থানে আমরা নিজেকে কল্পনা করে দেখি। দুচোখ বন্ধ হওয়ার সাথে সাথে আমার রুহ কাদের হাতে যাবে? দুনিয়া ছেড়ে যাওয়ার পর যে জগতে প্রবেশ করব সে জগত কি আমার শান্তির জগত হবে নাকি শাস্তির? ফিরিশতাদের জামাত কি আমাকে অভ্যর্থনা জানানোর জন্য অপেক্ষমান থাকবে নাকি শাস্তির ফিরিশতা আমাকে পাকড়াও করবে? আমার আমলের এই দুরবস্থা নিয়ে আল্লাহর সামনে দাঁড়ানোর সাহস হবে কি? কবরের নিশ্ছিদ্র অন্ধকারে আমার কোনো আমল কি আলো হয়ে দেখা দিবে??
এই ঘটনাগুলো থেকে আমরা শিক্ষা নিতে না পারলে আর কোন ঘটনা থেকে শিক্ষা নিব?
আমরা চাই না, মুসলিম উম্মাহর কোনো সদস্যের সাথে এমন ঘটনা ঘটুক। চাই না, কোনো কালেমাওয়ালা মুসলিম এভাবে নিজেকে জাহান্নামের আগুনে নিক্ষেপ করুক। কাফেরদের সাংস্কৃতিক এই আগ্রাসনের শিকার অজ্ঞ মুসলিম সমাজকে বাঁচানোর জন্য আমাদেরই এগিয়ে আসতে হবে। আমার পিতা, মাতা, ভাই, বোন, ছেলে, মেয়েকে কাফেরদের আগ্রাসী ছোবল থেকে বাঁচাতে আমাকেই কিছু করতে হবে। এই আগ্রাসী ছোবল থেকে বাঁচার একটাই পথ। ففروا إلى الله দৌঁড়াও আল্লাহর দিকে। পরিবার ও সমাজ সংশোধনের লক্ষ্যে সংস্কারমূলক কাজ করতে হবে। পরিবারে দ্বীন ও ঈমানের পরিবেশ তৈরি করতে হবে। ইসলামী সমাজ প্রতিষ্ঠায় সক্রিয় ভূমিকা রাখতে হবে। পাশ্চাত্য সমাজব্যবস্থার কুফল ও ভয়ংকর পরিণতি সম্পর্কে সকলকে সতর্ক করে ইসলামে ফিরিয়ে আনতে হবে। সর্বোপরি ইসলামি সমাজ প্রতিষ্ঠায় সহযোগী হতে হবে। অন্যথায় সময়ের পাতায় পাতায় এমন অসংখ্য ঘটনা জায়গা করে নিতে থাকবে।

আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে দুনিয়া ও আখিরাতের অমঙ্গল থেকে রক্ষা করুন। আমিন।

لن تركع أمة قائدها محمد (صلى الله عليه و سلم)

~ fatihul hind

@Talibtimes2bn
384 views09:11
ओपन / कमेंट
2022-02-05 12:10:39 ফেসবুক লাইভে আত্মহত্যা ও বিবেকের উপলব্ধি



২রা ফেব্রুয়ারি ২০২২। বুধবার রাত ৯টা। রাজধানীর অভিজাত এলাকা ধানমণ্ডির ৭ নম্বর রোডের একটি ভবনের ৫ম তলার একটি ফ্ল্যাট। আভিজাত্যের ছোঁয়ায় মোড়ানো বিশাল ফ্ল্যাটের একমাত্র বাসিন্দা আবু মোহসিন খান। বসে আছেন একটি চেয়ারে। টেবিলে থাকা ট্যাবে ফেসবুক লাইভে আছেন তিনি। বার্ধক্যের নিঃসঙ্গতা, ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে প্রতারণার শিকার হওয়া, স্ত্রী-সন্তানদের বিচ্ছিন্নতা, মানসিক অবসাদ আর একাকীত্বের কথা বলছেন ফেসবুক লাইভে। ১৬ মিনিট যাবত তিনি তার জীবনের হতাশার কথা বলে যান। ১৬ মিনিট ২ সেকেন্ডের মাথায় নিজস্ব লাইসেন্স করা পিস্তল মাথায় ঠেকিয়ে আত্মহত্যা করেন আবু মোহসিন খান। তখনো লাইভ চলছিল। লাইভে দেখা যাচ্ছিল একজন মানুষের মূহূর্তেই জীবিত থেকে মৃত হয়ে যাওয়ার দৃশ্য। লাইভ চলছে। আবু মোহসিন খানের নিথর দেহ পড়ে আছে চেয়ারে। ঠিক ক্যামেরার সামনে। ফেসবুক লাইভটি ১ ঘণ্টা ১৩ মিনিট সচল ছিল।


আজকে যে ঘটনার কথা বলছি, সে ঘটনার ভুক্তভোগী আবু মোহসিন খান, সম্পর্কে বাংলাদেশের একজন প্রথম সারির চলচ্চিত্র অভিনেতার শ্বশুর হন। তার এক মেয়ে এক ছেলে। একাকী থাকতেন ধানমণ্ডিতে। পাশ্চাত্যের আদর্শে দীক্ষিত সন্তানরা পিতাকে ছেড়ে বেছে নিয়েছে নিজেদের ক্যারিয়ার আর লাইফ। স্বামীর প্রতি দায়বদ্ধতা ছুড়ে ফেলে স্ত্রী চলে গেছেন দূর অস্ট্রেলিয়ায় ছেলের কাছে। বার্ধক্যের একাকীত্ব আর ব্যবসায়িক প্রতারণার শিকার হয়ে আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। আত্মহত্যার এত পথ থাকতে কেন ফেসবুক লাইভে এসে আত্মহত্যা করলেন? এর উত্তর তিনি নিজেই দিয়েছেন তার লাইভে। তিনি বলেন, "আমি জানি আমি মরে পড়ে থাকলে এক সপ্তাহও কেউ জানতে পারবে না যে আমি মারা গেছি। তাই ফেসবুক লাইভে এসে আত্মহত্যা করছি, যেন সবাই জানতে পারে আমি মারা গেছি।" জীবনের হাজারো দুঃখ আর কষ্টের সাথে লড়াই করে টিকে থাকতে না পেরে তিনি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সেটা স্পষ্ট। তার সিদ্ধান্ত যদিও একটি মারাত্মক ভুল ও শরঈ ভাবে একটি মারাত্মক পর্যায়ের অপরাধ। তা তিনি জেনেও এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ক্ষণস্থায়ী অশান্তি থেকে বাঁচতে বেছে নিয়েছেন চিরস্থায়ী অশান্তি।


পাশ্চাত্য সভ্যতার ছাঁচে গড়ে ওঠা রঙ্গিন সমাজের ভেতরটা কতটা বিধ্বংসী তার হাজারো প্রমাণের মাঝে এই ঘটনা একটি প্রমাণ মাত্র। অনলাইন, মাদক আর স্মার্টফোনের নেশায় বুঁদ হয়ে থাকা সমাজের কাছে এই ঘটনা একটি বিনোদন। ঘটনাকে উপজীব্য করে লেখা হবে পোস্টের পর পোস্ট। তৈরি হবে অসংখ্য ইউটিউব ভিডিও। কোনো চলচ্চিত্র পরিচালকের হাতে পড়লে এই ঘটনার উপর নির্মিত হতে পারে কোনো নাটক, যার শুরুতে লেখা থাকবে "বাস্তব ঘটনা থেকে অনুপ্রাণিত"। ফেসবুক স্ক্রলিং এর গোলধাঁধায় আটকে পড়া যুবকের সামনে ঘটনাটি আসলে একটি স্যাড রিয়েক্ট দিয়ে rip লিখে কমেন্ট করে নিচের কোনো ফানি ভিডিও দেখে মূহূর্তেই হাসিতে লুটোপুটি খাবে। পত্র পত্রিকার ফ্রন্ট পেইজে কয়েকদিন চলবে ঘটনার সংবাদের মহড়া। দিন তিনেক পরে পুরো জাতি হারিয়ে যাবে কোনো নায়ক বা নায়িকার পছন্দ অপছন্দের লিড নিউজে অথবা বিপিএল এর চার ছক্কার উল্লাসে। কিছুদিন পর আবার ভাইরাল হবে একটি নিউজ "ফেসবুক লাইভে এসে আত্মহত্যা করলেন অমুক" । এই ঘটনার জন্য অনেকে অনেক কিছুকেই দায়ী করছে বা করবে। সন্তানরা দায়ী পিতাকে একাকী রাখার জন্য। স্ত্রী দায়ী স্বামীকে ত্যাগ করার জন্য। ব্যবসায়িক প্রতারকরা দায়ী প্রতারণার জন্য। কিন্তু প্রকৃত দায়ী আসলে কে? প্রকৃত দায়ী আমাদের এই পশু সমাজব্যবস্থা। যে সমাজব্যবস্থা শিক্ষা দেয়, কাছে আসার অশ্লীল গল্প। যে গল্পের কারণে ডাস্টবিনে পাওয়া যায় মানবশিশুর নিথর দেহ। যে সমাজব্যবস্থা শিক্ষা দেয় হালাল হারাম বিসর্জন দিয়ে, গরিবের রক্ত চুষে সম্পদের পাহাড় বানানো। যে সমাজব্যবস্থা শিক্ষা দেয় নারীদেরকে দ্বীন ও শরিয়তের অধীনতা থেকে বের করে স্বাধীন হওয়ার। যে সমাজব্যবস্থা মানুষকে আল্লাহর আসনে বসিয়ে ভাল মন্দ নির্ধারণের অধিকার তুলে দেয় মানুষের হাতে। যে সমাজব্যবস্থা দ্বীন, শরিয়ত ও ঈমানকে আখ্যা দেয় সেকেলে ও উগ্রবাদ বলে। সেই সমাজব্যবস্থাই এজাতীয় ঘটনার একমাত্র কারণ। যতদিন এই সমাজব্যবস্থা টিকে থাকবে ততদিন হাজারো চেষ্টা তদবির করেও কোনো উপকার হবে না। বিষফল বিলুপ্ত করতে চাইলে বিষবৃক্ষের শিকড় উপড়ে ফেলতে হবে।
350 views09:10
ओपन / कमेंट
2022-02-04 22:44:28 প্রকাশ্য-গোপন বিরোধিতাও জারি রেখেছে।

কিন্তু কোনো সুস্থ মস্তিষ্কের ব্যাক্তিও কি ইসলামী শাসন প্রতিষ্ঠার পথে উমাইয়্যা বা আব্বাসীদের অনুসরণের আহবান জানাবে!?!
কিংবা, কোনোপ্রকার ভূমিকা-উপসংহার বাদ দিয়ে ঢালাওভাবে উমাইয়্যা শাসন বা আব্বাসী শাসন প্রতিষ্ঠার আহবান জানাবে!?

অবশ্যই না।

যে কোনো আকলসম্পন্ন ও শরিয়াহর প্রাথমিক স্তরের জ্ঞান রাখা ব্যাক্তিও, নবী সাঃ ও খুলাফায়ে রাশেদার শাসন ফিরিয়ে আনার আহবান ও প্রচেষ্টাকেই নিজের কর্তব্য জ্ঞান করবে।

বুঝতে হবে,
কোনো জালিম বা পাপাচারী ইসলামী শাসক চেপে বসলে, তা মেনে নেয়া এক বিষয়; আর দাওয়াত ও মেহনতের ক্ষেত্রে, জালিম বা পাপাচারীর শাসনকে মহিমান্বিত করা বা এমন শাসকের গুণগান গাওয়া কোনোভাবেই ইসলামসম্মত হতে পারে না!
আর এমন দাওয়াহ ও দাঈ এসময়ে দীন ও উম্মাহর জন্য মারাত্মক ও আত্মঘাতী ফলাফল নিয়ে আসবে, এতেও সন্দেহ নেই!


যদি তর্কের খাতিরে এরদোগান বা ইমরান খানকে যুগের সুলতান মেনেও নেয়া হয়, তবুও-
এমন শাসক, শাসনব্যাবস্থা বা (গণতান্ত্রিকভাবে) ক্ষমতা অর্জনের প্রক্রিয়ার ভূয়সী ও উচ্ছসিত প্রশংসা করা মুলতঃ হাজ্জাজ বিন ইউসুফ বা আবু মুসলিম খুরাসানির অনুসরণকেই উম্মাহর মাঝে গ্রহণযোগ্য করে তোলে।


আর নিঃসন্দেহে বাস্তবতা হচ্ছে,
সিরিয়া ও সোমালিয়াতে কাফিরদের সাথে মিলে মুসলিম হত্যায় সরাসরি ভূমিকা রাখা, ইজরায়েলের ইহুদিদের বিমান পাঠিয়ে নিরাপত্তা প্রদান হাজ্জাজ বিন ইউসুফের কর্মকান্ডের চেয়েও মারাত্মক!
এবং,
পশ্চিমাদের সন্তুষ্টকরণে ওয়াজিরিস্তান, বেলুচিস্তানে পাইকারী হারে মুসলিমনিধন কিংবা উইঘুরে মুসলিম হত্যায় বৈধতা প্রদান- কোনো সন্দেহ ব্যাতিরেকেই আবু মুসলিম খুরাসানির কর্মকান্ডের চেয়েও মারাত্মক!


আর শেষ কথা হচ্ছে,
নববী মানহাজের শাসনের পরিবর্তে হাজ্জাজি শাসনে সন্তুষ্ট, বিমুগ্ধ দাঈ ও ইসলামপন্থীদের হাতে সমর্পিত হওয়া বা তাদের অন্ধানুকরণের বিপদও আশা করি সহজেই বোধগম্য,
তাই বিজ্ঞ ডক্টর সাহেবের দিকনির্দেশনা ও পরামর্শ বিবেচনায় নেয়া কাম্য যিনি বলেছেন-

"আমরা খুলাফায়ে রাশেদার আদলে হুকুমত চাই। কারণ, খুলাফায়ে রাশেদার উপর সন্তুষ্ট থেকে রাসুল সা. দুনিয়া থেকে বিদায় নিয়েছেন। আমরা হাজ্জাজ বিন ইউসুফ ও আবু মুসলিম খুরাসানীকে আদর্শরূপে গ্রহণ করতে চাই না।"

~ হাসান আব্দুস সালাম

@Talibtimes2bn
408 views19:44
ओपन / कमेंट
2022-02-04 22:44:28 For The Sake of Argument: সুলতানী শাসন!
____________

ইসলাম ও মুসলিমদের সম্মান ফিরিয়ে আনতে সর্বস্ব দিতে প্রস্তুত, এমন প্রত্যেক ব্যাক্তিই শরিয়াহর শাসন ফিরিয়ে আনার অপরিহার্যতার ব্যাপারে একমত।

ইসলামী শাসনের পুনঃপ্রতিষ্ঠা ব্যাতীত ব্যাক্তি পর্যায়েও স্বাধীনতা ও সম্মানের সাথে ইসলামী মূল্যবোধের পরিপূর্ণ প্রতিবিধান সম্ভব নয়, এবিষয়টি বোধগম্য বিধায়ই মুসলিম উম্মাহর সচেতন কোনো অংশই এক্ষেত্রে মতানৈক্য করেনি।

আকিদা সহিহকরণ বা নফসের পরিশুদ্ধির মাধ্যমে স্বতঃস্ফূর্তভাবে ইসলামী শাসন ফিরে আসবে, এমন স্থবির চিন্তার অনুগামী শ্রেণীর কথা অবশ্য আলাদা।

কিন্তু, আফসোসের বিষয়, ইসলামের কর্তৃত্বের জন্য অপেক্ষমান উম্মতের বড় একটি অংশ- প্রায়ই চকচকে যে কোনো কিছু প্রত্যক্ষ করলেই, তাকে স্বর্ণ সাব্যস্ত করতে তৎপর হয়।

তাই তাদের আশা-ভরসা এরদোগান, ইমরান খান, মুহাম্মাদ বিন সালমান, বিন জায়েদ প্রমুখ সেক্যুলার শাসকদের কেন্দ্র করে ঘুরতে থাকে; ঠিক যেমন, ইতিপূর্বে পূর্ববর্তী প্রজন্ম ঘুরেছেন নাজিমুদ্দিন আরবাকান, জিন্নাহ, আব্দুল আজিজ আলে সউদ বা বাদশাহ হুসাইনকে কেন্দ্র করে।

তাদের প্রত্যেকেই দীনকে পুজি করে ক্ষমতা চর্চা করেছে, এমন বক্তব্য থেকে বিরত থেকেই বলা যায়,
বাহ্যত তাদের শাসনব্যাবস্থা উম্মাহর মাঝে শরিয়াহর শাসনের কল্যাণ ফিরিয়ে আনতে তো পারেই নি, বরং বিপরীতটিই প্রতিষ্ঠা করেছেন।
ইতিহাস ও বাস্তবতা সাক্ষ্য দেয় যে, এসকল সেক্যুলার শাসকদের প্রত্যেকেই নিজ ভূমিতে সেক্যুলার শাসন চর্চা করেছেন এবং ইসলামের শত্রুদের বন্ধুরূপে গ্রহণ করেছেন।

এখন উত্তেজিত ও উৎসাহী ব্যাক্তিবর্গ যুক্তি উত্থাপন করতে পারেন,
তাদের পরিবর্তে অন্য শাসকরা আরো মন্দ হতে পারতো, কিংবা তাদের কেউ কেউ পূর্ববর্তী শাসকদের অনেক ইসলামবিরোধী কাজের সংস্কার করেছেন, ইসলাম ও মুসলিমদের পূর্বের তুলনায় স্বাধীনতা দিয়েছেন। উত্তরোত্তর তারা ইসলামের জন্য নানামুখী কল্যাণকর পদক্ষেপ নিচ্ছেন।
এক্ষেত্রে এরদোগান, ইমরান খানের আলোচনা সামনে চলে আসে।

জনপ্রিয় এই যুক্তির বিপরীতে জটিল আলোচনার মারপ্যাঁচে না গিয়ে, তর্কের খাতিরে এরদোগান বা ইমরান খানকে অপারগ ও চেষ্টারত 'মুসলিম শাসক' ধরে নেয়া যাক। অতঃপর বলতে হয়,

ক) 'মন্দের ভালো' কিংবা 'ধারাবাহিকভাবে ইসলামের উন্নতি সাধনে লিপ্ত' হওয়ার যুক্তি যথার্থ হলে, আনোয়ার সাদাতকেও উম্মাহর মহান বীর হিসেবে মেনে নিতে হয়।

কেননা, মিশরে ইসলামপন্থী ও মুসলিমদের উপর জামাল আব্দুন নাসের দমন-নিপীড়নের যে লৌহখাঁচা নির্মাণ করেছিল, তা আনোয়ার সাদাতের সময় অনেকটাই তুলে নেয়া হয়।

মুসলিমদের তুলনামূলক ধর্মীয় স্বাধীনতার পাশাপাশি, ইসলামপন্থী রাজনৈতিক দলগুলোও প্রকাশ্যে কার্যক্রম পরিচালনার সুযোগ পায়।
কিন্তু ক্যাম্প ডেভিড চুক্তির মাধ্যমে ইহুদিদের সাথে আঁতাতকারী, গাদ্দার আনোয়ার সাদাতকে বোধ করি কেউই উম্মাহর সুলতান আখ্যা দেয়নি, দিবেওনা।

একইভাবে, '৭০দশকব্যাপী ব্যাপক দমন-পীড়নের পর-
ইসলামপন্থীদের প্রতি আটরশীর মুরিদ, বিশ্ববেহায়াখ্যাত প্রেসিডেন্ট লেজেহুমু এরশাদের 'মহানুভবতা'ও মোটামুটি সবার জানা। তাহলে এবেচারার 'খেতাব' কোথায়?
এরদোগান তুরস্কের, ইমরান খান পাকিস্তানের আর এরশাদ বাংলাদেশের- এটাই কি তবে এরশাদের সমস্যা!?!


খ) আমরা সবাই কমবেশী উমাইয়া বা আব্বাসি শাসনের ব্যাপারে অবগত আছি।
নিঃসন্দেহে, চলমান সেক্যুলার শাসন বা যে কোনোপ্রকার কুফরি শাসনের পরিবর্তে উমাইয়া বা আব্বাসিদের ইতিহাসের সবচেয়ে নিকৃস্ট শাসনও আমাদের নিকট অধিকতর পছন্দনীয়।

তবে লক্ষণীয়,
উমাইয়া শাসন সুপ্রতিষ্ঠিত হয় হুসাইন রাঃ ও আবদুল্লাহ ইবন জুবায়ের রাঃ কে অন্যায়ভাবে হত্যার পর।
এছাড়াও, এই শাসনের ভিত্তিরচনায় হাজ্জাজ বিন ইউসুফ যুদ্ধ ছাড়াই হত্যা করে লক্ষাধিক মানুষ! মর্মান্তিকভাবে নিহত হোন ইমাম সাঈদ ইবন জুবায়ের রহ.।
এশাসনের মাসলাহাতেই সিন্ধুবিজয়ী মহান বীর মুহাম্মাদ ইবন কাশিম রহ. মৃত্যুবরণ করেন কারাগারে। নফসে যাকিয়্যাহ ও তার ভাইকেও হতে হয় নিহত।
কারাগারে নিক্ষেপিত হোন ইমাম আবু হানিফা রহ.।


আবার, আব্বাসীয় শাসন প্রতিষ্ঠায় আবু মুসলিম খুরাসানি হত্যা করে ছয় লক্ষাধিক মুসলিম।
দামেস্কে প্রবেশের পর, আব্দুল্লাহ ইবন আলি আব্বাসি শাসনের প্রভাব বিস্তারে, উমাইয়া শাসনের সাথে সংশ্লিষ্ট নব্বই হাজার মুসলিমকে হত্যা করে। হিশাম ইবন আব্দিল মালিক ও তার স্ত্রীর লাশ কবর থেকে বের করে আনে।



আবদুল্লাহ ইবন আলি উমাইয়াদের বহু লাশ কবর থেকে উঠিয়ে চাবুকপেটা করে এবং পুড়িয়ে দেয়।
এছাড়াও, হতাহত দামেশকবাসীর উপর আবদুল্লাহ ইবন আলির দস্তরখান বিছিয়ে খাওয়াদাওয়া করার বর্ণনাও পাওয়া যায়!


উমাইয়্যা বা আব্বাসীয়দের এসকল অন্যায় সত্ত্বেও, মুসলিম উম্মাহ তাদের আনুগত্য মেনে নিয়েছিল।
কেননা, তারা শাসনব্যাবস্থায় শরিয়াহকে অপরিহার্য অনুষঙ্গ সাব্যস্ত করতো, জনসাধারণের প্রয়োজন পূরণ করতো এবং ইসলামের শত্রুদের ভীতসন্ত্রস্ত রাখতো।

ইসলামের প্রচার-প্রসারে তাদের অনবদ্য ভূমিকার ফলে তাদের আনুগত্য ও সহায়তায় উম্মাহ ভূমিকা রেখেছে। পাশাপাশি অন্যায় প্রকাশ পেলে,
394 views19:44
ओपन / कमेंट