Get Mystery Box with random crypto!

হালাল রোমান্টিসিজম

टेलीग्राम चैनल का लोगो halalromanticism — হালাল রোমান্টিসিজম
टेलीग्राम चैनल का लोगो halalromanticism — হালাল রোমান্টিসিজম
चैनल का पता: @halalromanticism
श्रेणियाँ: धर्म
भाषा: हिंदी
ग्राहकों: 2.09K
चैनल से विवरण

আমাদের ফেইসবুক পেইজের ব্যাকআপ টেলিগ্রাম চ্যানেল ইন শা আল্লাহ
https://t.me/HalalRomanticism

Ratings & Reviews

3.00

3 reviews

Reviews can be left only by registered users. All reviews are moderated by admins.

5 stars

1

4 stars

0

3 stars

1

2 stars

0

1 stars

1


नवीनतम संदेश 4

2021-08-11 12:54:10 ভালোবাসা কি নষ্ট হয়ে যায়?
বিয়ের পর কি ভালােবাসার অনুভূতিতে পরিবর্তন আসে?

মিয়ামি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণা জোর দিয়ে বলছে, ভালােবাসার অনুভূতি মস্তিষ্কে 'ডােপামিন' হরমােনের সরবরাহ বাড়িয়ে দেয়, যা ব্যক্তির মধ্যে আগ্রহ ও উদ্দীপনার অনুভূতি জাগ্রত করে।

একইসাথে এটি ভালােবাসার স্নায়বিক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া যেমন হৃদস্পন্দন বেড়ে যাওয়া, গলা শুকিয়ে যাওয়া কিংবা হাত কাঁপার মতাে লক্ষণগুলাের জন্যও দায়ী।

কিন্তু বিয়ের পর নতুন আরেকটি হরমােনের সরবরাহ বৃদ্ধি পায়, এর নাম 'অক্সিটোসিন '! এটি শান্তি, নিরাপত্তা ও প্রণয়ের অনুভূতি জাগ্রত করে। তাহলে দেখাে, অনুভূতির পরিবর্তন হচ্ছে, কিন্তু মূল ভালােবাসাটুকু এখনও অবশিষ্ট আছে!

নবদম্পতি ও পুরােনাে দম্পতির ওপর পরিচালিত এক রাসায়নিক পরীক্ষায় একই রকম ফলাফল এসেছিল, যেখানে দেখা যায় প্রতি দশজনের একজন প্রেমাস্পদকে দেখে একই রকম প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে। গবেষণাটি করা হয়েছিল টেক্সাস বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ‘চিরস্থায়ী সম্পর্কের ভিত’ শিরােনামে পরিচালিত একটি সমীক্ষা থেকে যেখানে ১৯৮১ সাল থেকে দীর্ঘদিন ১৬৮ টি দম্পতির ওপর জরিপ চালানাে হয়!

সত্যিকারের ভালােবাসা, যা আজীবন বহমান থাকে এবং সময়ের প্রলেপে মলিন হয়ে যায় না — আসলেই আছে। এটা এমন একটি অবিসংবাদিত সত্য — যা নারী কিংবা পুরুষের আড়ার আলাপে উঠে আসা দরকার। বিশেষ করে মধ্যবয়স্কদের জন্য তাে অবশ্যই ! চিরস্থায়ী ভালােবাসার জন্য দায়ী মস্তিষ্কের ‘বিস্মরণ অংশ’ জরিপে অংশ নেওয়া। ব্যক্তিদের দাবিকে সত্য প্রমাণ করেছে, এই প্রকারের ভালােবাসা সত্যিই আছে!

কিছু কিছু চল্লিশাের্ধ নারী ও পুরুষ তাদের চারপাশে প্রলয়কাণ্ড ঘটাতে শুরু করেন, যেন তারা এতকাল পর হঠাৎ করে জেগে উঠেছেন। জীবন সায়াহ্নে এসে উপনীত হয়েছেন বিধায় যা হাতছাড়া হয়ে গেছে তা কড়ায় গন্ডায় ফিরে পেতে চান। একপর্যায়ে তা নিজেকে তাে শেষ করেই, তিলে তিলে গড়ে তােলা এতদিনের প্রণয় - প্রাসাদটিও 'আমি আমার যা দায়িত্ব পালন করেছি, এখন একটু একাকী বাঁচতে চাই’ স্লোগানে ভেঙে মিসমার করে ফেলে!

সম্প্রতি মার্কিন বিজ্ঞানীদের এক গবেষণা দেখিয়েছে, নেশা জাগ্রত করে এমন কোনাে কেমিক্যাল যেমন 'কোকেইন'–এর তুলনায় ভালােবাসার অনুভূতি মস্তিষ্কে ১২ গুণ বেশি দায়িত্ববােধ সৃষ্টি করে।

নানান ক্রিয়া প্রতিক্রিয়ার নেপথ্যে মানবমস্তিষ্ক ভূমিকা রাখলেও হৃদয় (যা ভালােবাসার বৈশ্বিক প্রতীকও বটে) এই কার্যকৌশল থেকে বিন্দুমাত্র বেখবর থাকে না।

আদর-স্নেহ, শ্বাস-প্রশ্বাস, স্পর্শ ইত্যাদি রােমান্স পারিবারিক বন্ধন অটুট রাখতে ভূমিকা বামে। ব্যথা উপশমে ভালােবাসা মরফিনের [১] চেয়েও কার্যকরী।
____________

[১] মরফিন একটি জৈব যৌগ। মরফিন হলো আফিং– এর প্রধান উপাদান। এটি একটি উপক্ষার (Alkaloid) এবং প্রবলভাবে কার্যকর অপিওয়েড (Opiate) ব্যথানাশক। এটি সরাসরি কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রের উপর কাজ করে বাথার অনুভূতি নাশ করে। এটি অতি নিদ্রাকারকও বটে। এটি প্রাকৃতিকভাবে উৎপাদিত অ্যালকালয়েড জাতীয় পদার্থ যা অপিয়াম পপি নামক উদ্ভিদের অপরিপক্ক বীজের আঠালাে রস থেকে আহরণ করা হয়। — উইকিপিডিয়া

- ড. সালমান আল আওদাহ ফাক্কাল্লাহু আসরহ
https://t.me/SulaimanAlulwanBN
794 views09:54
ओपन / कमेंट
2021-08-11 11:59:26
‘হারামে আরাম নাই; বিদ'আতে হেদায়াত নাই।’

- শাইখ নানুপুরী (রহি.)
747 views08:59
ओपन / कमेंट
2021-08-10 20:38:36 বিয়ের সাথে সচ্ছলতার যেই সম্পর্কঃ

আল্লাহ তা'আলা বলেন,
আর তোমরা তোমাদের মধ্যকার অবিবাহিত নারী-পুরুষ ও সৎকর্মশীল দাস দাসীদের বিবাহ দাও। তারা অভাবী হলে আল্লাহ নিজ অনুগ্রহে তাদেরকে অভাবমুক্ত করে দেবেন। আল্লাহ প্রাচুর্যময় ও মহাজ্ঞানী।
[সূরা নূরঃ ৩২]

আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাদিআল্লাহু তা'আলা আনহুমা) বলেন,
'আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'আলা বিয়ের নির্দেশ দিয়েছেন এবং তাতে সবাইকে উৎসাহিত করেছেন। এবং দায়িত্বশীলদের তাদের স্বাধীন ও গোলাম উভয় শ্রেণীকে বিয়ে করিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। পাশাপাশি তারা অসচ্ছল হলে আল্লাহ তাদের এর বিনিময়ে সচ্ছল বানিয়ে দেওয়ার ওয়াদা করেছেন।'
[তাফসীরে ত্ববারী ১৯/১৬৬;আল মুদাউই লি ইলালিল জামেইস সগীর ২/২৩৪; তাফসীরে মারাগী, আহমাদ মুস্তফা আল মারাগী ১৮/১০৪]

ইবনে মাসউদ রাদিআল্লাহু তা'আলা আনহু থেকে বর্ণিত,
'তোমরা বিয়ে করার মাঝে সচ্ছলতা খোঁজ। কেননা আল্লাহ তা'আলা বলেছেন, 'তারা যদি দরিদ্র হয় তাহলে আল্লাহই নিজ অনুগ্রহে তাদের সচ্ছল করে দিবেন।'
[তাফসীরে ত্ববারী ১৯/১৬৬; আল মুদাউই লি ইলালিল জামেইস সগীর ওয়া শারহিল মুনাবী ২/২৩৫- দারুল কুতুব]

ইমাম ইবনু কাসীর রহ. এই আয়াতের তাফসীরে বলেন,
''রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এমন পুরুষকে বিয়ে করিয়েছেন যিনি এতটাই দরিদ্র ছিল যে, তার কাছে একটা লুঙ্গি ছাড়া আর কিছুই পাওয়া যায়নি, এমনকি একটি লোহার আংটি খরিদ করারও সামর্থ্য তার ছিল না। এতদসত্ত্বেও তিনি (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) ঐ নারীর সাথে তার বিবাহ দিয়েছিলেন। স্ত্রীর জন্য মোহর হিসেবে স্বামী কেবল কুরআন থেকে যা মুখস্থ করেছেন তা নিজ স্ত্রীকে শেখাবে এই মর্মে ধার্য্য করেছিলেন।

আর এখানে এই যেই সচ্ছলতার ওয়াদা করা হয়েছে তা হচ্ছে, আল্লাহর তা'আলা অনুগ্রহ, করুণাবশত তাঁর ও তাঁর স্ত্রীর জন্য এমন রিযিকের ব্যবস্থা করবেন যা তাদের উভয়ের জন্য যথেষ্ট।''
[তাফসীরে ইবনু কাসীর ৬/৫১-৫২; সহীহ বুখারীঃ ৫০৩০; সহীহ মুসলিমঃ ১৪২৫]

আল্লামা ইবনু আশূর এই আয়াতের তাফসীরে বলেন,
''আল্লাহ তা'আলা এসকল বিবাহিতদের ওয়াদা দিয়েছেন যে, যদি সে আযাদ ও স্বাধীন থাকা অবস্থায় দরিদ্র হয় তাহলে আল্লাহ তাদের সচ্ছল বানিয়ে দিবেন, তবে এই সচ্ছলতা হচ্ছে হচ্ছে সচ্ছলতার মাধ্যম সহজ করে দিবেন। আর যদি সে গোলাম ও দাস হয় তাহলে তাঁর মুনিবকে আল্লাহ তা'আলা ব্যপক ধন-সম্পদ প্রদান করবেন (যাতে তার দাস ও গোলামের সাংসারিক খাতে ব্যয় করতে পারে)।''
[আত তাহরীর ওয়াত তানউইর ১৮/২১৭]

এর সাথে প্রাসঙ্গিক নিম্নোক্ত হাদীসটি।
রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
তিন শ্রেণির ব্যক্তিকে সাহায্য করাকে আল্লাহ নিজের উপর অত্যাবশকীয় করেছেন,
(১) আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ কারী।
(২) এমন দাস ও গোলাম যে তার মুনিবের সাথে আজাদি আওয়ার জন্য কোন শর্ত আদায় করার ক্ষেত্রে চুক্তিবদ্ধ, এবং
(৩) যে ব্যক্তি নিজের চারিত্রিক পবিত্রতার জন্য বিয়ে করতে চায়।
[সুনানে তিরমিযীঃ১৬৫৫; সুনানে নাসাঈ ৬/৬১; সুনানে ইবনি মাজাহঃ ২৫১৮; মুসনাদে আহমাদ ২/২৫১- হাদীসের সনদ হাসান]

- শাইখ আব্দুল্লাহ আল মামুন হাফিজাহুল্লাহ
816 views17:38
ओपन / कमेंट
2021-08-10 19:11:59 বিয়ে নিয়ে যারা সমস্যায় আছেন... - Ruqyah Support BD
https://ruqyahbd.org/blog/2155/biye-na-howar-bivinno-karon
755 views16:11
ओपन / कमेंट
2021-08-09 21:05:04 "শিশুদের মনে মিথ্যা সম্পর্কে ঘৃণা সৃষ্টি করুন। প্রথমে নিজে মিথ্যা বলার অভ্যাস পরিহার করুন এবং শিশুদের সাথে এমনভাবে কথা বলুন যেন তাদের মনে মিথ্যার প্রতি ঘৃণা এবং সত্যের প্রতি আগ্রহ সৃষ্টি হয়। তাই শিশুদের সামনে কখনও মিথ্যা বলবেন না। কারণ শিশুরা যখন দেখে আমাদের পিতা-মাতা মিথ্যা বলছেন তখন তাদের অন্তর থেকে মিথ্যার ঘৃণা শেষ হয়ে যায় এবং তারা মিথ্যাকে স্বাভাবিক রীতি হিসেবে গ্রহণ করে।
.
এজন্য শৈশব থেকেই শিশুদের অভ্যাস গড়ে তুলুন যে, মুখের প্রতিটি কথা অটল ও অক্ষয় হওয়া উচিৎ। এতে যেন কোনো মিথ্যা কিংবা বাস্তব বিরোধী কথা না থাকে। 'নবুওয়ত' এর পর সর্বোচ্চ মর্যাদা হলো 'সিদ্দীক' এর মর্যাদা। 'সিদ্দীক' শব্দের অর্থ হলো 'মহা সত্যবাদী' যার কথায় বাস্তব বিরোধী কোনো কথার সন্দেহও হতে পারে না।"

- শাইখুল ইসলাম মুফতি তাকী উসমানী [হাফি.]
[ ব্যবসা ও লেনদেনের ইসলামী বিধান, পৃ: ১৯৬, অনু: মুফতী কবির আহমাদ আশরাফী, মাকতাবাতুল আযহার]
842 views18:05
ओपन / कमेंट
2021-08-08 22:27:08
883 views19:27
ओपन / कमेंट
2021-08-08 22:15:04 এসব ‘দীনি বোনেরা’ ফেইসবুকে আসে একটু-আধটু ফেইসবুক চালাতে, ফেইসবুকের মধ্য দিয়ে দুনিয়াটা দেখতে। ফেইসবুক চালাতে এসে নিজেরা যে গভীরভাবে ফেইসবুক দ্বারা চালিত হয়, তা তারা বুঝতেই পারে না। দুনিয়া দেখতে এসে ঘরের মধ্যেই ঘুরপাক খেতে থাকে।

মূলত ফেইসবুক দ্বারা চালিত হয় সবাই—পুরুষরাও, আমিও। পুরুষরা যেহেতু ‘ঘরের বিষয়’ নিয়ে আলাপ করে না, ইতিবাচকও নয়, নেতিবাচকও নয়—ফলে তাদের সংসার-জীবনে এর প্রভাব পড়ে কম। তাদের হয়ত অন্য রকম নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। নারীদের তুলনায় কম হলেও সংসার-জীবনেও কিছুটা প্রভাব পড়ে।
স্বামী-স্ত্রীর পারস্পরিক সম্পর্ক সবগুলো একরকম হবে না। বৈচিত্র্য আছে, থাকবেই। আলাদা আলাদাভাবে সবগুলো সম্পর্কই সুন্দর। কারো একটা গুণ আছে, আরেকটা দোষ আছে। সব মিলিয়ে সুন্দর সম্পর্ক। ফেইসবুক দোষটা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়। //

আপনিও যদি সংসার জীবনটা ভালো রাখতে চান তাহলে সবচেয়ে ভালো হয় যা করলে -

১/ ফেসবুক ছেড়ে দেওয়া। না পারলে,

২/ হোম পেইজ / নিউজ ফিডে স্ক্রল করা ছেড়ে দেওয়া।
৩/ যার লেখা থেকে বিন্দুমাত্র নেগেটিভ ভাইব আসবে তাকে আনফলো করে দেওয়া, আনফ্রেন্ড করলে অনেকেই মাইন্ড করবে।
৪/ বিভিন্ন গ্রুপ থেকে দূরে থাকা।
৫/ ইসলাম নিয়ে সিরিয়াসলি কিছু পড়াশোনা করা। কুরআন শুদ্ধ করে পড়তে শেখেন, মুখস্থ করেন। ফিজিকাল বই পড়েন। অনেক ইচ্ছা করলেও ফেসবুকে ঢুকবেন না। প্রথম প্রথম অ্যাডিকশন জনিত কারণে কষ্ট হবে, পরে ঠিক হয়ে যাবে।

৬/ সিস্টেমেটিকালি ইসলাম নিয়ে পড়তে চাইলে তাইবাহ একাডেমি বা ইন্টারন্যাশনাল ওপেন ইউনিভার্সিটিগুলোর মতো প্রতিষ্ঠান বেছে নিতে পারেন।

যা কিছু বললাম নিজের জীবন থেকে বললাম।

শান্তি আর স্বাধীনতা - কোনোটাই অ্যাবসোল্যুট নয়। ধারাল ব্লেডের ওপর শুয়ে থাকার স্বাধীনতার চেয়ে শক্ত মাটিতে শান্তির ঘুমটা আমার কাছে আচ্ছা।

আপনি কোনটা স্যাক্রিফাইস করে কোনটা বেছে নেবেন - এটা আপনার এখতিয়ার। দিনের শেষে অন্যকে দোষ দেওয়া যাবে - কিন্তু তাতে লাভ হবে না।

- মোহাম্মদ শরীফ আবু হায়াত অপু
836 views19:15
ओपन / कमेंट
2021-08-08 22:15:04 বিশাল বাংলাদেশে ইসলাম সত্যিকারভাবে মেনে চলে বা মানতে চায় এমন তরুণদের সংখ্যা খুব কম। আর সেই খুব কমের মধ্যে বিয়ে করে সংসার শুরু করেছে এমন মানুষদের সংখ্যা আরো কম।

তবে সেই কম মানুষদের মধ্যে সংসারে অসুখ-অশান্তি - ভেঙে গেছে বা যায় যায় - এমন সংখ্যাটা কম নয়। এর পেছনে একটা বড় কারণ মনের বিষ।

যারা ইসলামের দিকে ফেরেন তাদের অনেকের মধ্যেই আগের জীবনের খারাপ কাজগুলোর একটা টক্সিক এফেক্ট থেকে যায়। সেটা তারা ফেসবুকে স্ট্যাটাস বা কমেন্টের মাধ্যমে প্রচার করতে থাকেন।

সিহিন্তা বছর দুই আগে যখন ফেসবুক ছেড়ে দিয়েছিল তখন মূলত এই টক্সিসিটি থেকে বাঁচার কারণেই ছেড়েছিল। এবং আলহামদুলিল্লাহ এর সুফল ও নিজে, আমি, এবং বাচ্চারা ভালোই পাচ্ছি।

এই বিষে বোনেরা সাধারণত আক্রান্ত হন বেশি।

সংসারে মনোমালিন্য, ঝগড়া-বিবাদ থাকবেই। কিন্তু সামান্য খারাপ ব্যবহারের ফলে তারা মনে করেন তারা খুবই দুঃখে আছেন - শাশুড়ি-স্বামী সবাই তাকে অত্যাচার করছে।

স্বামী-সন্তানদের জন্য কাজ করাকে মনে করতে থাকেন রান্নাঘরে বন্দী থাকা। আর ফেসবুক বা ইউটিউবে সময় কাটানোটা হচ্ছে মুক্তি।

এটা শয়তানের একটা বড় ধোঁকা। কারণ ফেসবুক বা ইউটিউব দিন শেষে আপনাকে বিক্রি করে তার ক্লায়েন্টদের কাছে। এরা নিজেরা কনটেন্ট তৈরি করে না - যেসব কনটেন্ট আপনাকে ইমোশোনালি আঘাত করে - আপনাকে ক্ষুব্ধ করে, রাগিয়ে দিয়ে লাইক-শেয়ারের মাধ্যমে এনগেইজ করায় সেগুলোকে ফেসবুক ছড়িয়ে দেয় দাবানলের মতো।

আপনার স্বামী আপনাকে বিক্রি করে না - ব্ররং আপনার জন্য কেনেন। তিনি আপনার মানসিক, দৈহিক এবং অর্থনৈতিক চাহিদা মেটান। তিনি আপনার শত্রু নন, বন্ধু।

আপনি যদি আজ ফেসবুক, বা ফেসবুকের তথাকথিত 'দ্বীনী বোন'দের বন্ধু মনে করেন তাহলে ঠকবেন - এরা বাস্তব জীবনে আপনার বিশেষ কোনো উপকার করতে পারবে না।

আর ফেসবুক? এত লাইভ করে সেলেব্রিটিরা গ্রেফতার ঠেকাতে পারছে? ফালতু কোনো অজুহাতে ফেসবুক আপনার একাউন্ট বন্ধ করে দিলে কাউকে কিছু বলার আছে আপনার? অথচ আপনার জীবনের কত কত ঘন্টা এখানে খরচ হয়ে গেছে
তার হিসাব করতে পারবেন?

বাস্তব জীবনে এরকম উদাহরণ দেখেছি - তথাকথিত 'দ্বীনী বোন'দের প্ররোচণায় সন্তান-স্বামীর ঘর ছেড়ে বের হয়ে গিয়েছিলেন। কয়েক মাস পরে অনুতপ্ত হয়ে ফিরে এসেছেন। কেউ কেউ আরো অভাগা ডিভোর্স দিয়ে/নিয়েছিলেন - এখন আফসোস করেন - কেন আরেকটু মানিয়ে চললেন না।

এ ব্যাপারে আবুল কাসেম আদিল ভাইয়ের কিছু কথা -

// সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দীনি ঘরানার ‘অনলি সিস্টার্স’ কমিউনিটি নিয়ে আমার একটা পর্যবেক্ষণ আছে। এরা পুরুষদেরকে ফ্রেন্ডলিস্টে রাখে না ফিতনার ভয়ে। বিষয়টাকে ইতিবাচকভাবে দেখি। কিন্তু এটাও বাস্তবতা যে, এই আপাত ফিতনামুক্ত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করতে গিয়েও তাদের অনেকে গভীর ফিতনার চোরাবালিতে আটকে যায়। বিষয়টা তাদের জীবন যাপনে এত সূক্ষ্মভাবে প্রভাব ফেলে যে, তারা বুঝতেই পারে না।

ফেইসবুকে একান্ত নারীদের অনেক গ্রুপ আছে। এসব গ্রুপে ‘দীনি বোনেরা’ দীনি আলোচনার ফাঁকে ফাঁকে গীবতচর্চা করে। স্বামী, শাশুড়ি ও অন্য নারীদের নিয়ে কথাবার্তা বলে। আবার কিছু গ্রুপ আছে, সেখানে গীবতচর্চা করা হয় না। কেউ গীবতচর্চা করলে গ্রুপে রাখা হয় না। সেসব গ্রুপে প্রশংসাচর্চা করা হয়। গীবতচর্চা এবং প্রশংসাচর্চা এই দু’টি থেকেই নেতিবাচক শিক্ষাগ্রহণের সুযোগ আছে। বিষয়টা একটু উদাহরণসহ বললে বুঝতে সহজ হবে।

গীবতচর্চা যে ভালো নয়, এটা সবাই বোঝে। মৌলিকভাবে গীবত তো নিন্দনীয়ই, আমি এছাড়া আরেকটি বিষয়ের প্রতি অঙ্গুলি নির্দেশ করতে চাইছি। একজনের গীবত আরেকজনের জীবনে কী ধরনের প্রভাব ফেলে, সে বিষয়টি বলতে চাইছি। উদাহরণস্বরূপ: একজন লিখল, ‘আমাদের নবীজি স্ত্রীদেরকে ঘরের কাজে সাহায্য করতেন, অথচ আমার স্বামী আমাকে ঘরের কাজে সাহায্য করে না।’ একজন তো ‘ইসলামিক উপায়ে’ গীবত করে খালাস। আরেকজন নিরীহ ফেইসবুকার, যার স্বামীও তাকে ঘরের কাজে সাহায্য করে না কিন্তু এ নিয়ে তার অভিযোগ নেই, মহিলারা ঘরে কাজ করে আর পুরুষরা বাইরে, এই দুইয়ের সহযোগে সংসার—এটাই হয়ত তার মাথায় অবেচতনভাবে আছে। ‘নবীজি ঘরের কাজে সাহায্য করতেন অথচ আমার স্বামী ঘরের কাজে সাহায্য করে না’—এই বিষয়টা তার মাথায় ঢুকে যাবে। আরে, আমার স্বামীও তো ঘরের কাজে সাহায্য করে না; তারও তো ঘরের কাজে সাহায্য করা উচিত। এতে তার মনের মধ্যে একটা দুঃখবোধ জমা হতেই পারে। এরপর বিন্দু বিন্দু সিন্ধু।

ভালো নারীরা গীবতচর্চার গ্রুপে থাকে না। তারা থাকে প্রশংসাচর্চার পেইজে। সেখানে আগের উদাহরণটার বিপরীত ধরনের চর্চা হয়। কিন্তু এর মাধ্যমেও নেতিবাচক ধারণা গ্রহণ করার সুযোগ থাকে। উদাহরণস্বরূপ: একজন লিখল, ‘আমার স্বামী ঘরের কাজে সাহায্য করেন।’ এটা স্বামীর প্রশংসা। প্রশংসার অকালের যুগে এটা তো ভালো কথা-ই। কিন্তু আরেকজন নারী দেখবে— একজনের স্বামী কত ভালো, ঘরের কাজে সাহায্য করে; অথচ তার স্বামী ঘরের কাজে সাহায্য করে না। সে কামনা করবে, তার স্বামীও এরকম হোক।
724 views19:15
ओपन / कमेंट
2021-08-08 15:30:41 'স্বামীর সংসারে স্ত্রীর জবান যখন দীর্ঘ হয়ে যায়, তার স্বামীসান্নিধ্যের দিনগুলোও কমে যেতে থাকে।'

- ইমাম ইবনু তাইমিয়াহ (রাহিমাহুল্লাহ)
[ মাজমুয়ুল ফাতাওয়া : ২৩/৩৬০ ]
674 views12:30
ओपन / कमेंट