Get Mystery Box with random crypto!

বিশাল বাংলাদেশে ইসলাম সত্যিকারভাবে মেনে চলে বা মানতে চায় এমন ত | হালাল রোমান্টিসিজম

বিশাল বাংলাদেশে ইসলাম সত্যিকারভাবে মেনে চলে বা মানতে চায় এমন তরুণদের সংখ্যা খুব কম। আর সেই খুব কমের মধ্যে বিয়ে করে সংসার শুরু করেছে এমন মানুষদের সংখ্যা আরো কম।

তবে সেই কম মানুষদের মধ্যে সংসারে অসুখ-অশান্তি - ভেঙে গেছে বা যায় যায় - এমন সংখ্যাটা কম নয়। এর পেছনে একটা বড় কারণ মনের বিষ।

যারা ইসলামের দিকে ফেরেন তাদের অনেকের মধ্যেই আগের জীবনের খারাপ কাজগুলোর একটা টক্সিক এফেক্ট থেকে যায়। সেটা তারা ফেসবুকে স্ট্যাটাস বা কমেন্টের মাধ্যমে প্রচার করতে থাকেন।

সিহিন্তা বছর দুই আগে যখন ফেসবুক ছেড়ে দিয়েছিল তখন মূলত এই টক্সিসিটি থেকে বাঁচার কারণেই ছেড়েছিল। এবং আলহামদুলিল্লাহ এর সুফল ও নিজে, আমি, এবং বাচ্চারা ভালোই পাচ্ছি।

এই বিষে বোনেরা সাধারণত আক্রান্ত হন বেশি।

সংসারে মনোমালিন্য, ঝগড়া-বিবাদ থাকবেই। কিন্তু সামান্য খারাপ ব্যবহারের ফলে তারা মনে করেন তারা খুবই দুঃখে আছেন - শাশুড়ি-স্বামী সবাই তাকে অত্যাচার করছে।

স্বামী-সন্তানদের জন্য কাজ করাকে মনে করতে থাকেন রান্নাঘরে বন্দী থাকা। আর ফেসবুক বা ইউটিউবে সময় কাটানোটা হচ্ছে মুক্তি।

এটা শয়তানের একটা বড় ধোঁকা। কারণ ফেসবুক বা ইউটিউব দিন শেষে আপনাকে বিক্রি করে তার ক্লায়েন্টদের কাছে। এরা নিজেরা কনটেন্ট তৈরি করে না - যেসব কনটেন্ট আপনাকে ইমোশোনালি আঘাত করে - আপনাকে ক্ষুব্ধ করে, রাগিয়ে দিয়ে লাইক-শেয়ারের মাধ্যমে এনগেইজ করায় সেগুলোকে ফেসবুক ছড়িয়ে দেয় দাবানলের মতো।

আপনার স্বামী আপনাকে বিক্রি করে না - ব্ররং আপনার জন্য কেনেন। তিনি আপনার মানসিক, দৈহিক এবং অর্থনৈতিক চাহিদা মেটান। তিনি আপনার শত্রু নন, বন্ধু।

আপনি যদি আজ ফেসবুক, বা ফেসবুকের তথাকথিত 'দ্বীনী বোন'দের বন্ধু মনে করেন তাহলে ঠকবেন - এরা বাস্তব জীবনে আপনার বিশেষ কোনো উপকার করতে পারবে না।

আর ফেসবুক? এত লাইভ করে সেলেব্রিটিরা গ্রেফতার ঠেকাতে পারছে? ফালতু কোনো অজুহাতে ফেসবুক আপনার একাউন্ট বন্ধ করে দিলে কাউকে কিছু বলার আছে আপনার? অথচ আপনার জীবনের কত কত ঘন্টা এখানে খরচ হয়ে গেছে
তার হিসাব করতে পারবেন?

বাস্তব জীবনে এরকম উদাহরণ দেখেছি - তথাকথিত 'দ্বীনী বোন'দের প্ররোচণায় সন্তান-স্বামীর ঘর ছেড়ে বের হয়ে গিয়েছিলেন। কয়েক মাস পরে অনুতপ্ত হয়ে ফিরে এসেছেন। কেউ কেউ আরো অভাগা ডিভোর্স দিয়ে/নিয়েছিলেন - এখন আফসোস করেন - কেন আরেকটু মানিয়ে চললেন না।

এ ব্যাপারে আবুল কাসেম আদিল ভাইয়ের কিছু কথা -

// সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দীনি ঘরানার ‘অনলি সিস্টার্স’ কমিউনিটি নিয়ে আমার একটা পর্যবেক্ষণ আছে। এরা পুরুষদেরকে ফ্রেন্ডলিস্টে রাখে না ফিতনার ভয়ে। বিষয়টাকে ইতিবাচকভাবে দেখি। কিন্তু এটাও বাস্তবতা যে, এই আপাত ফিতনামুক্ত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করতে গিয়েও তাদের অনেকে গভীর ফিতনার চোরাবালিতে আটকে যায়। বিষয়টা তাদের জীবন যাপনে এত সূক্ষ্মভাবে প্রভাব ফেলে যে, তারা বুঝতেই পারে না।

ফেইসবুকে একান্ত নারীদের অনেক গ্রুপ আছে। এসব গ্রুপে ‘দীনি বোনেরা’ দীনি আলোচনার ফাঁকে ফাঁকে গীবতচর্চা করে। স্বামী, শাশুড়ি ও অন্য নারীদের নিয়ে কথাবার্তা বলে। আবার কিছু গ্রুপ আছে, সেখানে গীবতচর্চা করা হয় না। কেউ গীবতচর্চা করলে গ্রুপে রাখা হয় না। সেসব গ্রুপে প্রশংসাচর্চা করা হয়। গীবতচর্চা এবং প্রশংসাচর্চা এই দু’টি থেকেই নেতিবাচক শিক্ষাগ্রহণের সুযোগ আছে। বিষয়টা একটু উদাহরণসহ বললে বুঝতে সহজ হবে।

গীবতচর্চা যে ভালো নয়, এটা সবাই বোঝে। মৌলিকভাবে গীবত তো নিন্দনীয়ই, আমি এছাড়া আরেকটি বিষয়ের প্রতি অঙ্গুলি নির্দেশ করতে চাইছি। একজনের গীবত আরেকজনের জীবনে কী ধরনের প্রভাব ফেলে, সে বিষয়টি বলতে চাইছি। উদাহরণস্বরূপ: একজন লিখল, ‘আমাদের নবীজি স্ত্রীদেরকে ঘরের কাজে সাহায্য করতেন, অথচ আমার স্বামী আমাকে ঘরের কাজে সাহায্য করে না।’ একজন তো ‘ইসলামিক উপায়ে’ গীবত করে খালাস। আরেকজন নিরীহ ফেইসবুকার, যার স্বামীও তাকে ঘরের কাজে সাহায্য করে না কিন্তু এ নিয়ে তার অভিযোগ নেই, মহিলারা ঘরে কাজ করে আর পুরুষরা বাইরে, এই দুইয়ের সহযোগে সংসার—এটাই হয়ত তার মাথায় অবেচতনভাবে আছে। ‘নবীজি ঘরের কাজে সাহায্য করতেন অথচ আমার স্বামী ঘরের কাজে সাহায্য করে না’—এই বিষয়টা তার মাথায় ঢুকে যাবে। আরে, আমার স্বামীও তো ঘরের কাজে সাহায্য করে না; তারও তো ঘরের কাজে সাহায্য করা উচিত। এতে তার মনের মধ্যে একটা দুঃখবোধ জমা হতেই পারে। এরপর বিন্দু বিন্দু সিন্ধু।

ভালো নারীরা গীবতচর্চার গ্রুপে থাকে না। তারা থাকে প্রশংসাচর্চার পেইজে। সেখানে আগের উদাহরণটার বিপরীত ধরনের চর্চা হয়। কিন্তু এর মাধ্যমেও নেতিবাচক ধারণা গ্রহণ করার সুযোগ থাকে। উদাহরণস্বরূপ: একজন লিখল, ‘আমার স্বামী ঘরের কাজে সাহায্য করেন।’ এটা স্বামীর প্রশংসা। প্রশংসার অকালের যুগে এটা তো ভালো কথা-ই। কিন্তু আরেকজন নারী দেখবে— একজনের স্বামী কত ভালো, ঘরের কাজে সাহায্য করে; অথচ তার স্বামী ঘরের কাজে সাহায্য করে না। সে কামনা করবে, তার স্বামীও এরকম হোক।