Get Mystery Box with random crypto!

হালাল রোমান্টিসিজম

टेलीग्राम चैनल का लोगो halalromanticism — হালাল রোমান্টিসিজম
टेलीग्राम चैनल का लोगो halalromanticism — হালাল রোমান্টিসিজম
चैनल का पता: @halalromanticism
श्रेणियाँ: धर्म
भाषा: हिंदी
ग्राहकों: 2.09K
चैनल से विवरण

আমাদের ফেইসবুক পেইজের ব্যাকআপ টেলিগ্রাম চ্যানেল ইন শা আল্লাহ
https://t.me/HalalRomanticism

Ratings & Reviews

3.00

3 reviews

Reviews can be left only by registered users. All reviews are moderated by admins.

5 stars

1

4 stars

0

3 stars

1

2 stars

0

1 stars

1


नवीनतम संदेश 3

2021-08-19 07:24:26 স্বামী-স্ত্রীর পারস্পরিক হকসমূহঃ

মানুষের পারস্পরিক সম্পর্কের মাঝে স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক অতিগুরুত্বপূর্ণ এবং অপরিহার্য সম্পর্ক। সুতরাং এ ব্যাপারেও ইসলামের সুষ্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে। সেই নির্দেশনাগুলোর সারমর্ম হচ্ছে, একজন স্ত্রী তার স্বামীর আনুগত্য এবং কল্যাণকামিতার ব্যাপারে পূর্ণ সচেতন থাকবে। আল্লাহ পাক বলেন,

فَالصَّالِحَاتُ قَانِتَاتٌ حَافِظَاتٌ لِلْغَيْبِ
সতী নারী আনুগত্যশীল হয় এবং অনুপস্থিত স্বামীর আমানতের ব্যাপারে হেফাযতকারী হয়ে থাকে। সূরা নিসা ৪/৩৪

আর স্বামী তার স্ত্রীকে মন উজাড় করে ভালোবাসবে, সামর্থ অনুযায়ী ভালো খাওয়াবে, ভালো পরাবে এবং তার মন রক্ষা করে চলবে। আল্লাহ তাআলা বলেন,

وَعَاشِرُوهُنَّ بِالْمَعْرُوفِ
তোমরা স্ত্রীদের সঙ্গে সদ্ভাবে আন্তরিকতাপূর্ণ জীবন যাপনে অভ্যস্ত হও। সূরা নিসা ৪/১৯

নবীজী স্বীমী-স্ত্রীর প্রতি একে অপরকে সন্তুুষ্ট রাখার উপর গুরুত্ব আরোপ করে বহু হাদীস বয়ান করেছেন। এক হাদীসে নবীজী বলেন,

خِيَارُكُمْ خِيَارُكُمْ لِنِسَائِهِمْ.
তোমাদের মাঝে ভালো সে-ই, যে তার স্ত্রীর কাছে ভালো। সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং ১৯৭৮

বিদায় হজ্জের ভাষণে লাখো মানুষের সামনে নবীজী বলেন,

فَاتَّقُوا اللهَ فِي النِّسَاءِ
নারীদের প্রতি হস্তক্ষেপের ক্ষেত্রে তোমরা আল্লাকে ভয় করো। (আমি তোমাদেরকে নারীদের সঙ্গে ভালো আচরণ করার অসিয়ত করছি। তোমরা আমার এই অন্তিম নসীহত ভুলে যেও না।) সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ১২১৮

একটি হাদীসে নবীজী বলেন,

إِنَّ مِنْ أَكْمَلِ الْمُؤْمِنِينَ إِيمَانًا أَحْسَنُهُمْ خُلُقًا وَأَلْطَفُهُمْ بِأَهْلِهِ.
মুসলমানদের মাঝে পূর্ণাঙ্গ মুমিন সে, যার চরিত্র ভালো এবং ঘরের স্ত্রীর সঙ্গে যে সবচে বেশি কোমল ও মুহাব্বতপূর্ণ আচরণ করে। সুনানে তিরমিযী, হাদীস নং ২৬১২

অপর দিকে নারীদের লক্ষ্য করে নবীজী বলেন,

وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ لَا تُؤَدِّي الْمَرْأَةُ حَقَّ رَبِّهَا حَتَّى تُؤَدِّيَ حَقَّ زَوْجِهَا
কসম ঐ আল্লাহর, যার হাতে আমার প্রাণ! নারী ততক্ষণ পর্যন্ত আল্লাহ পাকের হক আদায়কারী বলে গণ্য হবে না, যতক্ষণ না সে তার স্বামীর ন্যায়ানুগ হকগুলি আদায় করবে। সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং ১৮৫৩

অন্য হাদিসে নবীজী এরশাদ করেন,

إِذَا دَعَا الرَّجُلُ امْرَأَتَهُ إِلَى فِرَاشِهِ فَأَبَتْ فَبَاتَ غَضْبَانَ عَلَيْهَا لَعَنَتْهَا المَلاَئِكَةُ حَتَّى تُصْبِحَ
স্বামী যদি তার স্ত্রীকে প্রেমের শয্যায় আহ্বান করে কিন্তু অকারণে সেই স্ত্রী তার আহ্বান প্রত্যাখ্যান করে, তবে রাতভর ফেরেশতারা ঐ নারীর উপর অভিশাপ দিতে থাকে। সহীহ বুখারী, হাদীস নং ৩২৩৭

আরেক হাদীসে নবীজী বলেন,

أَيُّمَا امْرَأَةٍ مَاتَتْ وَزَوْجُهَا عَنْهَا رَاضٍ دَخَلَتِ الجَنَّةَ.
যে নারী প্রিয় স্বামীকে সন্তুষ্ট রেখে মৃত্যু বরণ করে, সে নারী সোজা গিয়ে জান্নাতে প্রবেশ করে। সুনানে তিরমিযী, হাদীস নং ১১৬
948 views04:24
ओपन / कमेंट
2021-08-17 12:21:13 ❐ স্ত্রীর মন জয় করার কিছু টিপস:
:
গ্রুপে বা নিজের টাইমলাইনে ‘স্বামীর মন জয় করার টিপস’, ‘স্বামীকে বশে আনার হালাল যাদু’ বা ‘স্বামীর জন্য স্ত্রীদের করণীয়’ বিষয়ক পোষ্ট করলে অনেক বোন বেজার হয়ে বলেন, শুধু স্বামীর জন্য এতো কিছু করতে বলেন অথচ স্ত্রীদের প্রতি স্বামীদের কি কোন করণীয়/কর্তব্য নেই? সে বিষয়ে লেখেন না কেন?
হ্যা আপুরা আজ সেই বিষয় নিয়ে আপনাদের সামনে উপস্থিত হলাম।
স্বামীদের জন্য করণীয় বিষয়গুলো এমনঃ
১. বাহির থেকে ঘরে ফেরার সময় স্ত্রীর জন্য তার পছন্দের খাবার নিয়ে আসুন।
চটপটি ফুচকা চিপস আচার আইসক্রিম বা এ জাতীয় কিছু!
২. মাসে অন্তত একদিন স্ত্রীকে গিফট করুন! ফুল। বই। চুড়ি।
কিংবা বিভিন্ন প্রসাধনী সামগ্রী।
মেয়েরা সাধারণত গিফট পেতে পছন্দ করে।
আর তা যদি হয় সবচেয়ে পছন্দের মানুষটির তরফ থেকে, তাহলে তো কথাই নেই!
৩. পর্দা রক্ষার পরিবেশ থাকলে ছুটির দিনগুলোতে স্ত্রীকে নিয়ে ঘুরতে যান। রেস্টুরেন্টে খেতে নিয়ে যান।
সুযোগ হলে স্ত্রীকে নিয়ে দৌড় প্রতিযোগিতার সুন্নাতটুকুও আদায় করে নিন!
৪. হেল্প করুন।
স্ত্রীকে মাঝেমধ্যে রান্নার টুকিটাকি কাজে হেল্প করুন।
রান্নার ফাঁকে যখন প্রিয় মানুষটা ঘেমে উঠবে, একটু কাছে গিয়ে তার কপালের ঘামটা মুছে দিন।
আদরে বলুন–তুমি একটু রেস্ট নাও বাকিটা আমি দেখছি।
৪. স্ত্রীর চুল আচড়ে দিন।
বেণী বেঁধে দিন।
চুল আঁচড়ানোয় মেয়েরা একটু সময় নিতে পছন্দ করে।
গল্প করতে ভালোবাসে।
আপনিই হোন তার সঙ্গী।
খোশগল্প করার এটা কিন্তু সুবর্ণ সুযোগও বটে!
৫. মাঝেমধ্যে আপনিও স্ত্রীর কাপড় চোপড় ধুয়ে দিন।
মাথাব্যথা না হলেও তার মাথাটা টিপে দিন। নাকটাও টিপে দিতে পারেন! হাহাহা...
৬. সবসময় একসাথে খাবার গ্রহণ করুন। সম্ভব হলে এক প্লেটেই খাবার খান।
এতে আরও ভালোবাসা বৃদ্ধি পায়।
স্ত্রীর মুখে লোকমা তুলে দিন।
আপনাকে খাইয়ে দেবার সময় প্রিয়তমার আঙুলে মৃদু কামড় দিতে ভুলবেন না আবার!
৭. বাইরে বের হবার আগে কিংবা মসজিদে নামাজে যাবার আগে স্ত্রীকে আদর করে বের হোন।
তার কপালে ভালবাসার চিহ্ন এঁকে দিন।
আল্লাহর হাওয়ালা করে রেখে যান।
৮. সপ্তাহের শুক্রবারে স্ত্রীর কাজগুলো আপনি করুন।
রান্না, ঘরমোছা ইত্যাদি।
স্ত্রী তো আপনার সাথেই থাকবে।
ভয় কীসের!
আর দেখবেন কাজগুলো সে নিজেই করে নেবে!
বলবে–আমার মিষ্টি স্বামীটা হাঁপিয়ে উঠেছে রে।
তার এখন বিশ্রাম দরকার।
স্ত্রীর এই হাসিমুখটাই তো আপনার জান্নাত!
৯. স্ত্রীকে নিয়ে জোছনা উপভোগ করুন। ছাদে-ব্যালকনিতে বসে এক কাপ চা বা কফির পেয়ালায় চুমুক দিয়ে তুমুল গল্প করুন!
স্ত্রীকে ‘নাশীদ’ শোনান, তার থেকেও শুনুন!
১০. সামান্য থেকে সামান্য কাজেরও প্রশংসা করুন।
মনে রাখবেন সবাই প্রশংসা শুনতে ভালোবাসে।
আর মেয়েরা তাদের স্বামীদের থেকে প্রশংসা পাওয়াটাকে অধিকারই মনে করে!
খেতে বসে একটু বাজে হলেও রান্নার দোষ ধরবেন না।
স্ত্রীই তো বুঝতে পারবে, আপনার বলার কী দরকার!
১১. স্ত্রীর সৌন্দর্যের প্রশংসা করুন। মাশাআল্লাহ তোমার বয়স তো দেখি অর্ধেক কমে গেছে, তোমাকে একদম হুরপরীর মতো লাগছে, তোমাকে নতুন বউ নতুন বউ মনে হচ্ছে।
এ জাতীয় বাক্য দ্বারা।
মাঝেমধ্যে তার প্রশংসায় কবিতা কিংবা দু'চার লাইনে অনুভূতি লিখে তাকে দেখাতে পারেন।
খুউব খুশি হবে।
১২. তাহাজ্জুদের সময় স্ত্রীকে জাগিয়ে দিন। স্ত্রীকে শুনিয়ে মুনাজাতে আল্লাহকে বলুন– আল্লাহ! জীবনসঙ্গিনী হিসেবে তাকে পেয়ে আমি সন্তুষ্ট।
তুমিও তার প্রতি সন্তুষ্ট থেকো।
তার ভুল-ত্রুটি ক্ষমা করে দিয়ো।
তাকে জান্নাতে আমার হুরদের সর্দারনী বানিয়ো।
তার কোলে মাথা রেখে কুরআন তেলাওয়াত করুন।
ইনশা আল্লাহ ভালোবাসার পাশাপাশি শ্রদ্ধাবোধটুকুও সুদৃঢ় হবে।
১৩. স্ত্রীকে কখনোই ‘তুই’ সম্বোধন করবেন না।
কখনোই গায়ে হাত তুলবেন না।
এই দু'টো বিষয় প্রতিজ্ঞা করে নিন।
মনে রাখবেন, সে আপনার সন্তানের মা। আপনার সন্তানের বেহেশত তার পদতলে! কীভাবে আপনি তার অসম্মান করেন!
১৪. কোনো মেয়ের আলোচনা বা প্রশংসা স্ত্রীর কাছে করবেন না।
মনে রাখবেন, এরা বেশি জেদি।
আবার সন্দেহপ্রবণও।
স্বামীর ভালোবাসায় এরা কারো ভাগ সহ্য করতে পারে না।
আপনি হয়তো সাদা দীলে অন্য মেয়ের প্রশংসা করলেন, কিন্তু আপনার স্ত্রী মনে মনে রহস্যের খুঁজে নেমে পড়বে।
১৫. অপছন্দনীয় কিছু দৃষ্টিগোচর হলে সরাসরি আলোচনা করবেন।
কখনোই সন্দেহ মনে পুষে রাখবেন না। অবিশ্বাস করবেন না।
সন্দেহ একটি মারাত্মক ব্যাধি।
ভালোবাসা অনেকটাই কিন্তু বিশ্বাস-অবিশ্বাসের উপর নির্ভর করে!

- মাসিক আদর্শ নারী
1.1K views09:21
ओपन / कमेंट
2021-08-16 17:59:52 সাঈদ বিন মুসাইয়িব রাহিমাহুল্লাহুর বয়স ৮৪ বছর, তখন তার এক চোখ নষ্ট, আরেকটির দৃষ্টিশক্তিও একেবারে দুর্বল, এমতাবস্থায় তিনি বললেন, আমার কাছে নারীর চেয়ে বেশি ভয়ঙ্কর আর কিছু নেই।

(সিয়ারু আলামীন নুবালা, ৪/২৩৭)
917 views14:59
ओपन / कमेंट
2021-08-12 22:06:38 ইবনু মাস্‘ঊদ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন,

একদিন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জনৈকা নারীর প্রতি দৃষ্টি নিক্ষেপ হওয়ায় (তাঁর মনে তা প্রভাব পড়ায়) তিনি তৎক্ষণাৎ স্বীয় স্ত্রী সাওদাহ্ (রাঃ) - এর নিকট গেলেন। ঐ সময়ে সাওদাহ্ (রাঃ) সুগন্ধি প্রস্তুত করছিলেন এবং তাঁর কাছে কয়েকজন নারী বসে ছিল। তারা রসূলল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে দেখে সাওদাহ্ (রাঃ)-কে একাকী ছেড়ে চলে গেল। তখন তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) নিজ চাহিদা পূরণ করলেন। অতঃপর ঘোষণা করলেন যে, অপর নারী দর্শনে কোনো পুরুষের হৃদয়ে চাঞ্চল্যের ( কামভাবের ) সৃষ্টি হলে সে যেন স্বীয় স্ত্রীর নিকট যায়। কেননা ঐ নারীর সদৃশ তার ( প্রত্যেক ) স্ত্রীর নিকটও আছে।
(দারিমী)[1]

[1] সানাদ হাসান : দারিমী ২২৬১। হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
1.4K viewsedited  19:06
ओपन / कमेंट
2021-08-12 14:16:53 " যদি কোন জান্নাতী নারী ( হুর ) ঘুটঘুটে অন্ধকার রাতে আমাদের এই আকাশে আত্মপ্রকাশ করে তবে গোটা দুনিয়া পূর্নিমার রাতের চেয়েও বেশি আলোকিত হয়ে ওঠবে এবং জগতবাসী তার সুঘ্রাণ পাবে। "

- ক্বা'ব রাহিমাহুল্লাহ
[ আবু নুআইম, হিলইয়া, ৫/৩৬৮ ]
1.4K viewsedited  11:16
ओपन / कमेंट
2021-08-12 13:29:59 স্বামীর স্ত্রীর একে অপরের প্রতি কিছু কর্তব্য_স্ত্রীদের জন্য রাসূলুল্লাহ ﷺ এর শিখানো বিশেষ কিছু আমল।

- ড. মুফতি কাজী ইবরাহীম হাফিজাহুল্লাহ
https://t.me/HalalRomanticism
1.4K viewsedited  10:29
ओपन / कमेंट
2021-08-12 08:56:47 ❝ যেসব দরিদ্র মুসলমান ধর্মকর্মের হিফাযাতের জন্য বিবাহ করতে ইচ্ছুক, কিন্তু আর্থিক সংগতি নেই আল-কুরআনের আয়াতে তাদের জন্য সুসংবাদ রয়েছে। তারা এরূপ সৎ উদ্দেশ্যে বিবাহ করলে, আল্লাহ তা'আলা তাদেরকে দয়া করে আর্থিক স্বাচ্ছন্দ দান করবেন।
(আল কুরআন, ২৪:৩৩).
.
আব্দুল্লাহ ইবন মাসঊদ [রা.] বলেন, তোমরা যদি ধনী হতে চাও তবে বিবাহ করো, কেননা আল্লাহ তা'আলা বলেন-

'তারা যদি দরিদ্র হয় তবে আল্লাহ তা'আলা তাদেরকে ধনাঢ্য করবেন।'
(আল কুরআন, ২৪:৩২)
.
তাফসীরে মাজহারীতে বলা হয়েছে যে, বিবাহ করার কারণে মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে ধনাঢ্য করার ওয়াদা তখনই,যখন পবিত্রতা সংরক্ষণ ও সুন্নাত পালনের নিয়্যতে বিবাহ করা হয়। অতঃপর মহান আল্লাহর উপর তাওয়াক্কুল ও ভরসা করা হয়৷ আল্লাহ তা'আলা বলেন-

"যাদের বিবাহের সামর্থ্য নেই তারা যেন সংযম অবলম্বন করে যে পর্যন্ত না আল্লাহ তা'আলা স্বীয় অনুগ্রহে তাদেরকে অভাবমুক্ত করে দেন" (আল কুরআন, ২৪:৩৩)
.
এ আয়াতে তাকে ধৈর্য ধরতে বলা হয়েছে। এ ধৈর্যের জন্য হাদীসে একটি কৌশলও বলে দেয়া হয়েছে৷ তা হলো তারা বেশি পরিমাণে রোযা রাখবে৷ তারা এরূপ করলে আল্লাহ তা'আলা স্বীয় অনুগ্রহে তাদেরকে বিবাহের সামর্থ্য পরিমাণ অর্থ-সম্পদ দান করবেন।
(তাফসীরে মাজহারী)। ❞

[ আল কুরআনুল কারীম সংক্ষিপ্ত বিশ্বকোষ: ১/১৭৯; নিবন্ধ : আল-আয়ামা, নং: ১১৯, প্রাবন্ধিক: মোঃ আফজাল হোসেন, ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ ]
https://t.me/SabarForJannah
1.0K views05:56
ओपन / कमेंट
2021-08-12 08:54:46 .
(১০) উভয়ে উভয়ের পরিবারকে সম্মান করা:
.
স্বামী তার স্ত্রীর পরিবারের লোকদেরকে যথাযথ সম্মান দেবে, বছরে কমপক্ষে ২/১ বার স্ত্রীকে তার বাবার বাড়ি যেতে দেবে। এক্ষেত্রে কোনোধরনের হস্তক্ষেপ করবে না। স্ত্রী যদি তার নিজের টাকা থেকে তার বাবা-মা অথবা অন্যদেরকে সহযোগিতা করে, তবে স্বামী বাধা দিতে পারবে না। একইভাবে স্ত্রীও তার স্বামীর পরিবারের সদস্যদের সাথে সুন্দর আচরণ করবে। স্বামী যদি তাদেরকে কিছু দেয়, তবে মন খারাপ করবে না।
.
#Tasbeeh
1.0K views05:54
ओपन / कमेंट
2021-08-12 08:54:46 সুখী দাম্পত্যজীবনের জন্য ১০টি করণীয়
(কুরআন-হাদিসের নির্দেশনা এবং পূর্বসূরিদের অভিজ্ঞতা ও পরামর্শের আলোকে):
.
(১) পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধা ও উত্তম আচরণ:
.
অনেক দম্পতির মাঝে ভালোবাসা সত্ত্বেও প্রায়ই ঝামেলা হয়। কারণ তারা একে অপরকে সম্মান দিতে জানে না। এটা খুব জরুরি। আয়িশা (রা.) বলেন, নবিজি কোনোদিন তাঁর কোনো স্ত্রীর গায়ে আঘাত করেননি (মুসলিম, আস-সহিহ: ২৩২৮)।
.
(২) ভালোবাসা প্রকাশ করা:
.
এটা তো সবাই জানি, একটি সম্পর্কের স্থায়িত্বের জন্য ভালোবাসার কোনো বিকল্প নেই। তবে, ভালোবাসা শুধু মনে না রেখে মুখেও রাখতে হবে। মাঝেমধ্যে লজ্জা ঝেড়ে ‘I Love You’ বা এ জাতীয় কথা মুখ ফুটে বলতে হবে। আয়িশা (রা.) পাত্রের যে স্থানে মুখ দিয়ে পান করতেন, নবিজি ঠিক সেখানে মুখ দিয়ে অবশিষ্ট পান করতেন। অথচ তখন তিনি হায়েযা (পিরিয়ডে) ছিলেন। [নাসায়ি, আস-সুনান: ৩৮৭]
.
(৩) পারস্পরিক বিশ্বাস ও সুধারণা:
.
একে অপরকে চোখ বুজে বিশ্বাস করার মতো আস্থা তৈরি করতে হবে। জীবনসঙ্গীর সাথে কখনও মিথ্যা বলা যাবে না বা প্রতারণা করা যাবে না। একবার বিশ্বাস ভেঙে গেলে সম্পর্কে ফাটল তৈরি হয়। তাই, কখনই এমন কিছু করা যাবে না, যার ফলে পরস্পরে অবিশ্বাস, সন্দেহ ও আস্থাহীনতা তৈরি হয়।
.
খুব ভালোভাবে জেনে রাখবেন: দাম্পত্যসম্পর্কের স্থায়িত্ব ও দৃঢ়তার খুঁটি হিসেবে তিনটি বিষয় কাজ করে: পারস্পরিক ভালোবাসা, একে অপরকে সম্মান করা এবং পরস্পরে বিশ্বাস রাখা। এর কোনোটি না থাকলে সম্পর্ক জটিল হয়ে পড়ে।
.
(৪) পরস্পরের জন্য আন্তরিকভাবে দু‘আ করা:
.
কুরআন থেকে সুন্দর একটি দু‘আ:
.
رَبَّنَا هَبْ لَـنَا مِنْ اَزْوَاجِنَا وَذُرِّيّٰتِنَا قُرَّةَ اَعْيُنٍ وَّاجْعَلْنَا لِلْمُتَّقِيْنَ اِمَامًا
.
অর্থ: হে আমাদের রব! আমাদেরকে এমন স্ত্রী ও সন্তানাদি দান করুন, যারা আমাদের চোখ জুড়িয়ে দেয় আর আমাদেরকে মুত্তাকিদের নেতা বানান। [সূরা আল-ফুরক়ান, আয়াত: ৭৪]
.
এটি স্বামীর জন্য স্ত্রীও পড়তে পারবেন।
.
(৫) প্রতিযোগিতা নয়, চাই সহযোগিতা:
.
আয়িশা (রা.) নবিজি সম্পর্কে বলেন, ‘তিনি স্ত্রীদের কাজে সহযোগিতা করতেন।’ [বুখারি, আস-সহিহ: ৬০৩৯]
.
অন্য হাদিসে এসেছে, ‘‘নারী তার স্বামীর পরিবার, সন্তান-সন্ততির উপর দায়িত্বশীল; সে এসব বিষয়ে জিজ্ঞাসিত হবে।’’ [বুখারি, আস-সহিহ: ৬৬৫৩]
.
জীবনসঙ্গীকে কখনও ‘প্রতিযোগী’ ভাববেন না, বরং ‘সহযোগী’ মনে করুন। দুটো দেহের একটি আত্মা হয়ে চলুন। স্যাক্রিফাইস করার মানসিকতা গড়ুন।
.
(৬) স্বামীর দায়িত্ব ও স্ত্রীর আনুগত্য:
.
দাম্পত্যজীবনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, স্বামীকে অবশ্যই তার স্ত্রী ও সংসারের যাবতীয় বিষয়ে দায়িত্ব নিতে হবে। আর, স্ত্রীকে অবশ্যই স্বামীর সকল বৈধ আদেশ মানতে হবে। কারণ, আল্লাহ স্বামীকে দায়িত্বশীল বানিয়েছেন। সুতরাং পরিবারের কর্তা হিসেবে স্বামীর আনুগত্য করতে হবে। তবে, এই আনুগত্যের দোহাই দিয়ে স্ত্রীর উপর যেভাবে ইচ্ছা সেভাবে ছড়ি ঘুরানো যাবে না। বরং স্ত্রীর সাথে যথাসাধ্য পরামর্শ করে সংসারকে সুশোভিত করার চেষ্টা করতে হবে।
.
(৭) তৃতীয় পক্ষ থেকে সতর্কতা:
.
দাম্পত্যজীবনে মনোমালিন্য হওয়া খুব স্বাভাবিক ব্যাপার। তবে, এই মনোমালিন্যের বিষয়টি নিজেদের মাঝে রাখতে হবে এবং নিজেরা নিজেরা মীমাংসা করতে হবে। কখনই কোনো তৃতীয় পক্ষকে সমাধানের জন্য আনা যাবে না। মনে রাখবেন, অধিকাংশ তালাক হয় তৃতীয় পক্ষের ইন্ধনের কারণে। সমাধানের জন্য এসে সংসারটা ভেঙে বিদায় নেয়। তবে, কখনও বড় ধরনের ঝামেলা হলে পারিবারিকভাবে সমাধান করার চেষ্টা করতে হবে।
.
(৮) কারও সাথে তুলনা নয়:
.
কোনো মানুষ পারফেক্ট না। প্রত্যেকের কম-বেশি ঘাটতি থাকে। তাই, কখনও অন্যের উদাহরণ দিয়ে জীবনসঙ্গীর ঘাটতি নিয়ে কথা বলা যাবে না। এই বিষয়টি সংসারে প্রচণ্ড বিদ্বেষ তৈরি করে এবং কুধারণার সূত্রপাত ঘটায়। অহেতুক সন্দেহের বীজ রোপিত হয় নিজেদের পবিত্র সম্পর্কে।
.
আব্দুর রাযযাক আল হালাবি (রাহ.) উপদেশ দিতে গিয়ে বলেন, ‘তোমার স্ত্রীর সামনে অন্য কোনো নারীর প্রশংসা করা থেকে বিরত থাকবে। তাছাড়া, তোমার মায়ের সামনেও তোমার স্ত্রীর প্রশংসা করা থেকে বিরত থাকবে।’
.
(৯) একসাথে রাগা যাবে না:
.
সাহাবি আবুদ দারদা (রা.) তাঁর স্ত্রী উম্মু দারদাকে বলেছিলেন, ‘যখন আমি রাগান্বিত থাকবো, তখন তুমি আমাকে খুশি করবে আর যখন তুমি রাগান্বিত থাকবে, তখন আমি তোমাকে খুশি করবো। এমনটি না করলে একসাথে চলা সম্ভব হবে না।’ [ইবনু হিব্বান, রওদ্বাতুল উক্বালা, পৃষ্ঠা: ২০৪]
.
অনেক পুরুষ মনে করেন, কোনো স্ত্রী কখনও স্বামীর উপর রাগ করতে পারবে না। অথচ, কখনও কখনও নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাথে অভিমান করে তাঁর স্ত্রীরা তাঁর থেকে পুরো দিন দূরে থেকেছেন। (বুখারি, আস-সহিহ: ৮৯; মুসলিম, আস-সহিহ: ১৪৭৯)। যদিও তাঁরা বেয়াদবি করতেন না। প্রয়োজনে অভিমানমিশ্রিত রাগারাগি দোষের কিছু নয়।
1.1K views05:54
ओपन / कमेंट
2021-08-12 08:54:01 'বিয়ে না হওয়া' বিষয়ক সমস্যার জন্য সেলফ রুকইয়াহ গাইড - Ruqyah Support BD
http://ruqyahbd.org/blog/1668/self-ruqyah-guide-for-marriage-problem?utm_source=ReviveOldPost&utm_medium=social&utm_campaign=ReviveOldPost
710 viewsedited  05:54
ओपन / कमेंट