স্বামী-স্ত্রীর পারস্পরিক হকসমূহঃ মানুষের পারস্পরিক সম্পর্কের | হালাল রোমান্টিসিজম
স্বামী-স্ত্রীর পারস্পরিক হকসমূহঃ
মানুষের পারস্পরিক সম্পর্কের মাঝে স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক অতিগুরুত্বপূর্ণ এবং অপরিহার্য সম্পর্ক। সুতরাং এ ব্যাপারেও ইসলামের সুষ্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে। সেই নির্দেশনাগুলোর সারমর্ম হচ্ছে, একজন স্ত্রী তার স্বামীর আনুগত্য এবং কল্যাণকামিতার ব্যাপারে পূর্ণ সচেতন থাকবে। আল্লাহ পাক বলেন,
فَالصَّالِحَاتُ قَانِتَاتٌ حَافِظَاتٌ لِلْغَيْبِ
সতী নারী আনুগত্যশীল হয় এবং অনুপস্থিত স্বামীর আমানতের ব্যাপারে হেফাযতকারী হয়ে থাকে। সূরা নিসা ৪/৩৪
আর স্বামী তার স্ত্রীকে মন উজাড় করে ভালোবাসবে, সামর্থ অনুযায়ী ভালো খাওয়াবে, ভালো পরাবে এবং তার মন রক্ষা করে চলবে। আল্লাহ তাআলা বলেন,
وَعَاشِرُوهُنَّ بِالْمَعْرُوفِ
তোমরা স্ত্রীদের সঙ্গে সদ্ভাবে আন্তরিকতাপূর্ণ জীবন যাপনে অভ্যস্ত হও। সূরা নিসা ৪/১৯
নবীজী স্বীমী-স্ত্রীর প্রতি একে অপরকে সন্তুুষ্ট রাখার উপর গুরুত্ব আরোপ করে বহু হাদীস বয়ান করেছেন। এক হাদীসে নবীজী বলেন,
خِيَارُكُمْ خِيَارُكُمْ لِنِسَائِهِمْ.
তোমাদের মাঝে ভালো সে-ই, যে তার স্ত্রীর কাছে ভালো। সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং ১৯৭৮
বিদায় হজ্জের ভাষণে লাখো মানুষের সামনে নবীজী বলেন,
فَاتَّقُوا اللهَ فِي النِّسَاءِ
নারীদের প্রতি হস্তক্ষেপের ক্ষেত্রে তোমরা আল্লাকে ভয় করো। (আমি তোমাদেরকে নারীদের সঙ্গে ভালো আচরণ করার অসিয়ত করছি। তোমরা আমার এই অন্তিম নসীহত ভুলে যেও না।) সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ১২১৮
একটি হাদীসে নবীজী বলেন,
إِنَّ مِنْ أَكْمَلِ الْمُؤْمِنِينَ إِيمَانًا أَحْسَنُهُمْ خُلُقًا وَأَلْطَفُهُمْ بِأَهْلِهِ.
মুসলমানদের মাঝে পূর্ণাঙ্গ মুমিন সে, যার চরিত্র ভালো এবং ঘরের স্ত্রীর সঙ্গে যে সবচে বেশি কোমল ও মুহাব্বতপূর্ণ আচরণ করে। সুনানে তিরমিযী, হাদীস নং ২৬১২
অপর দিকে নারীদের লক্ষ্য করে নবীজী বলেন,
وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ لَا تُؤَدِّي الْمَرْأَةُ حَقَّ رَبِّهَا حَتَّى تُؤَدِّيَ حَقَّ زَوْجِهَا
কসম ঐ আল্লাহর, যার হাতে আমার প্রাণ! নারী ততক্ষণ পর্যন্ত আল্লাহ পাকের হক আদায়কারী বলে গণ্য হবে না, যতক্ষণ না সে তার স্বামীর ন্যায়ানুগ হকগুলি আদায় করবে। সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং ১৮৫৩
অন্য হাদিসে নবীজী এরশাদ করেন,
إِذَا دَعَا الرَّجُلُ امْرَأَتَهُ إِلَى فِرَاشِهِ فَأَبَتْ فَبَاتَ غَضْبَانَ عَلَيْهَا لَعَنَتْهَا المَلاَئِكَةُ حَتَّى تُصْبِحَ
স্বামী যদি তার স্ত্রীকে প্রেমের শয্যায় আহ্বান করে কিন্তু অকারণে সেই স্ত্রী তার আহ্বান প্রত্যাখ্যান করে, তবে রাতভর ফেরেশতারা ঐ নারীর উপর অভিশাপ দিতে থাকে। সহীহ বুখারী, হাদীস নং ৩২৩৭
আরেক হাদীসে নবীজী বলেন,
أَيُّمَا امْرَأَةٍ مَاتَتْ وَزَوْجُهَا عَنْهَا رَاضٍ دَخَلَتِ الجَنَّةَ.
যে নারী প্রিয় স্বামীকে সন্তুষ্ট রেখে মৃত্যু বরণ করে, সে নারী সোজা গিয়ে জান্নাতে প্রবেশ করে। সুনানে তিরমিযী, হাদীস নং ১১৬