Get Mystery Box with random crypto!

Bangladesh Islami Chhatrashibir

टेलीग्राम चैनल का लोगो bangladeshislamichhatrashibir — Bangladesh Islami Chhatrashibir B
टेलीग्राम चैनल का लोगो bangladeshislamichhatrashibir — Bangladesh Islami Chhatrashibir
चैनल का पता: @bangladeshislamichhatrashibir
श्रेणियाँ: धर्म
भाषा: हिंदी
ग्राहकों: 13.62K
चैनल से विवरण

Official Telegram Channel of Bangladesh Islami Chhatrashibir.
Social Media Link :
Facebook : www.fb.com/bangladeshislamichhatrashibir
Twitter : www.twitter.com/info_shibir
Youtube : www.youtube.com/IslamiChhatrashibir

Ratings & Reviews

2.50

2 reviews

Reviews can be left only by registered users. All reviews are moderated by admins.

5 stars

0

4 stars

0

3 stars

1

2 stars

1

1 stars

0


नवीनतम संदेश 30

2021-08-30 18:40:03 ছাত্রশিবির ঝিনাইদহ শহর শাখা সেক্রেটারি আসাদুজ্জামানের সম্মানিতা মা পরিছন্নেসা’র ইন্তেকালে গভীর শোক প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির।

এক যৌথ শোকবার্তায় ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি সালাহউদ্দিন আইউবী ও সেক্রেটারি জেনারেল রাশেদুল ইসলাম বলেন, তিনি আজ ৩০ আগস্ট সকাল ৬টায় ইন্তেকাল করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তিনি জটিল কিডনি রোগে আক্রান্ত ছিলেন। তার ইন্তেকালে ছাত্রশিবির একজন শ্রদ্ধাভাজন মায়ের স্নেহ থেকে বঞ্চিত হলো। ছাত্রশিবিরের প্রতি তার অকৃত্তিম ভালোবাসা ও উৎসাহ আমাদের অনুপ্রাণিত করত । তাঁর ইন্তেকালে ছাত্রশিবিরের সকল জনশক্তি শোকাহত। মহান আল্লাহ তায়ালা তাঁর সকল নেক আমলকে কবুল করুন।

আমরা মহান আল্লাহ তায়ালার কাছে মরহুমার সর্বোচ্চ জান্নাত কামনা করছি এবং শোক সন্তপ্ত পরিবার-পরিজনদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি।
2.2K views15:40
ओपन / कमेंट
2021-08-30 18:40:03
2.0K views15:40
ओपन / कमेंट
2021-08-30 18:25:14 নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, রাষ্ট্রীয়ভাবে নির্মম কায়দায় গুম করার মাধ্যমে রাষ্ট্র ক্ষমতা ধরে রাখা এবং রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের বর্বর পন্থা অবলম্বন করেছিলো নাৎসি বাহিনী। দূর্ভাগ্যবশত একবিংশ শতাব্দিতে জাতিকে এদেশে একই চিত্র দেখতে হচ্ছে। জাতিসংঘ ২০০৬ সালের মাঝামাঝি নাগাদ গুমবিরোধী আন্তর্জাতিক সনদ রচনা করে। এই আন্তর্জাতিক সনদ কার্যকর হয়েছে ২১ ডিসেম্বর ২০১০ থেকে আর ২০১১ থেকে ৩০ আগস্ট গুমের শিকার ব্যক্তিবর্গের জন্য আন্তর্জাতিক দিবস হিসেবে পালিত হচ্ছে। কিন্তু বার বার আহবানের পরও বাংলাদেশ সরকার এ পর্যন্ত আন্তর্জাতিক এ সনদে স্বাক্ষর করেনি। এতেই প্রমাণ হয় সরকারের নাৎসিবাদী মনোভাবের প্রতিফলনই নির্বিচারে অব্যাহত গুমের রাজনীতি। শুধু ছাত্রশিবিরের ৪ জন নেতাকর্মী নয় বরং রাষ্ট্রীয় গুমের শিকার হন বিগ্রেডিয়ার জেনারেল (অবঃ) আমান আযমী ও মীর আহমেদ বিন কাসেমসহ অনেকেই। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী গ্রেপ্তারের পর বহু ছাত্রসহ অনেকের কোন খোঁজ পাওয়া যায়নি। গুম হওয়াদের মা-বাবারা আজও সন্তানদের ফেরার অপেক্ষায় পথ চেয়ে আছে। সহপাঠিরা তাদের ফিরে পাওয়ার আশায় প্রহর গুনছে। একটি স্বাধীন সার্বভৌম দেশের মেধাবী ছাত্ররা, নাগরিকরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে এমনভাবে গুম হয়ে যাবে তা কল্পনাও করা যায়না। এটা কোন সভ্য রাষ্ট্র ব্যবস্থার প্রতিফলন হতে পারেনা।

ছাত্রশিবির নেতৃবৃন্দ বলেন, অন্য সবার মত ওয়ালীউল্লাহ, মুকাদ্দাস, জাকির হোসেন, রেজওয়ান হুসাইন এদেশের সন্তান। সাংবিধানিক ভাবে তাদের ন্যায় বিচার পাবার অধিকার আছে। তাদের সাংবিধানিক অধিকার হরণের অধিকার সরকার বা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নেই। যদিও আইনের ধারক বাহকরাই আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে দুই মেধাবী ছাত্রকে গুম করে রেখেছে। কোন সভ্য সমাজে এমন লোমহর্ষক আচরণ চিন্তা করা যায় না। এত কিছুর পরও আমরা বিশ্বাস করি ওয়ালীউল্লাহ, মুকাদ্দাস, জাকির হোসেন, রেজওয়ান হুসাইন আইনশৃঙ্খলা বাহীনির কাছেই নিরাপদে আছেন। গুমের শিকার ব্যক্তিরা কে কোথায় কিভাবে আছেন তা খুঁজে বের করার দায়িত্ব রাষ্ট্রের। অবিলম্বে তাদেরসহ গুম হওয়া সকলের সন্ধান দিতে হবে। একইভাবে তদন্ত কমিশন গঠন করে গুমের প্রত্যেকটি ঘটনার তদন্ত করে এর সাথে জড়িতদের আইনের আওতায় নিয়ে আসতে হবে। অন্যথায় গুমের সাথে সংশ্লিষ্টদের পরিচয় জাতির কাছে অজ্ঞাত নয়। সময়ের ব্যবধানে গুম হওয়া স্বজনদের আর্তনাদ আর চোখের পানির চরম মূল্য দিতে হবে সমাজবিরোধী, মানবতাবিরোধী ও রাষ্ট্রবিরোধী এই অমানবিক দুষ্কর্মের সাথে সংশ্লিষ্টদের।

নেতৃবৃন্দ এই অমানবিকতার অবসান ঘটিয়ে ৪ শিবির নেতাসহ গুম হওয়া সকল ছাত্র ও নাগরিকের সন্ধান এবং মুক্তি দিতে প্রশাসনের প্রতি আহবান জানান।
2.0K views15:25
ओपन / कमेंट
2021-08-30 18:25:14 আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কর্তৃক গ্রেপ্তারের পর গুম হওয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই মেধাবী ছাত্র শিবির নেতা ওয়ালীউল্লাহ ও আল মুকাদ্দাস, রাজধানীর আদাবর এলাকা থেকে হাফেজ জাকির হোসেন ও যশোর বেনাপোল থেকে রেজওয়ান হুসাইনের সন্ধানের দাবিতে বিবৃতি প্রদান করেছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির।

আন্তর্জাতিক গুম প্রতিরোধ দিবস উপলক্ষ্যে এক যৌথ বিবৃতিতে ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি সালাহউদ্দিন আইউবী ও সেক্রেটারি জেনারেল রাশেদুল ইসলাম বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কর্তৃক গ্রেপ্তারের পর গুম হওয়া সন্তানের জন্য পিতামাতা ও স্বজনদের প্রতিক্ষার প্রহর দীর্ঘ হলেও অমানবিক আচরণেই অটল রয়েছে প্রশাসন। ২০১২ সালে ফেব্রুয়ারির ৪ তারিখ ব্যক্তিগত কাজ শেষে ঢাকা থেকে কুষ্টিয়াগামী হানিফ এন্টারপ্রাইজের ৩৭৫০ নাম্বার গাড়িতে ক্যাম্পাসে যাওয়ার পথে মধ্য রাতে গাড়ি থেকে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের দাওয়াহ এন্ড ইসলামী ষ্টাডিজ বিভাগের মেধাবী ছাত্র, ছাত্রশিবির ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাবেক অর্থ সম্পাদক মো. ওয়ালীউল্লাহ এবং ফিকাহ বিভাগের মেধাবী ছাত্র, বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সাংস্কৃতিক সম্পাদক আল মুকাদ্দাসকে আশুলিয়ার নবীনগর থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী পরিচয়ে গ্রেফতার করে। কিন্তু দীর্ঘ ৯ বছর হয়ে গেলেও আজ পর্যন্ত তাদের গ্রেপ্তারের স্বীকার করেনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। অন্যদিকে ২০১৩ সালের ২ এপ্রিল দিবাগত রাত ৪.০০ টায় সাদা পোশাকধারী আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী শ্যামলী রিং রোডের ১৯/৬ টিক্কাপাড়া, বাসা থেকে হাফেজ জাকির হোসেনকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যায়। ৮ বছর পেরিয়ে গেলেও তার কোন সন্ধান দেয়নি পুলিশ। একইভাবে ২০১৬ সালের ৪ আগস্ট দুপুর ১২টায় বেনাপোল পোর্ট সংলগ্ন দূর্গাপুর বাজার থেকে বেনাপোল পোর্ট থানার এসআই নূর আলমের উপস্থিতিতে দোকান মালিক কর্মচারীসহ অসংখ্য মানুষের সামনে থেকে গ্রেফতার করা হয় শিবির কর্মী রেজওয়ানকে। ৫ বছর পেরিয়ে গেছে কিন্তু তারও কোন সন্ধান দেয়নি পুলিশ। তাদের গ্রেপ্তারের পর পরই পুলিশ ও প্রশাসনের বিভিন্ন অফিসে যোগাযোগ করা হয় এবং আমরা বিভিন্ন সুত্রে নিশ্চিত হই তাদেরকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হেফজতেই রাখা হয়েছে। তাদের উদ্ধারের জন্য আইন, আদালত ও মানবাধিকার সংস্থাসহ বিভিন্ন সংস্থার দারস্ত হয়েছে তাদের স্বজনরা। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই মেধাবী ছাত্রের গুমের ব্যপারে ২০১২ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি বিচারপতি আব্দুল আউয়াল ও বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ পুলিশের আইজিকে তলব করে দু’ছাত্র নিখোঁজ হওয়ার ব্যপারে তদন্তের অবস্থা সম্পর্কে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়। অন্যদিকে ৪ শিবির নেতার সন্ধানের দাবিতে ক্যাম্পাসে ধর্মঘট, মানববন্ধন, মিছিলসহ বিভিন্ন আন্দোলন, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলোর সরব প্রতিবাদ এবং হাইকোর্টের নির্দেশনার পর বছর পেরিয়ে গেলেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী গুম করা মেধাবী ছাত্রদের গ্রেপ্তারের কথা স্বীকার বা সন্ধান দেয়নি। উল্টো গুম হওয়া ছাত্রদের সন্ধান করতে গিয়ে তাদের মা-বাবা ও স্বজনদের পুলিশ কর্তৃক নানা হয়রানীর শিকার হতে হয়েছে। এখনো পর্যন্ত গুমের বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। কাউকে গুম করে দেয়া আন্তর্জাতিক আইনেও মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ হিসেবে স্বীকৃৃত। একটি স্বাধীন সার্বভৌম দেশের নাগরিকরা গুমের মতো সমাজবিরোধী, মানবতাবিরোধী ও রাষ্ট্রবিরোধী এই অমানবিক দুষ্কর্মের শিকার হচ্ছে। স্বাধীন দেশে যদি নিরপরাধ ছাত্রদের এভাবে গুম হতে হয়, আর তাদের উদ্ধারের প্রচেষ্টা চালালে যদি হয়রানির শিকার হতে হয় তাহলে জনগণ মনে করে এই স্বাধীনতা অর্থহীন। তাছাড়া একই কায়দায় রাষ্ট্রীয় গুমের শিকার হন বিগ্রেডিয়ার জেনারেল (অবঃ) আমান আযমী ও মীর আহমেদ বিন কাসেম।
2.1K views15:25
ओपन / कमेंट
2021-08-30 18:25:01
1.8K views15:25
ओपन / कमेंट
2021-08-19 16:53:17 উপমহাদেশের প্রখ্যাত আলেমে দ্বীন, হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ-এর সম্মানিত আমীর আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী রাহিমাহুল্লাহর ইন্তেকালে গভীর শোক।

দেশের শীর্ষ ইসলামী চিন্তাবিদ, উপমহাদেশের প্রখ্যাত আলেমে দ্বীন, দারুল উলুম মঈনুল ইসলাম হাটহাজারী মাদরাসার প্রধান মুহাদ্দিস, লক্ষ লক্ষ আলেমের উস্তাদ, হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ-এর সম্মানিত আমীর আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী রাহিমাহুল্লাহর ইন্তেকালে গভীর শোক প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির।

এক যৌথ শোক বার্তায় ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি সালাহউদ্দিন আইউবী ও সেক্রেটারি জেনারেল রাশেদুল ইসলাম বলেন, সর্বজন শ্রদ্ধেয় আলেমে দ্বীন আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী রহিমাহুল্লাহ আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে চট্টগ্রাম নগরীর সিএসসিআর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়াইন্না ইলাইহি রাজিঊন)। তাঁর ইন্তেকালে জাতি এক মহান অভিভাবককে হারালো। তিনি শুধু বাংলাদেশ নয় বরং দক্ষিণ এশিয়ার একজন উজ্জল নক্ষত্র। তিনি নিজে যেমন জ্ঞানী আলেমে দ্বীন ছিলেন তেমনি তিনি বাংলার জমিনে লক্ষ লক্ষ আলেম তৈরিতে ভূমিকা রেখেছেন। তিনি ইসলামের বিভিন্ন বিষয়ে অনেকগুলো বই লিখেছেন।

অন্যদিকে তিনি ছিলেন দল-মত নির্বিশেষে সবার নিকট শ্রদ্ধাভাজন ব্যক্তিত্ব। তিনি দেশে ইসলাম ও ইসলামী আন্দোলনের প্রসার, আলেম সমাজকে ঐক্যবদ্ধকরণ ও ইসলামবিরোধী সকল কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে সোচ্চার ভূমিকা রেখেছেন। ইসলাম, দেশের স্বাধীনতা ও মানুষের অধিকার রক্ষায় তিনি ছিলেন আপোষহীন। ভারতে বাবরী মসজিদ ধ্বংসের প্রতিবাদ, ফারাক্কাবাঁধ নির্মাণের প্রতিবাদ, তাসলিমা নাসরীন কর্তৃক ইসলাম অবমাননার বিরুদ্ধে আন্দোলন, সরকারের ফতোয়াবিরোধী আইন প্রণয়নের প্রতিবাদ ও নাস্তিক্যবাদ বিরোধী আন্দোলনে তিনি প্রথম সারিতে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। হেফাজতে ইসলাম প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে তিনি আলেম সমাজ ও সাধারণ জনগণকে একত্রিত করে তীব্র গণআন্দোলন সৃষ্টি করে আল্লাহর রহমতে নাস্তিক্যবাদের আস্ফালন স্তব্ধ করে দিয়েছিলেন। দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় তাঁর ভূমিকা ছিলো অত্যন্ত বলিষ্ঠ। আপোষহীন অবস্থানে থেকে দ্বীনের দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে তিনি বহুবার আওয়ামী সরকারের জুলুম নির্যাতনের শিকার হন। দীর্ঘ দিন রিমান্ডে নিয়ে নির্যাতনের ফলে তিনি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। বাতিলের নির্মম নির্যাতন বা প্রলোভন কোন কিছুই তাকে সত্য ও ন্যায়ের পথ থেকে বিচ্যুৎ করতে পারেনি। জাতির ক্রান্তিকালে তাঁর মত প্রবীণ আলেমে দ্বীনের ইন্তেকাল হলো। ইসলাম, দেশ ও জনগণের জন্য তাঁর গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা আলেম সমাজ ও জাতি চিরকাল মনে রাখবে ইনশা-আল্লাহ।

আমরা মরহুমের রুহের মাগফিরাত কামনা করছি এবং তাঁর শোক সন্তপ্ত পরিবার-পরিজনদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি। আল্লাহ তায়ালা আমাদের প্রিয় এ আলেমে দ্বীনকে জান্নাতুল ফেরদৌসের মেহমান হিসেবে কবুল করুন। আমীন।
3.4K viewsedited  13:53
ओपन / कमेंट
2021-08-19 16:53:10
2.7K views13:53
ओपन / कमेंट
2021-08-18 17:03:56 তিনি আরো বলেন, জাতির সামনে আজ অসৎ নেতৃত্বের কুফল দিবালোকের মত স্পষ্ট। বাংলাদেশ অসৎ নেতৃত্বের বিষাক্ত ছোবলে ক্ষত বিক্ষত। তাই আজ বাংলাদেশ স্বাধীনতার ৫০ বছরে পা রাখলেও দেশের মানুষ স্বাধীনতার প্রকৃত সুখ থেকে বঞ্চিত থেকে যাচ্ছে। দেশের মানুষের স্বার্থে ছাত্রশিবির অসৎ নেতৃত্ব থেকে বেড়িয়ে এসে সৎ নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠায় তার ভূমিকা আরো জোরদার করছে। গণতন্ত্র ও সাম্য-ন্যায়ের বাংলাদেশ গড়তে দেশের প্রত্যেক নাগরিককে সৎ, দক্ষ ও দেশপ্রেমিক রূপে গড়ে তুলতে ছাত্রশিবির গ্রহণ করেছে সুষ্ঠু পরিকল্পনা। ইসলামী ছাত্রশিবির তার লক্ষ বাস্তবায়নে অটুট। আমরা সকল রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে দেশের জনগণের প্রত্যাশিত স্বাধীনতার প্রকৃত স্বপ্ন পূরণে দৃঢ় অঙ্গীকারাবদ্ধ।

উল্লেখ্য, স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে গত ১২ মার্চ রচনা প্রতিযোগিতা এবং বই পাঠ প্রতিযোগিতা ঘোষণা করে ছাত্রশিবির। পুরস্কার হিসেবে সাত লক্ষ টাকার পুরস্কার ঘোষণা করা হয়।
3.2K viewsedited  14:03
ओपन / कमेंट
2021-08-18 17:03:56 স্বাধীনতার স্বপ্ন পূরণে সৎ নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠার বিকল্প নেই
- মাওলানা রফিকুল ইসলাম খাঁন

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারি সেক্রেটারি ও ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি রফিকুল ইসলাম খাঁন বলেছেন, পাকিস্তানী শাসক গোষ্ঠীর জুলুম-নির্যাতন ও নিপীড়ন উৎখাত করতে দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তানরা নিজেদের বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতার সূর্য ছিনিয়ে এনেছিলো। পৃথিবীর বুকে একটি সুখী, সমৃদ্ধ দেশ গড়ার অঙ্গীকার নিয়ে লাল সবুজের পতাকা অঙ্কন করেছিলো। কিন্তু দুঃখের বিষয়; মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর সেনানীদের সেই লালিত স্বপ্ন আজ অসৎ নেতৃত্বের কারণে ধূলিসাৎ হতে যাচ্ছে। এমতাবস্থায় সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে ও স্বাধীনতার স্বপ্ন পূরণে সৎ নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠার বিকল্প নেই।

তিনি আজ বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের উদ্যোগে "স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি ও ছাত্রশিবিরের ৪৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী" উপলক্ষ্যে আয়োজিত বইপাঠ এবং রচনা প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। কেন্দ্রীয় সভাপতি সালাহউদ্দিন আইউবীর সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি জেনারেল হাফেজ রাশেদুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শ্রদ্ধাভাজন সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি মুহাম্মদ ইয়াছিন আরাফাত।

প্রধান অতিথি বলেন, দেশের স্বাধীনতা তখনই অর্থবহ হয় যখন সেই দেশের প্রত্যেক নাগরিক স্বাধীনতার সুফল ভোগ করতে পারে। আমাদের দেশের সংবিধান সকল নাগরিকের মৌলিক অধিকারের কথা নিশ্চিত করলেও বাস্তবে তার ছিটে ফোঁটাও দেখা যায় না। দেশের দুই তৃতীয়াংশ মানুষকে প্রতিনিয়ত জীবন সংগ্রামে লড়তে হচ্ছে। দারিদ্রসীমার নিচে বসবাস করছে অসংখ্য মানুষ। অথচ সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার মত প্রাকৃতিক সম্পদ ও বিপুল পরিমান মানবসম্পদ আমাদের রয়েছে। কিন্তু অসৎ নেতৃত্ব ও আদর্শিক রাজনৈতিক সংকট আমাদেরকে পিছিয়ে দিচ্ছে। স্বাধীনতা উত্তর বাংলাদেশে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক বৈষম্য পাকিস্তান আমলের তুলনায় কয়েক গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। আজ দেশের মানুষের মৌলিক ও মানবাধিকার বলতে কিছু নেই। ভিন্নমত দমন করতে গিয়ে সংবিধানের কোন তোয়াক্কা করছে না সরকার। প্রতিনিয়ত ক্যাম্পাস হতে জাতীয় রাজনীতির রাজপথে খুন, গুম ও মামলার শিকার হচ্ছে সরকার বিরোধী নেতাকর্মীরা। দেশের আইনশৃঙ্খলা আজ মুখ থুবড়ে পড়েছে। নিজ বাড়ি/বেডরুমেও আজ মানুষের নিরাপত্তা নেই। ক্যাম্পাস ও দেশের বিভিন্ন জায়গায় সরকার দলীয় ক্যাডারদের দ্বারা ধর্ষিত হচ্ছে আমাদের মা-বোনেরা। সরকার একদিকে যেমন জনগণের ভোটের অধিকার কেড়ে নিচ্ছে অন্যদিকে নিজ দলের নেতাকর্মীরা জনগণের জান-মাল লুটে নিতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে।

রফিকুল ইসলাম খাঁন বলেন, জাতির এই দুর্দশা থেকে উত্তোরণের জন্য ছাত্রশিবিরকে এগিয়ে আসতে হবে। দেশের প্রতিটি ক্যাম্পাসে মেধাবী ছাত্রদের নেতৃত্বে আদর্শিক শক্তি গড়ে তুলতে হবে। দেশ বিরোধী ষড়যন্ত্র ও সরকারের প্রতিটি অপকর্মের মোক্ষম জবাব দিতে ছাত্র সমাজকে নিয়ে রাজপথে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে। একই সাথে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার জন্য নিজেদের প্রস্তুত করতে হবে। মেধা ও নৈতিক শক্তিতে বলিয়ান হতে হবে। জ্ঞানের আলোয় আলোকিত হয়ে সমাজ ও রাষ্ট্রকে কাঙ্খিত নেতৃত্ব উপহার দেওয়ার গুরুদায়িত্ব পালন করতে হবে। আমার বিশ্বাস দেশে সৎ নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি স্বাধীনতার প্রত্যাশিত সুখ ছাত্রশিবিরের নেতৃত্বে প্রতিষ্ঠিত হবে।

সভাপতির বক্তব্যে শিবির সভাপতি বলেন, স্বাধীনতার পর এক শ্রেণির অসৎ রাজনীতিবীদদের হাত ধরে মেধাবী ছাত্ররা রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়ে। ক্যাম্পাসগুলো হয়েছিলো মিনি ক্যান্টনমেন্ট। অস্ত্রের ঝনঝনানিতে ক্যাম্পাস একের পর এক মেধাবী ছাত্রদের রক্তে ভেসে গিয়েছিলো। ক্যাম্পাস পরিণত হয়েছিল কসাইখানাতে। ঠিক এই সময় ইসলামী ছাত্রশিবির আলোর মশাল নিয়ে অন্ধকারচ্ছন্ন ক্যাম্পাসকে আলোকিত করেছে। মেধাবী ছাত্রদের সঠিক পথের ও আদর্শিক রাজনীতির দিশা দিয়েছে ছাত্রশিবির। ছাত্রশিবিরের আদর্শিক অগ্রযাত্রা রুখে দিতে বাতিল শক্তি সদা ছিল তৎপর। বিভিন্ন ক্যাম্পাসে ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীদের খুন গুম ছিল বাতিল শক্তির নিয়মিত কাজ। শত বাঁধার পাহাড় সামনে আসলেও ছাত্রশিবির তার আদর্শিক অগ্রযাত্রা থেকে পিছপা হয়নি। সাথীদের রক্ত পিচ্ছিল পথের ওপর দাঁড়িয়ে ছাত্রশিবির এগিয়ে গেছে তার স্বপ্নের দিকে।
3.0K viewsedited  14:03
ओपन / कमेंट
2021-08-18 17:03:46
2.3K views14:03
ओपन / कमेंट