2024-03-11 13:00:06
সূরা আল কাহাফে আমরা দেখি, মুসা আলাইহিস সালামের সাথে খিযির আলাইহিস সালামের একপর্যায়ে সাক্ষাৎ হয়৷ সেই সাক্ষাতে মুসা আলাইহিস সালাম খিযির আলাইহিস সালামের অদ্ভুত সব কাণ্ডকারখানা দেখে বিস্মিত হয়ে পড়েন৷ যদিও সাক্ষাতের শুরুতে খিযির আলাইহিস সালাম শর্তজুড়ে দেন যে—যতো অদ্ভুত ঘটনাই দেখুক, কোনো ধরণের প্রশ্ন করা যাবে না। কিন্তু ঘটনাগুলোর আকস্মিকতা এতো প্রচণ্ড এবং সেগুলো (আপাত) এতোটাই যুক্তিবিরুদ্ধ যে—ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে বারবার মুসা আলাইহিস সালাম প্রশ্ন করে বসতেন।
সেই ঘটনাগুলোর একটা এমন ছিলো যে—খিযির আলাইহিস সালাম একটা ছোট্ট বালককে হত্যা করে ফেলেন। এটা দেখে চমকে যান মুসা আলাইহিস সালাম। কেনো তিনি এটা করলেন সেই প্রশ্ন করে বসেন খিযির আলাইহিস সালামকে।
সেই ঘটনার ব্যাখ্যায় খিযির আলাইহিস সালাম বলেন—এই বালকের পিতা মাতা অত্যন্ত নেককার মানুষ। কিন্তু, বড় হলে সেই ছেলেটা হবে বাবা-মা’র ঠিক বিপরীত। সে হয়ে উঠবে আল্লাহদ্রোহী। তার এই আল্লাহদ্রোহীতা তার পিতামাতার কষ্ট এবং দূর্ভোগের কারণ হবে৷ সেই আশংকা থেকেই তিনি এই বালককে হত্যা করে ফেলেন এবং সাথে এই দুয়াও করেন যে—এর বিপরীতে আল্লাহ যেন সেই পিতামাতাকে নেককার সন্তানাদি দান করেন।
আমার কাছে মনে হয়, এই দেশের যেসব কলেজ আর ইউনিভার্সিটিতে ওপেন কালচার বিদ্যমান আছে, সেসব জায়গায় যেসকল পিতামাতারা নিজেদের সন্তানদের পড়তে পাঠান, জীবনের একটা পর্যায়ে তাদের অনেকেই নিজের সন্তানকে আছাড় দিয়ে মেরে ফেলতে চাইবেন, যেভাবে ছোট্ট বালকটাকে মেরে ফেলেছিলেন খিযির আলাইহিস সালাম। কারণ, সেই সকল সন্তানেরা এমন একটা জীবন আর লাইফস্টাইলকে ধারণ করবে—যেটা নিয়ে বাপ মায়েরা (যদি বাপ মায়েদের মাঝে ন্যুনতম মূল্যবোধ, ধর্মবোধ বজায় থাকে—তবে) সারাজীবন মর্মজ্বালায় ভুগবেন৷ সেই মর্মজ্বালার চাইতে নিজে মরে যাওয়া অথবা সন্তানের মৃত্যু চাওয়াটাকেই ঢের সহজ বলে মনে হবে।
17.2K views10:00