Get Mystery Box with random crypto!

নবিজী সাল্লাললাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নবুয়ত পেয়েছিলেন চল্লিশ বছর | Arif Azad

নবিজী সাল্লাললাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নবুয়ত পেয়েছিলেন চল্লিশ বছর বয়সে৷ কখনো কি ভেবেছেন, এই নবুয়ত পঁচিশ বছরে, ত্রিশ বা পঁয়ত্রিশ বছরে কেনো পেলেন না?

এমন না যে রাসূল সাল্লাললাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যুবক বয়সে চিন্তার দিক থেকে পোক্ত ছিলেন না। অত্যন্ত যুবক বয়সে, দারুন বুদ্ধিমত্তার সাথে তিনি কা’বার দেয়ালে হাজর আল আসওয়াদ পাথর স্থাপন নিয়ে তৈরি হওয়া দ্বন্ধ মিটমাট করে গোটা কুরাইশ জাতিকে আস্ত একটা যুদ্ধ থেকে বাঁচিয়ে আনেন তিনি। ভরা যৌবনের সময়টাতেই হিলফুল ফুযুল নামের সংঘটন করে কর্মমুখরতার ছাপ রেখে যান।

এতদসত্ত্বেও আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা নবিজীকে নবুয়ত দিয়েছেন চল্লিশ বছর বয়সে। কেনো? কারণ, ম্যাচিউরিটি ম্যাটার্স।

সময়ের সাথে সাথে মানুষের চিন্তায় পরিবর্তন আসে। পরিবেশ, পরিস্থিতি থেকে মানুষ শেখে। দীক্ষা লাভ করে।

আমাদের ব্রেইনে একধরণের হরমোন আছে। এই হরমোনের নাম ডোপামিন। যখন কোনোকিছু করে আমরা তড়িৎ আনন্দ পাই, হোক তা ভুল কিংবা সঠিক, আমাদের ব্রেইন থেকে তখন সেই ডোপামিন নিঃসরণ হয়। অথবা বলা যায়—এই ডোপামিন নিঃসরণ হয় বলেই আমরা আনন্দ পাই।

কিন্তু, ম্যাচিউর লোকেরা এই ডোপামিনকে নিয়ন্ত্রণ করতে জানে। তড়িৎ আনন্দের বিষয়গুলো নিয়ে তারা খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে ভাবে আর চিন্তা করে। যদি সেই বিষয়গুলোতে ‘বৃহত্তর কল্যাণ’ খুঁজে পায়, তাহলেই তারা নিজেকে উক্ত বিষয়ে যুক্ত করে।

ফলে, ম্যাচিউরিটির আরেক অর্থ হলো ব্রেইনের ডোপামিনের খেলার পুতুল না হয়ে যাওয়া। এই হরমোনের নাটাই নিজের হাতে রাখা।