Get Mystery Box with random crypto!

দুই. 'attack is the best form of defence' এটা যুদ্ধের একটা গুর | আযযাম আল গালিব

দুই.
"attack is the best form of defence" এটা যুদ্ধের একটা গুরুত্বপূর্ণ মুলনীতি। প্রতিরক্ষার সবচেয়ে ভালো পদ্ধতি হলো শত্রুর আক্রামনের পুর্বেই তার উপর আঘাত করা।এর কারন- শত্রু ফলে যথেষ্ট পরিমান প্রস্তুতি নিতে পারবে না- দ্বিতীয়তো শত্রু আক্রামনের পুর্বেই সে যথেষ্ট পরিমান ক্ষতি স্বীকার হবে।
.
অর্থাৎ আক্রামনের সম্ভাবনা রয়েছে এমন শত্রুর উপরে আগেই বড় আঘাত করা এক ধরনের প্রতিরক্ষা। যুদ্ধের ভাষায় সবচেয়ে ভালো বা বেস্ট প্রতিরক্ষা এটা।
.
৯/১১ হামলা ইমারতের পক্ষ থেকে এই উসুল বাস্তবায়ন করেছে।
.
অনেকে ধারনা করতে পারেন যে আমে_রিকাকে আগে আক্রামন করে আফগানে আনা হয়েছে। এর আগে আফগানে আমে_রিকা ছিলো না আর আমে_রিকার আক্রামনের কোনো সম্ভাবনাও ছিলো না।কিন্তু ৯৬ থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত যারা বাস্তবতা জানেন তারা অবশ্যই জানেন যে নর্দান এলায়েন্সকে প্রতক্ষ ভাবে আমে_রিকা সাহায্য করেছে এছাড়া ইমারতের বিরুদ্ধে বৈশ্বিক অবরোধ তৈরির নেতৃত্ব দিয়েছে আমে_রিকা। শুধু তাই না- শাইখ উ সা মা কে তাদের হাতে তুলে দেয়ার জন্য বহুবার চাপ প্রয়োগ করেছে এবং ৯৭ সালে শাইখ উ সা মাকে লক্ষ করে আমে_রিকা ড্রোন হামলা চালিয়েছে যেখান থেকে অল্পের জন্য বেচে গিয়েছিলেন আমিরুল মুমিনীন।
.
অর্থাৎ ইমারতের বিরুদ্ধে ৯৬ থেকে ২০০০ পর্যন্ত আড়ালে থেকে প্রত্যক্ষ ভাবে আমে_রিকা যুদ্ধের নেতৃত্ব দিয়েছে এবং সর্বশেষ যে প্লান আমে_রিকার ছিলো তা হলো- নাপাক বাহিনীকে সাথে নিয়ে ইমারতের বিরুদ্ধে সরাসরি সামরিক অভিযান পরিচালনা করবে।
.
এ ব্যাপারে শাইখ আবু মু স আ ব আস সু রী রহ. এর কিতাবের উপর মুফতি আবু যর আ য যা ম হাফি. দরস প্রদানকালে আরো বিস্তারিত আলোচনা করেছেন।
.
অর্থাৎ ইমারতের বিরুদ্ধে আমে_রিকার হামলা হবে এটা নিশ্চিত ছিলো।
.
একিউ এর দৃষ্টিভঙ্গি অনুযায়ী ৯০ সাল থেকেই তারা বলে আসছে আমে_রিকা সাপের মাথা।যতদিন আমে_রিকা পরাশক্তি থাকবে ততদিন কোনো মুসলিমদের শরিয়াহ শাসনভিক্তিক ইমারত প্রতিষ্ঠা সম্ভব হবে না। আর কোনো আঞ্চলিক জি হা দও সফল হবে না। একিউ এর গ্লোবাল জি হা দ ও আঞ্চলিক জি হা দের পার্থক্য বুঝলেই এটা সবার কাছে সুস্পষ্ট হবে।
.
অর্থাৎ একিউ এর দৃষ্টিভঙ্গি ৯৬ থেকে ২০০০ পর্যন্ত আমে_রিকার যে আচারন ছিলো তা দেখে বাস্তব সত্যে পরিনত হয়েছিলো এবং ইমারতকে রক্ষা করার স্বার্থেই আড়ালেই শত্রুকে প্রকাশ্যে আনা বা গর্তের সাপকে বাহিরে আনার প্রয়োজন হয়েছিলো। ফলে আমে_রিকায় ৯/১১ আক্রামন করা হয়।
.
অর্থাৎ এটা ছিলো ইমারতের পক্ষ থেকে আত্মরক্ষার জন্য attack
.
ইমারত এখানে মনস্তাত্ত্বিক ভাবেও নিজেদের আত্মরক্ষার ভুমিকায় প্রকাশ করেছে। আর তা হলো হামলার ক্ষেত্রে শাইখ উ সা মা রহ. এর সম্পৃক্ততার প্রমান দাবি করে। আর এটা ছিলো আমে_রিকার পক্ষে অসম্ভব। ফলে আমে_রিকাকে একটা আগ্রাসী শত্রু হিসেবে প্রমান করা সহজ হয়ে গেছে। এটা মনস্তাত্ত্বিক যুদ্ধের ক্ষেত্রে ইমারতের পক্ষে জনসমর্থন পক্ষে রাখার অনেক বড় হাতিয়ার হয়েছে।
.
যারা বলে এই হামলার কারনে ইমারতকে অস্থিতিশীল করা হয়েছে তারা আসলে একিউ এর মানহায ও ইমারতের ইতিহাস সম্পর্কে অজ্ঞ। একিউ ইমারতকে বিপদে ফালাই নাই বরং আমে_রিকার সাথে যুদ্ধে ইমারতকে বিজয়ের জন্য সাহায্য সহযোগীতা করেছে।যা এখন সবার কাছেই স্পষ্ট।