Get Mystery Box with random crypto!

এক. উসুল: প্রথমত মানুষের রক্ত প্রবাহিত করা হারাম। যতক্ষন না তা | আযযাম আল গালিব

এক.
উসুল: প্রথমত মানুষের রক্ত প্রবাহিত করা হারাম। যতক্ষন না তার প্রকৃত অবস্থা সম্পর্কে জানা যাবে যে সে মুমিন নাকি হারবি কাফের।
.
একজন লোক রাস্তা দিয়ে হেটে যাচ্ছে আর আপনি গিয়া তাকে হত্যা করে ফেলতে পারবেন না - সে মুমিন নাকি কাফের এটা না জেনেই।
.
কাফেরদের মধ্যে দুইটা প্রকার কাছে-
এক. হারবী কাফের
দুই. আমান প্রাপ্ত কাফের
.
হারবী কাফেরদের হত্যা করা বৈধ। যার আমান নাই এমন কাফেরকে বিনা কারনে হত্যা করা মুবাহ।
কিন্তু আমানপ্রাপ্ত কাফেরদের হত্যা করা হারাম।
.
নারী শিশু হত্যা করা সম্পুর্ন রূপে হারাম। সে আমানপ্রাপ্ত হোক কিংবা হারবী হোক। সর্বাবস্থায় তাকে হত্যা করা হারাম।
.
মুসলিমদের হত্যা করা সম্পুর্নরূপে হারাম। শুধু বিচারক - হত্যার বদলে হত্যা বা বিবাহিত নারী পুরুষের ব্যভিচারের বিচারের শাস্তি হিসেবে হত্যা করতে পারবেন। কিন্তু সাধারন ভাবে কারো জন্যই কোনো মুসলিমকে হত্যা করা বৈধ না।
.
এই হলো মানুষের জান মাল ও রক্তের নিরাপত্তার ক্ষেত্রে উসুল।
.
যুদ্ধাবস্থায় এই উসুলে কিছুটা পরিবর্তন হয়: যেমন, হারবি কাফেরদের উপর আক্রামনের মুহুর্তে যদি নারী শিশু আলাদা করা সম্ভব না হয় তখন তাদেরকেও হারবী কাফেরদের অন্তর্ভুক্ত মনে করা হয় ।
.
কোনো মুসলিম যদি হারবী কাফেরদের উপর আক্রামনের কারনে মারা যায় তাহলে এই জন্য মু জা হি দরা দোষী হবেন না। ঐ ব্যক্তি তার অন্তরের অবস্থা নিয়ে কিয়ামতের ময়দানে উঠবে এবং তার বিচার সেভাবেই হবে। অর্থাৎ তার অন্তরে যদি ইমান থাকে তাহলে তাকে মুসলিম হিসেবেই উঠানো হবে। কিন্তু এই হত্যা হারবি কাফেরদের উপর হওয়ার কারনে মু জা হি দরা দোষী হবেন না।
.
এই হলো সাধারন ও যুদ্ধাবস্থায় মানুষের জান মালের ব্যাপারে স্বাভাবিক উসুল।
.
আফগানে আমেরিকা ও তার সহযোগীতা ইমারতের সাথে যুদ্ধবিরতি সন্ধি করার পরে তারা আমানপ্রাপ্ত অবস্থায় রয়েছে। তাদের উপর ঐ ভুমিতে বসে যেকোনো মুসলিমদের জন্য হামলা করা হারাম।
আর মুসলিমদের আমির বা মুসলিম জনসাধারণ যদি কোনো ব্যক্তি আমান দেয় তবে তা রক্ষা করা সবার জন্যই ফরজ।
.
এই বিধান শুধু আফগান ভুমির ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। আফগানের বাইরে নয়।
.
যেমন রাসুল সা. যখন মক্কার মুশরিকদের সাথে চুক্তি করেন তখন মদিনার সাহাবা রা. এর জন্য মক্কার মুশরিকদের হত্যা করা হারাম ছিলো। কিন্তু মক্কায় বসবাসরত মুসলিমদের জন্য মক্কার মুশরিক হত্যা হারাম ছিলো না।
.
মদিনার মুসলিমদের কাছে মক্কার মুশরিকরা ছিলো আমানপ্রাপ্ত কাফের। কিন্তু মক্কায় বসবাসরত মুসলিমদের জন্য তারা ছিলো হারবি কাফের।
.
ফলে হুদাইবিয়ার সন্ধির পর রাসুল সা. ও তার সাহাবা রা. গন মক্কার কাফেরদের কাউকে হত্যা না করলেও মক্কার মুসলিম আবু বসির রা. ও আবু জান্দাল রা. সহ প্রায় ৭০ জন সাহাবি মক্কার মুশরিকদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চলমান রাখেন।
.
এই দৃষ্টিতে দেখলে আল কা য়ে দা বা টিটিপির জন্য ইমারতে অধিনস্ত ভুমিতে বসে আমানপ্রাপ্ত কাফেরদের উপর হামলা করা হারাম হলেও ইমারতের বাইরে এই কাফেররা হলো হারবি কাফের। ইমারতের বাইরে বসে তাদের উপর আক্রামন করা বৈধ।
.
কাবুলে ইমারতের অধিনস্ত ভুমিতে হামলা করা যে কারনে সুস্পষ্ট রূপে হারাম।
.
এখানে কতজন মুসলিম হত্যা হইছে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টা সেটা না। গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো- ওখানে যেসব কাফেররাও ছিলো তারাও ছিলো মুসলিমদের থেকে আমানপ্রাপ্ত। ফলে আফগানে বসে একজন আমেরিকান সেনাকেও হত্যা করা সম্পুর্নরূপে হারাম কাজ।
সেসব খারেজিরাই শুধু এই হামলা বৈধ বলার চেষ্টা করতে পারে যারা ইমারতের নেতৃবৃন্দকে তাকফির করে।
.
অন্যথায় এই হামলা তো এমন আমানপ্রাপ্ত কাফেরদের উপর হয়েছে যারা যুদ্ধবিরতির সন্ধি করে ফিরে যাচ্ছিলো এবং মুসলিমদের পক্ষ থেকে তাদেরকে ঐ ভুমিতে আঘাত না করার অঙ্গীকার করা হয়েছিলো।