Get Mystery Box with random crypto!

জর্জ বুশের নিরাপত্তাবিষয়ক সাবেক উপদেষ্টার উদ্ধৃতি দিয়ে প্রতিবে | আযযাম আল গালিব

জর্জ বুশের নিরাপত্তাবিষয়ক সাবেক উপদেষ্টার উদ্ধৃতি দিয়ে প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, শুরুতে ঠিক হয়েছিল আফগানিস্তানে নতুন রাষ্ট্রব্যবস্থা গঠন (নেশন বিল্ডিং) আমেরিকার লক্ষ্য হবে না, কিন্তু আল-কায়েদাকে ঠেকাতে এ ছাড়া অন্য পথ ছিল না। কিন্তু নেশন বিল্ডিং বলতে কী বোঝায়, আফগান বাস্তবতায় কীভাবে তা অর্জন সম্ভব, এ বিষয়ে কারও কোনো স্পষ্ট ধারণা ছিল না।.....
.
মুখে ‘নেশন বিল্ডিং’-এর বিরোধিতা করলেও দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের পর যুক্তরাষ্ট্র সারা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ঠিক সে লক্ষ্যেই সামরিকভাবে হস্তক্ষেপ করেছে, অথবা পেছন থেকে কলকাঠি নেড়ে তাদের পছন্দ নয়, এমন সরকারের পতন ঘটিয়েছে। হার্ভার্ডের অধ্যাপক ফ্রান্সিস ফুকুইয়ামা ‘আটলান্টিক’ মাসিকে এক নিবন্ধে হিসাব করে দেখিয়েছেন, শীতল যুদ্ধের অবসান ও ২০০৫ সালের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র এক বছর অন্তর কোথাও না কোথাও ‘নেশন বিল্ডিং’-এর কাজে হাত দিয়েছে। ‘ইতিহাসের সমাপ্তি’ তত্ত্বের জন্য বিখ্যাত এই পণ্ডিত সে লেখায় রাষ্ট্র গঠনের পক্ষে যুক্তি দেখিয়ে লিখেছিলেন, যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় স্বার্থের জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি হলো দুর্বল ও ব্যর্থ রাষ্ট্রসমূহ। এসব রাষ্ট্রকে কীভাবে ঠিক করতে হয়—ফুকুইয়ামার কথায় ‘ফিক্স’ করতে হয়—আসন্ন সময়ের জন্য সেটাই হবে আমেরিকার প্রধান চ্যালেঞ্জ। ফুকুইয়ামার এ যুক্তিকে অখণ্ডনীয় বলে মেনে নিয়েছিলেন জর্জ বুশ।
.
যুক্তরাষ্ট্র প্রথমে আফগানিস্তান ও পরে ইরাকে হামলা চালায় ও তাদের ওপর দখল গ্রহণ করে শুধু সন্ত্রাসবাদ দমন করতে নয়, দেশ দুটিকে তার নিজের আদলে গড়ে তুলতে। জর্জ বুশ দাবি করেছিলেন, এই দুই দেশ আক্রমণ করার নির্দেশ তিনি সরাসরি ঈশ্বরের কাছ থেকে পেয়েছিলেন। প্রথমে দেশ গঠনের বিরোধিতা করলেও আফগানিস্তানে জেঁকে বসার পর তিনি মত পাল্টান। ২০০৩ সালে বুশ বলেছিলেন, ‘আমরা এখন সভ্য পৃথিবী ও আমেরিকার ইতিহাসের এক জটিল সন্ধিক্ষণের মুখোমুখি। এত দিন এই ইতিহাস অংশত লিখিত হয়েছে অন্যের হতে, কিন্তু এখন থেকে তা লিখব আমরা।’ নতুন এক ইরাক গঠনের প্রতিশ্রুতি দিয়ে তিনি বলেছিলেন, ‘দেশটি পুনর্গঠনের জন্য বিস্তর সময় প্রয়োজন। সে জন্য যত দিন লাগে আমরা ইরাকে থাকব, কিন্তু তার চেয়ে এক দিনও বেশি নয়।’ (প্রথম আলো)