Get Mystery Box with random crypto!

আল-ইন্তিফাদা

टेलीग्राम चैनल का लोगो alintifada — আল-ইন্তিফাদা
टेलीग्राम चैनल का लोगो alintifada — আল-ইন্তিফাদা
चैनल का पता: @alintifada
श्रेणियाँ: धर्म
भाषा: हिंदी
ग्राहकों: 1.62K
चैनल से विवरण

📰 মুসলিম বিশ্বের সংবাদ
📄 ইসলামি প্রতিরোধ যোদ্ধাদের সংবাদ
📖 লেখনি ও প্রকাশনা
📽️ ইসলামি প্রতিরোধ যোদ্ধাদের ডকুমেন্টারি ও ফিল্ম
💻 আল-ফিরদাউস ব্লগের নিউজ
জয়েন করুন ও শেয়ার করুন, ইনশাআল্লাহ!
ব্যাকাপ চ্যানেল: @alemarahbangla

Ratings & Reviews

1.00

2 reviews

Reviews can be left only by registered users. All reviews are moderated by admins.

5 stars

0

4 stars

0

3 stars

0

2 stars

0

1 stars

2


नवीनतम संदेश 12

2022-01-09 09:01:05 কেনিয়ার লামু অঞ্চলে আল-শাবাবের মুজাহিদদের এ্যামবুশ ও বোমা হামলায় ৪ জন কেনিয়ান সেনা অফিসার নিহত, ধ্বংস হয়ে গেছে একটি সাঁজোয়াযান।

সোমালিয়ার জাদো রাজ্যের গারবিহারি শহরে আল-শাবাবের মুজাহিদদের হামলায় এক সেনা সদস্য নিহত হয়েছে, জব্দ করা হয়েছে তার রাইফেল।

সোমালিয়ার রাজধানী মোগাদিশুর কারান জেলায় আল-শাবাবের মুজাহিদদের বোমা হামলায় আমেরিকা সমর্থিত যালিম সেনাবাহিনীর ৩ সদস্য নিহত

সোমালিয়ার জুবা রাজ্যের কিসমায়ো শহরে যালিম সেনাদের চেকপোস্ট আল-শাবাবের প্রতিরোধ যোদ্ধাদের হামলা, পালিয়ে গেছে সেখানে অবস্থানরত সব সেনা সদস্য।
68 views06:01
ओपन / कमेंट
2022-01-08 18:52:07 ইসলাম, মুসলিম ও প্রিয় নবী মুহাম্মাদ (সা:)-কে নিয়ে ব্যাঙ্গ ও কটূক্তি করাকে তারা কথিত বাক স্বাধীনতা বলে চালানোর চেষ্টা করে। অথচ যখন ফরাসি প্রেসিডেন্ট বা খ্রিস্টান পোপকে নিয়ে কেউ ব্যঙ্গচিত্র আঁকে, তখন তাকে ক্ষমা চাইতে বাধ্য করা হয় এবং চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়। – এই হলো তাদের কথিত বাক-স্বাধীনতার বাস্তবতা, ডাবল ষ্ট্যাণ্ডার্ড।

শার্লি হেবদোতে নবীপ্রেমী মুজাহিদ যুবকদের ঐ হামলা এটা প্রমাণ করে দিয়েছে যে, ইসলাম ও মুসলিমের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রকারীরা কোন ভাষা বুঝে, এবং তাদেরকে কোন ভাষায় জবাব দেওয়াটা একমাত্র কার্যকরী উপায়।
91 views15:52
ओपन / कमेंट
2022-01-08 18:52:07 মুমিনদের হৃদয় শীতলকারী ঐতিহাসিক শার্লি হেবদো হামলার সাত বছর

ফরাসি ম্যাগাজিন শার্লি হেবদোতে হামলার সাত বছর পূর্ণ হয়েছে গত ৭ জানুয়ারি। বিশ্ব মুমিনের প্রাণের স্পন্দন হযরত মুহাম্মাদ মোস্তফা (সা.) কে নিয়ে অশালীন ও কুরুচিপূর্ণ ছবি অঙ্কন করায় ম্যাগাজিনটির অফসে হামলা চালান ইসলামি প্রতিরোধ বাহিনী আল-কায়েদার দু’জন বীর মুজাহিদ।

ঘটনাটি ঘটে ২০১৫ সালের ৭ জানুয়ারি, স্থানীয় সময় সকাল ১১:৩০ এ।
হামলার কারণ:
দীর্ঘদিন ধরে ইসলাম বিদ্বেষী এই ম্যগাজানটি বিশ্ব মুসলিমদের প্রাণের স্পন্দন রাসুল মুহাম্মদ (স.) কে নিয়ে ব্যঙ্গচিত্র অঙ্কন করে আসছিল। যার প্রতিবাদে বিশ্বব্যাপী মুসলিমরা ক্ষোভ প্রকাশ করেন।


পরে দুইজন নবী প্রেমিক যুবক ঐ বছরের ৭ জানুয়ারি ম্যাগাজিনটির কার্যালয়ে বন্দুক নিয়ে হামলা চালান। এসময় ঐ যুবকরা ম্যাগাজিনটির সম্পাদক ও নামকরা তিনজন কার্টুনিস্টসহ মানুষরূপী জগতের ১২ জন নিকৃষ্ট রুচির অপরাধীকে জাহান্নামে পাঠাতে সক্ষম হন।

মুমিনদের হৃদয় শীতলকারী বরকতময় উক্ত হামলাটি চালান আলজেরিয়ান বংশোদ্ভূত দুই ভাই, শরিফ এবং সাইদ। ঘটনার দুই দিন পরে ফ্রান্সের সন্ত্রাসী পুলিশ বাহিনী কর্তৃক আয়োজিত একটি অভিযানে তাঁরা শহিদ হন।


বরকতময় এই হামলার প্রায় এক সপ্তাহ পর, আল-কায়েদা আরব উপদ্বীপ শাখা থেকে ঘটনার দায় স্বীকার করা হয়। এবং বলা হয় আমাদের দুই ভাইয়ের দ্বারা সংগঠিত উক্ত হামলার মাধ্যমে “নবী মুহাম্মদ (সা.) এর প্রতিশোধ নেওয়া হয়েছে।”

শাইখ নাসের আল-আনসারী, আল-কায়েদা আরব উপদ্বীপের অন্যতম নেতা, যিনি হামলার বিষয়ে এক ভিডিও বিবৃতিতে বলেছেন, “আমরা আরব উপদ্বীপের আল-কায়েদা সংগঠন হিসাবে এই অপারেশনের দায় স্বীকার করছি, যার মাধ্যমে আল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়া তাআ’লার প্রেরিত রাসূল মুহাম্মাদ (সা.) এর প্রতিশোধ নেওয়া হয়েছে।”

তিনি আরও বলেন যে, বৈশ্বিক ইসলামি প্রতিরোধ বাহিনী আল-কায়েদার সর্বোচ্চ আমীর শাইখ আয়মান আজ-জাওয়াহিরি হাফিজাহুল্লাহ্-এর নির্দেশে এই বরকতময় হামলাটি চালানো হয়েছে।


বরকতময় এই হামলার প্রথম দিনে এজেন্সিগুলোর সংকলিত তথ্য ছিল নিম্নরূপ:

– প্যারিসে রম্য ম্যাগাজিন শার্লি হেবদো-এর সদর দফতরে মুখোশধারী এবং সশস্ত্র হামলাকারীরা ৯ সাংবাদিক, দুই পুলিশ কর্মকর্তা এবং একজন প্রযুক্তিবিদ সহ ১২ জনকে হত্যা করেছে।

– প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেছেন যে হামলাকারীরা তাকবীর উচ্চারণ করে এবং বলে, “আমরা নবীর প্রতিশোধ নিলাম।” দুই প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন, হামলাকারীরা আল-কায়েদার সঙ্গে যুক্ত।

– প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, হামলাকারীরা বেশ শান্ত এবং পেশাদার চেহারার ছিল। তারা যেভাবে অস্ত্র ধারণ করছিল তাতে ধারণা দেওয়া হয়েছিল যে, তারা সামরিক প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। কিন্তু যখন তারা পত্রিকার কেন্দ্রে প্রবেশ করেন, তখন অফিসগুলো কোন তলায় ছিল সে বিষয়ে তারা এতটা নিশ্চিত বলে মনে হয়নি।

– কারণ তারা সেই বিল্ডিংয়ে গিয়েছিল যেখানে ম্যাগাজিনের আর্কাইভ আছে, রাস্তায়, যেখানে শার্লি হেবদো অবস্থিত। কেন্দ্র নয় বুঝতে পেরে তারা দুটি গুলি করে চলে যায়।

– যখন তারা ম্যাগাজিনের বিল্ডিং এ পৌঁছে, তখন তারা দরজা খুলতে একজন মহিলা কার্টুনিস্টকে কোড ব্যাবহার করে প্রবেশ করতে বাধ্য করেন।

– হামলাকারীরা ম্যাগাজিনটির অফিসে প্রবেশ করার পর কর্মচারীদের, বিশেষ করে প্রধান সম্পাদক স্টিফেন চারবোনিয়ারের নাম বলে চিৎকার করে গুলি শুরু করেন।

হামলায় নিহতদের বিবরণ:
– স্টিফেন চারবোনিয়ার – ৪৭ বছর বয়সী, শার্লি হেবদোর প্রধান সম্পাদক।

– জিন ক্যাবুট – ৭৬ বছর বয়সী – ম্যাগাজিনের প্রধান কার্টুনিস্ট।

– জর্জ ওলিঙ্কসি – ৮০ বছর বয়সী – কার্টুনিস্ট।

– বার্নার্ড ভার্লহ্যাক – ৫৭ বছর বয়সী – কার্টুনিস্ট।

– বার্নার্ড মারিস – ৬৮ বছর বয়সী – অর্থনীতিবিদ, ম্যাগাজিনের কলামিস্ট।

– ফিলিপ অনার – ৭৩ বছর বয়সী – ২২ বছর ধরে ম্যাগাজিনটির কার্টুনিস্ট।

– মিশেল রেনড – প্রাক্তন সাংবাদিক, যিনি হামলার আগে পত্রিকাটি পরিদর্শন করেছিল।

– মুস্তাফা ওরাদ – আলজেরিয়ান বংশোদ্ভূত ম্যাগাজিনের সম্পাদক।

– এলসা কায়াত – ম্যাগাজিনের কলামিস্ট এবং বিশ্লেষক।

– ফ্রেডেরিক বোইসো – অফিসের টেকনিশিয়ান।

– ফ্রাঙ্ক ব্রিনসোলারো – ৪৯ বছর বয়সী – পুলিশ অফিসার, ম্যাগাজিন বিল্ডিং পাহারা দেওয়ার দায়িত্ব দেওয়া দলের প্রধান।

– আহমেদ মেরাবেত – ৪২ বছর বয়সী – ফরাসি পুলিশ অফিসার।

ফরাসিরা এমন এক অপরাধী জাতি, যারা শতাব্দির পোর শতাব্দী ধরেই ইসলাম, মুসলিম ও প্রিয় নবী মুহাম্মাদ (সা:)-কে নিয়ে ব্যাঙ্গ ও কটূক্তি করে আসছে। শেষ উস্মানি সুলতান আব্দুল হামিদ (রাহি:) এর শাসনামলেও তারা রাসুল (সা:) নিয়ে ব্যাঙ্গমূলক নাটক মঞ্চায়িত করতে চেয়েছিল। পরে খলীফা খবর পেয়ে ফ্রান্সকে যুদ্ধের হুমকি দিলে তারা ঐ নিকৃষ্ট কাজ থেকে সরে আসে।
98 views15:52
ओपन / कमेंट
2021-12-30 18:10:57 আল-ফিরদাউস ফাউন্ডেশনের অফিসিয়াল টেলিগ্রাম বট: @alFirdaws2_bot
জয়েন করুন এবং নিজেদের গ্রুপে এড করুন, ইনশাআল্লাহ।
105 views15:10
ओपन / कमेंट
2021-12-22 18:54:10
৮ ডিসেম্বর তারিখে আফ্রিকার মালির 'বিমা' শহরের কাছে জাতিসংঘের গাড়িবহরে জামায়াত নুসরাত আল ইসলাম ওয়াল মুসলিমীন গ্রুপের মুজাহিদদের আইইডি হামলায় ৮ জন কথিত শান্তিরক্ষী নিহত হয়েছে।
155 viewsedited  15:54
ओपन / कमेंट
2021-12-22 18:50:50


#الآن
#جديد

#انصار_غزوة_الھند
#مؤسسة_الحر
#عالمی_اسلامی_میڈیا_محاذ

ہم آخرت کے راہی| قسط- ٦

1080 (102.93 MB)

https://archive.gnews.to/index.php/s/WHKFwNQiQYBzWya

#کشمیر #ھند


* * * *



#Now
#New

#Ansar_Ghazwatul_Hind
#Al_Hurr_Media
#GIMF

We the Travellers of Hereafter | Part-6

1080 (102.93 MB)

https://archive.gnews.to/index.php/s/WHKFwNQiQYBzWya

#Kashmir #India
163 views15:50
ओपन / कमेंट
2021-12-19 09:52:55

87 views06:52
ओपन / कमेंट
2021-12-18 17:03:09 সন্ত্রাস বিরোধী আইন যে আমেরিকা বা কুফফারদের স্বার্থে প্রণয়ন করা হয়েছে তার প্রমাণ হিসেবে এই আইনের ২০ নং ধারার শিরোনামটি দেখলেই সহজেই বোধগম্য হয়।
সন্ত্রাস বিরোধী আইন-এর ২০ নং ধারার শিরোনাম হচ্ছে “জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের রেজুলেশন বাস্তবায়নে পদক্ষেপ”!!

এছাড়াও, এ আইনের ১০টি অধ্যায় ও ৪৫ টি ধারা রয়েছে। তার একটি ধারাও সচিবালয় দ্বারা প্রস্তাবিত, মন্ত্রণালয় উপস্থাপিত এবং সংসদে গৃহীত হয়নি।

বরং একইভাবে CTC এর অনুমোদিত আইনের বাংলা অনুবাদ করে প্রজ্ঞাপন আকারে “কাউন্টার টেরোরিজম অ্যাক্ট” আইন প্রনয়ণ করা হয়েছে। এমনকি ২০১১ এবং ২০১৩ সালে এই আইনটির সংশোধন বাংলাদেশের পেক্ষাপটে করা হয়নি। এই সামান্য সংশোধন, পরিবর্তন এবং পরিবর্ধনও করা হয়েছে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের “কাউন্টার টেরোরিজম অ্যাক্ট” এর আদলে!

এই আইন যে কতটুকু ইসলাম বিরোধী তা জানা যায় এই আইনের ৩ নং ধারা থেকে। এই ধারা অনুসারে জাতিসংঘ যাদের বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করে বাংলাদেশ সরকার তাদের বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করবে। এবং, তাদের শত্রু বাংলাদেশ সরকারের শত্রু।

সর্বোপরি, জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ বা কাউন্টার টেররিজম কমিটি (CTC) আমাদের যে সকল মুজাহিদ ভাই ও সম্মানিত শায়খদের বন্দী বা হত্যা করা বৈধ মনে করবে, বাংলাদেশ সরকারও এতে সম্মতি দিবে। জাতিসংঘ যাদের জঙ্গি বলতে বলবে, বাংলাদেশ সরকারও তাদের জঙ্গি বলবে।

২০১৯ সালে সন্ত্রাস বিরোধী আইন প্রনয়ন হলেও ২০১৬ সালে সিটিটিসি (কাউন্টার ট্যাররিজম এন্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম) এবং ২০১৭ সালে এটিইউ (এন্টি ট্যাররিজম ইউনিট) গঠনের পর থেকে মুসলিমদের নিপীড়নের জন্য এই আইনের বহুল ব্যবহার শুরু হয়।

ইসলামী আক্বীদা বা তাওহীদ সম্পর্কে জানার ইচ্ছা পোষণ করা বা সামান্য দাড়ি রাখার অপরাধেও (জংগী সন্দেহে) মাসের পর মাস গুম রেখে এই আইনের অধীনে মামলা দেওয়া হচ্ছে।

বিগত ৪ বছরে ওই আইনের অধীনে হাজারের অধিক মামলা হয়েছে আর কয়েক হাজার সাধারণ মুসলিম যুবক এতে অত্যাচার ও হেনেস্তার শিকার হয়েছে।

এই আইনের অধীনে মামলাগুলির বিচার শুরু হওয়ার জন্য সরকারের অনুমোদনের প্রয়োজন হয়, তা সরকারী অনুমোদনের দোহাই দিয়ে ইচ্ছাকৃত ভাবে মামলার কার্যক্রম বিলম্ব করা হয়; ফলে কার্যকরভাবে মামলায় অভিযুক্তদের বছরের পর বছর আইনি বিড়ম্বনা পোহাতে হয়।

অতি সম্প্রতি রাসুলুল্লাহ সালাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর শানে কটুক্তিকারী অভিজিৎ রায় ও জাগৃতি প্রকাশনীর মালিক ফয়সাল আরেফিন দীপনক এবং মুসলিম সমাজে ফায়েসা (সমকামিতা) প্রচার ও প্রসারকারী জুলহাজ মান্নান ও মাহবুব রাব্বী তন্ময় হত্যার বিচার এই আইনের অধীনে পরিচালিত হয় এবং ৮ জন দ্বীনি ভাইয়ের বিরুদ্ধে ফাঁসির রায় ঘোষণা করা হয়।

সন্ত্রাস বিরোধী আইন একটা কালা-কানুন যা প্রনয়ণ করা হয়েছে মুসলমানদের দমন ও নিপীড়নের জন্য। জিহাদে অংশগ্রহণ তো দূরের কথা, সামান্য জিহাদি আলোচনার জন্যও সারা জীবন জেল খাটতে হতে পারে। কেননা, এই আইনের একটি ধারা ব্যতীত অন্য সকল ধারার শাস্তি হচ্ছে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড নতুবা মৃত্যুদন্ড!
131 views14:03
ओपन / कमेंट
2021-12-18 17:03:09 নিরাপত্তা পরিষদ ‘সন্ত্রাসবাদ’ বলতে কী বোঝায় তা জাতিসংঘের ‘নিরাপত্তা পরিষদ রেজুলেশন-১৫৬৬’ এ ব্যাখ্যা করেছিল।

আইনটিতে সন্ত্রাসী কার্যক্রমের ব্যাপারে যে খসড়া পেশ করা হয় তা হলোঃ

“criminal acts, including against civilians, committed with the intent to cause death or serious bodily injury, or taking of hostages, with the purpose to provoke a state of terror in the general public or in a group of persons or particular persons, intimidate a population or compel a government or an international organization to do or to abstain from doing any act.”

অর্থাৎ,
“যদি কোন ব্যক্তি বা সত্ত্বা কোন দেশের অখণ্ডতা, সংহতি, জননিরাপত্তা বা সার্বভৌমত্ব বিপন্ন করার জন্য জনসাধারণ বা জনসাধারণের কোন অংশের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টির মাধ্যমে সরকার বা কোন সত্ত্বা বা কোন ব্যক্তিকে কোন কার্য করতে বা করা হইতে বিরত রাখতে বাধ্য করার উদ্দেশ্যে অন্য কোন ব্যক্তিকে হত্যা, গুরুতর আঘাত, আটক বা অপহরণ করে বা করার প্রচেষ্টা গ্রহণ করে; অথবা ষড়যন্ত্র বা সহায়তা বা প্ররোচিত করে (তবে তা সন্ত্রাসী কার্যক্রম মর্মে বিবেচিত হবে)।”

আশ্চর্যের বিষয়, বাংলাদেশে প্রণীত ‘সন্ত্রাস বিরোধী আইন – ২০০৯ (সংশোধনী- ২০১১ ও ২০১৩)’ এর ৬(১) ধারায় হুবহু ঠিক এই বাক্যগুলোই তুলে দেয়া হয়েছে! যা কিনা দেশীয় মুরতাদ শাসকদের ইসলামের শত্রুতা এবং আমেরিকান মদদপুষ্ট জাতিসংঘের একনিষ্ঠ গোলামীরই নিদর্শন বটে!

লক্ষনীয় যে, এই আইন মোতাবেক বিচারের সম্মুখীন হওয়ার কথা ছিল, বাংলাদেশকে অখন্ড ভারতের অংশ দাবীদার শ্যামলী পরিবহনের মালিক রমেশচন্দ্র ঘোষের, যে কিনা দেশের অখন্ডতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।
এই আইনের অধীনে মামলা হওয়ার কথা প্রিয়া সাহার বিরুদ্ধে, যে কিনা ট্রাম্পের কাছে মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে এদেশে হিন্দু-মুসলিম মাঝে দ্বন্দ্ব তৈরি করে রাষ্ট্রীয় সংহতির উপর আঘাত হেনেছে।
কিংবা ছাত্রলীগের সেই ছেলেদের বিরুদ্ধে, যারা বুয়েটছাত্র আবরারকে হত্যার মাধ্যমে জননিরাপত্তাকে হুমকির মুখে ফেলে দিয়েছে!
অথবা, টেকনাফের ওসি প্রদীপ কুমার দাসের বিরুদ্ধে; যে কিনা মেজর সিনহাকে হত্যার পর ভারতীয় হাইকমিশনারের ক্ষমতা দেখিয়ে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বকে বুড়ো আঙুল দেখিয়েছে!!

অথচ, তার কোনোটিই হয়নি!! বরং এই আইনের অধীনে নথিভুক্ত হাজার হাজার মামলার প্রতিটিই হয়েছে ইসলাম ও মুসলিমদের হয়ে কথা বলা হতভাগাদের বিরুদ্ধে!!
আর জামিন অযোগ্য এই আইনের অধীনে ঠুনকো অভিযোগে প্রতি বছর শত শত মুসলিম মুওয়াহহিদ বছরের পর বছর বিনা অপরাধে অন্ধকার কারাপ্রকোষ্ঠে দিনাতিপাত করছে!

এই সিদ্ধান্তে তাই আসাই যায় যে, এই আইনের আসল নাম হচ্ছে “ইসলাম বিরোধী আইন” বা “মুসলিম বিরোধী আইন”; যা কি না কাফির-মুরতাদ শাসকরা প্রণয়ন করেছে নিজ প্রভু আমেরিকা ও জাতিসংঘের পদলেহনে দক্ষতা প্রদর্শনে!

________
বাংলাদেশ আইন প্রনয়নের একটি নির্দিষ্ট পদ্ধতি রয়েছে। আইন প্রণয়নের গুরুত্ব বিবেচনা করে সচিবালয় আইনের প্রস্তাবনা দেয়, মন্ত্রীপরিষদ বা মন্ত্রণালয় সে আইন সংসদে উপস্থাপন করে এবং সংসদ দ্বারা সে আইন গৃহীত হয়।

কিন্তু বিরলতম ঘটনা এই যে, সন্ত্রাস বিরোধী আইন প্রনয়নের ক্ষেত্রে এই পদ্ধতি মেনে আইন প্রণয়ন করা হয়নি।

কারণ আমার দেখতে পাই, ২০০৮ সালে বাংলাদেশে তত্ত্ববধায়ক সরকার ক্ষমতায় ছিল, তাই সংসদে কোন আইন উত্থাপন করা সম্ভব ছিল না। তাই রাষ্ট্রপতি অধ্যাদেশ বলে এই আইন গেজেট আকারে প্রকাশ করা হয়।

কিন্তু আমরা দেখি সংসদের অধিবেশন না থাকলে অথবা সংসদ ভেঙে দেয়া হলে, এমতাবস্থায় রাষ্টপতি তাৎক্ষণিক অবস্থানুযায়ী কোনো পদক্ষেপ গ্রহণের প্রয়োজনবোধ করলে তিনি কোনো অধ্যাদেশ জারী করতে পারেন, যা সরকারি গেজেট আকারে মুদ্রিত হবে।

এখানে স্পষ্ট বলা হয়েছে “তাৎক্ষণিক অবস্থানুযায়ী কোনো পদক্ষেপ গ্রহণের প্রয়োজন বোধ করলে” তখন রাষ্ট্রপতি অধ্যাদেশ জারি করতে পারে।

কিন্তু ২০০৮ সালে আমরা এমন কোন উল্লেখযোগ্য ঘটনা দেখতে পাইনা, যার কারণে তাৎক্ষণিক অবস্থানুযায়ী কোনো পদক্ষেপ গ্রহণের সাপেক্ষে সন্ত্রাস বিরোধী আইন প্রণয়ন করতে হবে!

২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসলে তারা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের নেওয়া অনেক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ বাতিল করে দেয়। পাশাপাশি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অনেক আদেশের ব্যাপারে স্থগিতাদেশ জারি করে এবং তাদের বিরুদ্ধে থাকা দুর্নীতির মামলাগুলো খারিজ করে বা নিজেদের পক্ষে রায় প্রদানের মাধ্যমে নিষ্পত্তি করে।

কিন্তু এত কিছুর মাঝেও আওয়ামী লীগ সরকার সন্ত্রাস বিরোধী আইন নামক ড্রাকোনিয়ান আইনের ব্যাপারে একটা শব্দও উচ্চারণ করেনি।
কারণ তত্ত্বাবধায়ক সরকার হোক বা হাসিনা সরকার- তারা তাদের প্রভুদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে কোনভাবেই কাজ করতে পারেন না।
100 views14:03
ओपन / कमेंट
2021-12-18 17:03:09 বিশেষ প্রতিবেদন || ইসলাম দমনে তাগুতের অন্যতম অস্ত্র : সন্ত্রাস বিরোধী আইন!

১৯২৪ সালে খিলাফতের পতনের মাত্র ৬০ বছরের মাথায় আল্লাহর রাহের বীর মুজাহিদরা আল্লাহর দ্বীন কায়েমের জন্য কুফফারদের বিরুদ্ধে একত্রিত হতে শুরু করেন। যার জ্বলন্ত উদাহরণ ছিল আফগানিস্তানের মাটি।

১৯৭৯ সালে তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের লাল সন্ত্রাসের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মুজাহিদরা আফগানিস্থানে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। এরই একপর্যায়ে আমেরিকান সরকার আফগান জনগণের প্রতি সহযোগিতার হাত প্রসারিত করে। তবে আফগান জনগণের সহায়তা করা বা সোভিয়েত ইউনিয়নের অত্যাচার থেকে আফগান জনগণকে রক্ষা করা আমেরিকার উদ্দেশ্য কখনোই ছিলনা।

আমেরিকার উদ্দেশ্য ছিল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে সোভিয়েত ইউনিয়নের বিরুদ্ধে চলে আসা স্নায়ুযুদ্ধের প্রতিশোধ গ্রহণ করা এবং কমিউনিজমের পতনের মাধ্যমে তাদের লিবারেল ডেমোক্রেটিক মতাদর্শে প্রসার ঘটানো।
পাশাপাশি আফগান ভূমিকে ব্যবহার করে এশিয়া মহাদেশের উপর প্রভাব বিস্তার করা এবং আফগানের খনিজ সম্পদ ব্যবহারের মাধ্যমে নিজেদের অর্থনীতিকে চাঙ্গা রাখা।

কিন্তু বৈশ্বিক জিহাদের পথিকৃৎরা সহযোগিতার আড়ালে লুকিয়ে থাকা আমেরিকার ষড়যন্ত্র স্পষ্টতই আঁচ করতে পেরেছিলেন। সোভিয়েত পতনের পরপরই সময়ের ইমামগণ সারা বিশ্বে আমেরিকার বিরুদ্ধে জিহাদ ঘোষণার মাধ্যমে মুসলিম উম্মাহকে তাদের আসল শত্রুকে চিনতে সহায়তা করেন।

মুসলিমদের উপর আমেরিকান আগ্রাসনের প্রতিশোধ গ্রহণ এবং শত্রুপক্ষের সাথে দীর্ঘমেয়াদী যুদ্ধের মাধ্যমে কৌশলগত ভারসাম্য কমিয়ে আনার লক্ষ্যে, ক্রমাগত হামলার এক পর্যায়ে ২০০১ সালে ৯/১১ এর বরকতময়, ঐতিহাসিক ও চূড়ান্ত ঘটনা সম্পন্ন হয়।

তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া হিসেবে শান্তি ও প্রগতির খোলস ছেড়ে আসল চেহারায় হাজির হয়ে, ২০০১ সালের শেষদিকে আফগানিস্তান আক্রমণ করে আমেরিকা। এর মাধ্যমে ‘সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ’ নাম দিয়ে ইসলাম ও মুসলিম উম্মাহর বিরুদ্ধে সর্বব্যাপী যুদ্ধ শুরু করে আমেরিকা। মুসলিমদের ভূমিতে আক্রমণের ধারাবাহিকতায় ২০০৩ এ ইরাকেও আক্রমণ করে বসে সন্ত্রাসী আমেরিকা।

বিশুদ্ধ তাওহীদের দাওয়াতকে মিটিয়ে দিয়ে আমেরিকান আজ্ঞাবাহী এক মুসলিম জাতি সৃস্টির উদ্দেশ্যে মুসলিম বিশ্বে সামরিক আগ্রাসনের পাশাপাশি অর্থ, মিডিয়া ও আইনের মাধ্যমেও আগ্রাসী রূপ ধারণ করে আমেরিকার নের্তৃত্বাধীন জাতিসংঘ!

ইসলামের প্রকৃত চেতনায় উজ্জীবিতদের দমনে ২০০১ এ শুরু হওয়া ইসলামের বিরুদ্ধে যুদ্ধের অন্যতম একটি অস্ত্র হছে “Counter Terrorism Act বা সন্ত্রাস বিরোধী আইন”। যে আইনের সহায়তায় তাওহীদবাদী মুসলিমদের, বিশেষত মুজাহিদিন ও তাদের সহানুভূতিশীলদের গ্রেফতার, নির্যাতন, দীর্ঘ কারাবাস ও মৃত্যুদন্ডের মত কঠিন পরীক্ষায় ফেলা আমেরিকা ও তার তল্পিবাহক মুরতাদ শাসকগোষ্ঠীর জন্য সহজ হয়ে ওঠে।

এই আইন রচিত হয় মুসলিমদের, বিশেষত মুজাহিদদের প্রধান শত্রু “জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ” এর সদর দপ্তরে।
৯/১১ হামলার পর ভীত ও লজ্জিত আমেরিকা জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের আবডালে অবস্থান করে একের পর এক ইসলাম ও জিহাদ বিরোধী ডিক্রি পাস করতে থাকে। এর মধ্যে অন্যতম হল “জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ রেজোলিউশ নং ১৩৭৩”।
এই প্রস্তাবনাটি মুজাহিদদের বিভিন্ন উপায়ে বাঁধা দেওয়ার লক্ষ্যে করা হয়েছিল। এই প্রস্তাবনার দুটি মূল উদ্দেশ্য ছিলঃ-

১) আন্তর্জাতিক পর্যায়ে মুজাহিদদের দমনে সহায়তার জন্য জাতিসংঘের সদস্য দেশগুলি তাদের গোয়েন্দা তথ্য একে অপরের শেয়ার (ভাগ) করে নিবে।

২) জাতিসংঘের প্রতিটি দেশকে “সন্ত্রাস বিরোধী জাতীয় আইন’ প্রনয়ণ করার আহ্বান জানানো হয়, যেন এসকল রাষ্ট্র সন্ত্রাসবাদ সম্পর্কিত সমস্ত আন্তর্জাতিক মতামতকে অনুমোদন তথা অন্ধ অনুসরণ করতে পারে।

উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, এই প্রস্তাবনাটি গৃহীত হওয়ার জন্য জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের ৫টি স্থায়ী সদস্য রাষ্ট্রের (চীন, ফ্রান্স, রাশিয়া, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র) পাশাপাশি যে সকল অস্থায়ী সদস্য রাষ্ট্র সম্মতি প্রদান করে ভোট দেয়, তার মধ্যে বাংলাদেশ প্রথম!

বাংলাদেশের বিএনপি-জামাত জোট সরকারের পক্ষ থেকে প্রস্তাবনা গৃহীত করার সম্মতি দিয়ে মুজাহিদদের প্রতি তাদের লুকানো বিদ্বেষ পরিষ্কার করে তোলে।

“সন্ত্রাস বিরোধী আইন” এর খসড়াঃ-

“জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ রেজুলেশন নং ১৩৭৩”-এ জাতিসংঘের সকল সদস্য রাষ্ট্রে সন্ত্রাস বিরোধী জাতীয় আইন প্রণয়নের আহবান করা হলেও, এই আইনে কি থাকবে তা উল্লেখ করা হয়নি।

এই প্রস্তাবনা অনুসারে সদস্য রাষ্ট্রগুলোতে জাতীয় পর্যায়ে সন্ত্রাস বিরোধী আইন প্রণয়ন, তদারকি, বাস্তবায়ন ও দিকনির্দেশনার জন্য জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের অধীন ১৫ সদস্য বিশিষ্ট কাউন্টার টেররিজম কমিটি (Counter Terrorism Committee -CTC) গঠন করা হয়।
এই কমিটি ২০০৪ সালের অক্টোবর মাসে আরেকটি প্রস্তবনা পেশ করে যা “জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ রেজুলেশন নং ১৫৬৬” নামে পরিচিতি।
111 views14:03
ओपन / कमेंट