Get Mystery Box with random crypto!

সন্ত্রাস বিরোধী আইন যে আমেরিকা বা কুফফারদের স্বার্থে প্রণয়ন ক | আল-ইন্তিফাদা

সন্ত্রাস বিরোধী আইন যে আমেরিকা বা কুফফারদের স্বার্থে প্রণয়ন করা হয়েছে তার প্রমাণ হিসেবে এই আইনের ২০ নং ধারার শিরোনামটি দেখলেই সহজেই বোধগম্য হয়।
সন্ত্রাস বিরোধী আইন-এর ২০ নং ধারার শিরোনাম হচ্ছে “জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের রেজুলেশন বাস্তবায়নে পদক্ষেপ”!!

এছাড়াও, এ আইনের ১০টি অধ্যায় ও ৪৫ টি ধারা রয়েছে। তার একটি ধারাও সচিবালয় দ্বারা প্রস্তাবিত, মন্ত্রণালয় উপস্থাপিত এবং সংসদে গৃহীত হয়নি।

বরং একইভাবে CTC এর অনুমোদিত আইনের বাংলা অনুবাদ করে প্রজ্ঞাপন আকারে “কাউন্টার টেরোরিজম অ্যাক্ট” আইন প্রনয়ণ করা হয়েছে। এমনকি ২০১১ এবং ২০১৩ সালে এই আইনটির সংশোধন বাংলাদেশের পেক্ষাপটে করা হয়নি। এই সামান্য সংশোধন, পরিবর্তন এবং পরিবর্ধনও করা হয়েছে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের “কাউন্টার টেরোরিজম অ্যাক্ট” এর আদলে!

এই আইন যে কতটুকু ইসলাম বিরোধী তা জানা যায় এই আইনের ৩ নং ধারা থেকে। এই ধারা অনুসারে জাতিসংঘ যাদের বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করে বাংলাদেশ সরকার তাদের বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করবে। এবং, তাদের শত্রু বাংলাদেশ সরকারের শত্রু।

সর্বোপরি, জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ বা কাউন্টার টেররিজম কমিটি (CTC) আমাদের যে সকল মুজাহিদ ভাই ও সম্মানিত শায়খদের বন্দী বা হত্যা করা বৈধ মনে করবে, বাংলাদেশ সরকারও এতে সম্মতি দিবে। জাতিসংঘ যাদের জঙ্গি বলতে বলবে, বাংলাদেশ সরকারও তাদের জঙ্গি বলবে।

২০১৯ সালে সন্ত্রাস বিরোধী আইন প্রনয়ন হলেও ২০১৬ সালে সিটিটিসি (কাউন্টার ট্যাররিজম এন্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম) এবং ২০১৭ সালে এটিইউ (এন্টি ট্যাররিজম ইউনিট) গঠনের পর থেকে মুসলিমদের নিপীড়নের জন্য এই আইনের বহুল ব্যবহার শুরু হয়।

ইসলামী আক্বীদা বা তাওহীদ সম্পর্কে জানার ইচ্ছা পোষণ করা বা সামান্য দাড়ি রাখার অপরাধেও (জংগী সন্দেহে) মাসের পর মাস গুম রেখে এই আইনের অধীনে মামলা দেওয়া হচ্ছে।

বিগত ৪ বছরে ওই আইনের অধীনে হাজারের অধিক মামলা হয়েছে আর কয়েক হাজার সাধারণ মুসলিম যুবক এতে অত্যাচার ও হেনেস্তার শিকার হয়েছে।

এই আইনের অধীনে মামলাগুলির বিচার শুরু হওয়ার জন্য সরকারের অনুমোদনের প্রয়োজন হয়, তা সরকারী অনুমোদনের দোহাই দিয়ে ইচ্ছাকৃত ভাবে মামলার কার্যক্রম বিলম্ব করা হয়; ফলে কার্যকরভাবে মামলায় অভিযুক্তদের বছরের পর বছর আইনি বিড়ম্বনা পোহাতে হয়।

অতি সম্প্রতি রাসুলুল্লাহ সালাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর শানে কটুক্তিকারী অভিজিৎ রায় ও জাগৃতি প্রকাশনীর মালিক ফয়সাল আরেফিন দীপনক এবং মুসলিম সমাজে ফায়েসা (সমকামিতা) প্রচার ও প্রসারকারী জুলহাজ মান্নান ও মাহবুব রাব্বী তন্ময় হত্যার বিচার এই আইনের অধীনে পরিচালিত হয় এবং ৮ জন দ্বীনি ভাইয়ের বিরুদ্ধে ফাঁসির রায় ঘোষণা করা হয়।

সন্ত্রাস বিরোধী আইন একটা কালা-কানুন যা প্রনয়ণ করা হয়েছে মুসলমানদের দমন ও নিপীড়নের জন্য। জিহাদে অংশগ্রহণ তো দূরের কথা, সামান্য জিহাদি আলোচনার জন্যও সারা জীবন জেল খাটতে হতে পারে। কেননা, এই আইনের একটি ধারা ব্যতীত অন্য সকল ধারার শাস্তি হচ্ছে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড নতুবা মৃত্যুদন্ড!