2022-04-20 11:49:51
কেন এমনটা করে তারা?
গত কিছুদিন আগে একটি স্কুলের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রীর সাথে দশম শ্রেণির ছাত্রের বিয়ে দিয়েছেন একজন শিক্ষিকা। শিক্ষিকাটি বলেন সম্প্রতি তাঁর ছেলের সাথে সেই মেয়ের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এরপর বিয়ের দাবিতে সে ছেলেটি নাওয়া-খাওয়া ছেড়ে দেয় এবং আত্মহত্যার চেষ্টাও চালায়। যে কারণে বাধ্য হয়েই তাদের বিয়ে দিয়েছেন সেই শিক্ষিকা মা। এমনকি পারিবারিকভাবে অসহায় ও দরিদ্র সেই মেয়েটির পড়াশোনা চালানোর দায়িত্বও নিয়েছেন তিনি।
কিন্তু তারপরও বিষয়টি মেনে নিতে পারছে না আমাদের 'সুশীল সমাজ'। তাদের মতে অপ্রাপ্ত বয়স্ক দুজন ছেলে-মেয়ের বিয়ে দিয়ে 'অপরাধ' করেছেন সেই শিক্ষিকা। সেই সাথে আমাদের মূলধারার মিডিয়াও বেশ সরব ছিলো এ নিয়ে। বিষয়টিকে একটি 'অন্যায় কাজ' হিসেবে লাগাতার প্রমোট করেছে তারা।
বিয়ে করানোর 'দায়ে' সেই শিক্ষিকার সাজা-ও দাবি করেছে এই সুশীলেরা। ইতোমধ্যে সেই শিক্ষিকাকে সাময়িক বহিষ্কার-ও করেছে স্কুল কর্তৃপক্ষ।
অথচ কিছুদিন আগেই দুইজন অপ্রাপ্ত বয়স্ক 'সমকামী' মেয়ের খবর উঠে এসেছে মিডিয়ায়।
তবে এক্ষেত্রে তাদের খবর পরিবেশনের ধরণ ছিলো পুরো ১৮০ ডিগ্রী উল্টো।
বিচার চাওয়া তো দূরে থাক উল্টো খুব সূক্ষ্মভাবে 'অপ্রাপ্ত বয়স'-এর বিষয়টি এড়িয়ে সেই সমকামীদের পক্ষেই নিউজ করেছে এই মিডিয়া।
“ঘর বাঁধা হলো না বিলকিস-আঁখির অবশেষে খালি হাতেই ফিরে যেতে হলো বাড়ি!”
সমকামিতার সমর্থনে এমন সংবাদ পরিবেশন করতে থাকে দালাল মিডিয়া।
'নিষিদ্ধ' এই কাজটিই 'স্বাভাবিক' করার চেষ্টা করছে দালাল মিডিয়া।
দালাল মিডিয়া, নব্য মিশনারী, সুশীল, প্রগতিশীলেরা আমাদের সমাজে 'অপ্রাপ্ত বয়স্কদের' মাঝে রুম ডেট মেনে নেবে, গার্লফ্রেন্ড-বয়ফ্রেন্ড মেনে নেবে, ভিডিও সেক্স, অডিও সেক্স, সেক্স চ্যাট মেনে নেবে, সমকামিতা, লিভ টুগেদার মেনে নেবে।
এমনকি ডাস্টবিনে সদ্যজাত শিশুর ভ্রূণ পড়ে থাকার মতো জঘন্য অপরাধগুলোও মেনে নেবে, উৎসাহ দেবে
কিন্তু হালাল পন্থায় একটি ছেলে ও একটি মেয়ের বিয়ে মেনে নেবে না।
1.7K views08:49