রিজিক সম্পর্কে আমরা অনেকেই ভুল ধারণা রাখি। শায়খ মুতাওয়াল্লি শা | যুহদ
রিজিক সম্পর্কে আমরা অনেকেই ভুল ধারণা রাখি। শায়খ মুতাওয়াল্লি শারাবি (রাহ.) বলেন—
.
‘আমার মতে রিজিক হলো, যার মাধ্যমে আমরা উপকৃত হয়ে থাকি। যা আমরা লাভ করে থাকি, তার সবটাই রিজিক নয়। কেননা, আমরা অঢেল সম্পত্তি লাভ করি, কিন্তু কোনো কোনো ক্ষেত্রে এর মাধ্যমে উপকৃত হতে পারি না, তা খরচ করতে পারি না। এগুলো তো আমাদের রিজিক নয় বরং তা অন্যের রিজিক। আমরা কেবল তার পাহারাদার মাত্র। আমরা তার একটি পয়সাও খরচ করতে পারি না। বরং সময় হলে মালিকের নিকট পৌঁছে দিয়ে থাকি। অধিকাংশ মানুষ মনে করে যে, ধনসম্পদ হলো রিজিক। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘‘আদম-সন্তান বলে থাকে—আমার মাল, আমার মাল... হে আদম-সন্তান, তুমি যা খেয়ে শেষ করে ফেলো কিংবা যে পোশাক পরে তা পুরাতন করে ফেলো কিংবা যা সাদাকাহ করে দাও, তা ব্যতীত তোমার কোনো মাল আছে?’’ [তিরমিযি, আস-সুনান: ২৩৪২]
.
ধনসম্পদ হলো রিজিকের এক সামান্য অংশ। সুস্থতা, সন্তান-সন্ততি, খাবার-দাবার, বারাকাহ প্রভৃতি হলো রিজিক। আল্লাহপ্রদত্ত সকল নিয়ামতই রিজিক। শুধু ধনসম্পদ একমাত্র রিজিক নয়। [মুতাওয়াল্লি শারাবি, ইসলাম আমার অহংকার, পৃষ্ঠা: ৪৩; ঈষৎ পরিমার্জিত]
.
শায়খ শারাবি (রাহিমাহুল্লাহ) আরও বলেন—
সম্পদ হলো রিযিকের সর্বনিম্ন স্তর।
সুস্থতা হলো রিযিকের সর্বোচ্চ স্তর।
নেককার সন্তান হলো রিযিকের সর্বোত্তম স্তর।
আর আল্লাহর সন্তুষ্টি হলো রিযিকের পরিপূর্ণতা।
.
#Nusus