Get Mystery Box with random crypto!

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি ও জামায়াতে ইসলামী | Bangladesh Islami Chhatrashibir

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি ও জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য অ্যাডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ বলেন, আমাদের সমাজে অন্যায় অবিচার জুলুম অমানবিকতার ধারা অব্যাহত আছে। ফলে মানুষই অন্য মানুষকে নির্বিচারে খুন, গুম ও নির্মম নির্যাতন করছে কিন্তু তাদের বিবেকে বাঁধছে না। ৯০ ভাগ মুসলমানের দেশে জাহেলিয়াতের সংস্কৃতি মদকে বৈধতা দেয়া হয়েছে। সাথে সাথে মদের প্রতিক্রিয়া নগ্নতা, বিশৃঙ্খলা, বেহায়াপনাকেও বৈধতা দেয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে জাতিকে অনৈতিকতার স্রোতে ভাসিয়ে দেয়ার পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এ জাহেলি সমাজ ব্যবস্থা পরিবর্তনে একটি সংগ্রাম দরকার। ছাত্রশিবির সেই সংগ্রামেরই নাম যারা কুরআনকে ধারন করে। এ নিকষ অন্ধকার থেকে ছাত্রসমাজকে কুরআনের আলোর পথ দেখাতে ছাত্রশিবিরের প্রচেষ্টাকে আরো গতিশীল করতে হবে। এ জন্য ছাত্রশিবিরের সাথীদের চারিত্রিক, নৈতিক ও ঈমানী শক্তিতে বলিয়ান হতে হবে।

সভাপতির বক্তব্যে রাশেদুল ইসলাম বলেন, বিশ্বব্যাপী খিলাফত কায়েমের দায়িত্ব আমরা পালন করছি। যে দায়িত্ব স্বয়ং আল্লাহ তায়ালা আমাদের দিয়েছেন। শুরুতে কয়েকটি পা দিয়ে যে কাফেলা যাত্রা শুরু করেছিল সে কাফেলা আজ মেধাবীদের এক বিশাল মিছিলে পরিণত হয়েছে। শহীদ সাব্বির, শহীদ হামিদের মিছিল আজ ২৩৪ জন শহীদের মিছিলে পরিণত হয়েছে। ৬ জন ভাইয়ের গুম ও অসংখ্য ভাইয়ের আহত, পঙ্গুত্ব আমাদের জন্য প্রেরণা। এ প্রেরণা নিয়েই আমরা কাজ করে চলেছি। ইসলামী আন্দোলন মানেই আল্লাহর দ্বীন প্রতিষ্ঠার সর্বাত্বক প্রচেষ্টার নাম। সন্তুষ্টচিত্তে এ প্রচেষ্টায় আমাদের অটল থাকতে হবে। ছাত্রশিবির রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও সাহাবায়ে কেরামদের পদাঙ্ক অনুস্বরণ করে এগিয়ে চলেছে। আমরা সচেতনতার সাথে আমাদের পথ, লক্ষ্য ও সফলতার প্রতি পূর্ণ আস্থাশীল। কাঙ্ক্ষিত নেতৃত্বের শুন্যতা পূরণে ইসলামের যথার্য জ্ঞান অর্জন, দক্ষতা অর্জন, দূরদর্শী হওয়া ও নিজেকে সত্যের সাক্ষ্য হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে।

তিনি বলেন, দেশের ছাত্রসমাজ নানাভাবে অমানিশার অন্ধকারের দিকে ছুটছে। এ ভয়াবহ পরিস্থিতি থেকে ছাত্রসমাজকে রক্ষার একমাত্র পথ তাদের কাছে ইসলামের আদর্শের আলোকবর্তিকা নিয়ে হাজির হওয়া। ইসলামী আদর্শই হচ্ছে ছাত্রশিবিরের আদর্শ। জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে আমরা ইসলামকে মেনে চলতে পারছি কি না তা সচেতনতার সাথে খেয়াল রাখতে হবে। প্রত্যেক ছাত্রের কাছে পূর্ণাঙ্গ ইসলামের দাওয়াত পৌঁছে দিতে হবে। কোনো অহেতুক বিচরণ নয় বরং সোশ্যাল মিডিয়াকে ইসলামের জন্য ব্যবহার করতে হবে। মনে রাখতে হবে, আমাদের সকল কর্মকান্ডের মূল ভিত্তি হতে হবে আল কুরআন আর মূল লক্ষ্য উদ্দেশ্যে হবে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন।