Get Mystery Box with random crypto!

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৫ বিভাগে ১৬৮টি আসন কমানোর সিদ্ধান্ত বা | Bangladesh Islami Chhatrashibir

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৫ বিভাগে ১৬৮টি আসন কমানোর সিদ্ধান্ত বাতিলের আহবান জানিয়ে ছাত্রশিবিরের বিবৃতি

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৫টি বিভাগে ১৬৮টি আসন কমানোর সিদ্ধান্ত বাতিলের আহবান জানিয়ে বিবৃতি প্রদান করেছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির।

এক যৌথ বিবৃতিতে ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাশেদুল ইসলাম ও সেক্রেটারি জেনারেল রাজিবুর রহমান, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা সভাপতি রাগীব শাহরিয়ার ও সেক্রেটারী তাসনিম আলম বলেন, ছাত্রসমাজ আশা করেছিলো বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার মান উন্নয়নের জন্য কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। কিন্তু উল্টো ১৬৮টি আসন কমিয়ে দেয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের এ সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য। বলা হয়েছে, গবেষণা ও শিক্ষার মান সুষ্ঠভাবে ধরে রাখতে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। যা বাস্তবতার বিপরীত। কারণ গবেষণার জন্য আসন কমানো নয় বরং প্রয়োজন মানসম্মত শিক্ষক, পর্যাপ্ত বাজেট, পারিপার্শিক পরিবেশ, শিক্ষার্থীদের গবেষণার উপযোগী মানষিক সক্ষমতা ও নিরাপদ ক্যাম্পাস। কিন্তু বাস্তবতা হলো, রাবি’তে দুর্নীতির মহামারি চলছে। দুই বছর আগে উপ-উপাচার্যের শিক্ষক পদপ্রার্থীর কাছে ঘুষ দাবির ফোনালাপ ফাঁস হয়েছিলো। রাবি’র প্রাক্তন উপাচার্য নিজের মেয়ে ও জামাতাকে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দিতে শিক্ষক নিয়োগ নীতিমালাই পাল্টে ফেলেছিলো। রাজনৈতিক বিবেচনায় ঘুষ বাণিজ্যের মাধ্যমে অবৈধভাবে নিয়োগ দেয়া হয়েছিলো ৩৪জন শিক্ষককে যারা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হওয়ার যোগ্য ছিলোনা। প্রশ্নহলো, যারা গবেষক তৈরি করবে সেই শিক্ষকদের মান নিয়ে যেখানে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন চিন্তিত নয় সেখানে তারা গবেষণার মান কিভাবে বৃদ্ধি করবে? তাছাড়া রাবি’ বাজেটের গবেষণা খাতে বরাদ্ধ কম রাখা হয়। যা থাকে তাও ফুলের বাগান, দেয়ালে চুনকামের মত লোক দেখানো কাজে ব্যয় দেখানো হয়। সুতরাং গবেষণার মানোন্নয়নের জন্য আসন কমানো সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণ জালিয়াতি ছাড়া কিছু নয়।

অন্যদিকে শিক্ষার মান সুষ্ঠু রাখতে প্রয়োজন শিক্ষার সার্বিক সুষ্ঠু পরিবেশ। কিন্তু সরকার দলীয় ছাত্রসংগঠনের সন্ত্রাস, সিট বাণিজ্য, ভর্তি বানিজ্য, হামলা, অবৈধ অস্ত্রের ঝনঝনানি, মাদকের থাবা, অত্যন্ত নিন্ম মানের খাবারসহ বিভিন্ন কারণে রাবি শিক্ষার পরিবেশ বহু আগেই নষ্ট হয়ে গেছে। প্রায়ই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের দুর্নীতি ও অনৈতিক কর্মকান্ড এবং ছাত্রলীগের সন্ত্রাসের খবর জাতিকে লজ্জিত করে। এ অবস্থায় মূল সমস্যাগুলো বহাল রেখে আসন সংখ্যা কমানো কোনভাবেই যুক্তিঙ্গত হতে পারেনা। মূলত নিজেদের দায়িত্বহীনতা, অদক্ষতা, অস্বচ্ছতা ও দুর্নীতি আড়াল করতেই এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। ছাত্রসমাজ এ সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করেছে।

নেতৃবৃন্দ বলেন, ব্যর্থতা ও দুর্নীতি আড়ালের এ দায়িত্বহীন সিদ্ধান্ত দেশবাসী মানেনা। অবিলম্বে আসন কমানোর সিদ্ধান্ত বাতিল করতে হবে। স্বচ্ছতা ও কার্যকর পদক্ষেপের মাধ্যমে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার সার্বিক পরিবেশ সুষ্ঠু করতে হবে। আমরা আশাকরি, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আসন কমানো সিদ্ধান্ত বাতিল করে দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিবেন।