Get Mystery Box with random crypto!

আসন্ন বিপ্লবের প্রস্তুতি... _______ এখন এক তীব্র ‘ব্যাপক যুদ্ধ | আযযাম আল গালিব

আসন্ন বিপ্লবের প্রস্তুতি...
_______
এখন এক তীব্র ‘ব্যাপক যুদ্ধের’ জন্য প্রস্তুতি নেয়া প্রয়োজন। সব থেকে উত্তম হলো– প্রস্তুতির কাজটি কিছু নিয়মকানুন মেনে করা। এ জন্য সামনের পরিকল্পনাগুলোর প্রতি গুরুত্ব দেয়া প্রয়োজন-
.
#দল
দেশে বিদ্যমান কোনো জি/হাদি দলের সাথে যুক্ত হওয়া যুদ্ধের মারহালা বা স্তরগুলো অতিক্রম করার জন্য জরুরী। এটা জি/হাদি প্রচেষ্টায় সাহায্য করে এবং জি/হাদি অভিজ্ঞতা বৃদ্ধি করে।
.
এই অভিজ্ঞতা পরবর্তীতে শত্রুকে হতাহত করার মাধ্যমে প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তোলার সুযোগ বৃদ্ধি করবে। একটি জি/হাদি দলের সাথে যুক্ত থাকলে সহজেই জি/হাদে লেগে থাকা যায়।
.
কিন্তু যদি দেশে এরকম কোনো (আশানুরূপ) দল না থাকে অথবা নিরাপত্তাজনিত কারণে তাঁদের সাথে যোগ দেয়া সম্ভব না হয়, তাহলে এটা – বসে থাকার কোন ওজর বলে বিবেচিত হবে না।
.
বরং এমন ব্যক্তির করণীয় হলো নিজেই একটি ক্ষুদ্র পরিসরে দল গঠন করা। যারা নির্দিষ্ট কিছু বিষয় প্রতিরোধ করার টার্গেট করবে।
.
এই নতুন দলটি নিজের ঘরের লোক দ্বারাও হতে পারে। আবার আত্মীয়স্বজন, পাড়া-মহল্লার সাথীদের নিয়েও করা যেতে পারে। অর্থাৎ সমাজের যে কোনো স্তরের লোকজন দ্বারাই হতে পারে।
.
এখানে গুরুত্বপূর্ণ হলো যারা প্রতিষ্ঠাতা থাকবেন, তাঁদেরকে সবচেয়ে বেশি সাহসী হতে হবে এবং মারহালাগুলো অতিক্রম করার জন্য কষ্ট সহ্য করার মানসিকতা থাকতে হবে। দলের সদস্যদের যোগাযোগ খুব মজবুত থাকতে হবে, যাতে যুদ্ধের সময় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে না যায়।
.
নতুন এই দল গঠন ‘কাট অফ’ পদ্ধতিতে করলে ভালো হবে। অর্থাৎ একজন সাথী বেশি সদস্যকে চিনবেন না। এটাই দল গঠনের সবচেয়ে কার্যকর পদ্ধতি।
.
তাছাড়া, জি/হাদি কাজের গোপনীয়তা বজায় রাখার জন্যও এই পদ্ধতি বেশি কার্যকর। এই প্রকারের দল চেইন সিস্টেমে সংযুক্ত বিভিন্ন ছোট ছোট দলের সমষ্টি নিয়ে গঠিত হয়। আর প্রত্যেক দল শুধু অন্য দুই একটি দলের সাথে মিলিত হয়।
.
এই ধরণের দলীয় রূপরেখার সবচেয়ে ইতিবাচক দিক হলো- নিরাপত্তাজনিত আঘাত বা সমষ্টিগত বন্দিত্বের কারণে দল ভেঙ্গে যায় না।
.
#নিরাপত্তাঃ-
.
নতুন মু জা হিদদের জন্য সব থেকে বেশি জরুরী হলো- নিরাপত্তার নিয়ম-কানুনের প্রতি যত্নবান হওয়া। সাধারণ জনগণের মত থাকা। পেশাগত পরিচয়ে থাকা।
.
এই দুইভাবে নিরাপত্তা বজায় রাখাই হলো এই মারহালার মূল শিরোনাম।
নিরাপত্তার বিষয়গুলোকে হালকা মনে করা, অতিরিক্ত অপ্রয়োজনীয় কথা বলা, আত্মপ্রকাশের আকাঙ্ক্ষা, কাজের ক্ষেত্রে উদাসীনতা- এগুলো এই মারহালার কিছু নেতিবাচক বিষয়। দলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য এসকল নেতিবাচক বিষয় দূর করতে হবে।
.
নতুন দলে দুই প্রকার নিরাপত্তাব্যবস্থা থাকা জরুরী। এক. অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা ও দুই. বাহ্যিক নিরাপত্তা।
.
অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা :
.
দলের অভ্যন্তরীণ তথ্যসমূহকে সংরক্ষণ করা। সংগঠনে নতুন যোগদানকারীদের কাছ থেকে তথ্য গোপন রাখা। বিশেষ করে যখন দল বড় হয়ে যায়। অন্যভাবে বললে, কাজের জন্য যতটুকু প্রয়োজন ততটুকুই তথ্য দেয়া (Need to know basis)।
.
নিরাপত্তার বিষয়াবলীকে খুব শক্তভাবে আঁকড়ে ধরতে হবে। যাতে ভিতরের তথ্য প্রকাশ না হয়ে যায়। এর ফলে ওৎ পেতে থাকা শত্রু জি/হাদি দল সম্পর্কে কোনো তথ্য সংগ্রহে ব্যর্থ হবে।
.
মোটকথা, অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা ব্যবস্থার ক্ষেত্রে নিশ্চিত করতে হবে দলের অভ্যন্তরীণ যাবতীয় তথ্য যেন গোপন থাকে। দলের শাখাগত সব বিষয় যেমন গোপন রাখতে হয়, তদ্রুপ অভ্যন্তরীণ যে বিষয়গুলো শত্রুর কাছে গুরুত্বপূর্ণ যেমন: সদস্যদের ঠিকানা, পরিচয়, সামরিক ঘাঁটি ইত্যাদিও গোপন রাখতে হবে।
.
বাহ্যিক নিরাপত্তা: শত্রুর তথ্য সংগ্রহ করার ক্ষেত্রে বিশেষ করে মার্কিন যোদ্ধাদের তথ্য সংগ্রহ করার ক্ষেত্রে নিরাপত্তার নীতিমালাগুলো পূর্ণাঙ্গরুপে মেনে চলা।

#বাছাই ও বিন্যাসকরণঃ-
.
এর দ্বারা উদ্দেশ্য হলো গুরুত্বপূর্ণ নির্দিষ্ট কিছু বিভাগের দায়িত্ব নির্দিষ্ট কিছু ব্যক্তির উপর দিয়ে দেয়া। (দল বড় হয়ে গেলে কয়েকজনকে এক বিভাগের জন্য নির্দিষ্টকরণ)। কিছু ভাইকে নিরাপত্তা বিভাগে নিয়োগ দিতে হবে।
.
কিছু ভাইকে লজিস্টিকস (অস্ত্র, গুদাম, যোগান ইত্যদি) এর জন্য রাখতে হবে। কিছু ভাইকে সাহায্য বিভাগে রাখতে হবে (আশ্রয়, চিকিৎসা ইত্যাদির জন্য)। কিছু ভাইকে রাখতে হবে বিশেষ অপারেশনের জন্য।
.
আর সৈন্য সংগ্রহ করার জন্য – সবচেয়ে ভালো হয় যদি দলের মূল ব্যক্তিরা বাদে বহির্বিভাগের কোন গ্রুপ এই দায়িত্ব পালন করে। এতে করে কোন প্রকার তথ্য ফাঁস হওয়া বা গুপ্তচর অনুপ্রেবেশের সম্ভাবনা ছাড়াই নতুন সাথীদের খুব ভালোভাবে যাচাই বাছাই করে নেয়া যাবে।
.
#নেতৃত্ব গুণ অর্জন করা

১. উঁচু মনোবল ও দৃঢ়তা
.
এ দুটি এমন গুণ যা প্রত্যেক মুজাহিদের জন্য আগত মারহালার মাঝেই অর্জন করতে হবে। কারণ এই ময়দানে কঠিন চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে হয়। কঠিন মানসিক ধাক্কা খেতে হয়।