তা লে বা ন সরকার নারীদের ব্যাপারে যে কৌশল গ্রহন করবে তা বোঝা স | আযযাম আল গালিব
তা লে বা ন সরকার নারীদের ব্যাপারে যে কৌশল গ্রহন করবে তা বোঝা সবার জন্যই গুরুত্বপূর্ণ :
.
বর্তমানে শিক্ষাখাত ও চিকিৎসাখাতে নারীদের নিরাপত্তার সাথে কাজ করতে দেয়ার সুযোগ আছে।
.
এক্ষেত্রে শরঈ মানদণ্ড বজায় রেখে নারীদের কাজ করতে দিলে - তা লে বা নদের বিরুদ্ধে পশ্চিমাদের অপপ্রচার বন্ধ হবে। পাশাপাশি তা লে বা নরা নারী বিদ্বেষী যে প্রচার রয়েছে সেটারও তখন জবাব দেয়া যাবে।
.
একটা কথা মনে রাখা উচিত- যে রাষ্ট্র শরিয়াহ আইন দ্বারা পরিচালিত হবে তাদের কাজ হলো- রাষ্ট্রীয় ভাবে গুনাহের রাস্তা কমিয়ে আনা।দেশের একশ শতাংশ মানুষকে সুফি দরবেশ বানানো রাষ্ট্রের কাজ না। একটা ইসলামি রাষ্ট্রে মুমিন যেমন থাকেন তেমনি ফাসেকরাও থাকবেন। আমান প্রাপ্ত কাফেররাও বসবাস করবেন।
.
ইসলামি রাষ্ট্র নিয়া যেনো ফ্যান্টাসি না থাকে। বরং আমরা যেনো বাস্তবতা বুঝি।
.
ইসলামি রাষ্ট্র ও সেক্যুলার রাষ্ট্রের মৌলিক পার্থক্য হলো- ইসলামি রাষ্ট্র পরিচালিত হয় আল্লাহর হাকিমিয়্যাহ স্বীকৃতি দিয়ে। পক্ষান্তরে সেক্যুলার রাষ্ট্রে মানুষের হাকিমিয়্যাহ স্বীকৃত।
.
এটা হলো প্রধান ও মুল পার্থক্য।
.
আর ইসলামি রাষ্ট্রে কেউ অপরাধ করলে এবং তা প্রমানিত হলে শরিয়াহ এর আইনে বিচার করা হবে।তা লে বা নরা এক্ষেত্রে হানাফি ফিকহকেই শরিয়াহ এর মানদণ্ড হিসেবে গ্রহন করবে। ফিকহশাস্ত্রেই মুলত আইন ও বিধিবিধান নিয়ে মুজতাহিদরা আলোচনা করে থাকেন।
.
আরেকটা বিষয় নিয়া অনেকের সংশয় তৈরি হতে পারে-
তা লে বা নরা কা শ্মী রের বিষয়কে অভ্যন্তরীণ বিষয় বলা। এটা অনেক আবেগি ভাইদের আহত করতে পারে।
.
কিন্তু তাদের বাস্তবতা বুঝতে হবে- কা শ্মী রকে স্বাধীন করতে চাইলে কিংবা কা শ্মী র জি হা দকে শক্তিশালী দেখতে চাইলে পাকিস্থান জি হা দকে শক্তিশালী করতে হবে। এবং তা লে বা নরা যদি টিটিপির আক্রামনকে পাকিস্থানের অভ্যন্তরীণ বিষয় বলে রাজনীতি করতে পারে তাহলে কা শ্মী রের বিষয়কেও ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয় বলায় অবাক হওয়ার কিছু নাই! বরং তা লে বা নের প্রকাশ্যে কারো অভ্যন্তরীণ বিষয় চুপ থাকাই কল্যাণকর।
.
অন্যথায় পাকিস্থানের টিটিপির কারনে তো তাদের দোষ দেয়ার সুযোগ তৈরি হয়।
.
যেহেতু পুরো উপমহাদেশে আল কা য়ে দা কাজ করছে এবং আ ফ গা ন জি হা দ পর বিশাল সংখ্যক মু জা হি দ রা উপমহাদেশে হিজরত করে কাজ শুরু করবে সেহেতু আমাদের আরো কিছুদিন ধৈর্য ধরা উচিত।
নতুন প্রতিষ্ঠিত ইমারতের উপর বিশেষ কিছু প্রত্যাশা না করাই উত্তম যা তাদের সাধ্যের বাইরে।
.
যদি আ ফ গা ন থেকে মু জা হি দ রা বিভিন্ন জি হা দের ভুমিতে হিজরত করে- তাহলে এটাই তো অনেক বড় সাহায্য। এর চেয়ে আর বেশি সাহায্য কি প্রত্যাশা করেন তাদের থেকে?