Get Mystery Box with random crypto!

তোমরা কি বোমা ফাটাইয়া ইসলাম প্রতিষ্ঠা করতে চাও? মানুষ হত্যা কর | আযযাম আল গালিব

তোমরা কি বোমা ফাটাইয়া ইসলাম প্রতিষ্ঠা করতে চাও? মানুষ হত্যা করে ইসলাম প্রতিষ্ঠা করবা? সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করে পিছনের দরজা দিয়া ক্ষমতায় যেতে চাও? ইত্যাদি ইত্যাদি প্রশ্ন করা এক গণতান্ত্রিক মানহাযের ভাইয়ের সাথে দ্বীন প্রতিষ্ঠার মানহায (কর্মকৌশল) নিয়ে আলোচনা করলাম।
.
আমি কোর'আন থেকে তিনটা দলিল দিলাম। সুরা বাকারা ২১৬,১৯৩ এবং সুরা তওবার ২৯ নাম্বার আয়াত। এই তিন আয়াতেই আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'আলা দ্বীন প্রতিষ্ঠার জন্য কিতাল করতে বলেছেন।অর্থাৎ সশস্ত্র যুদ্ধ করার নির্দেশ দিয়েছেন এবং এটাকে ফরজ করেছেন। দ্বীন প্রতিষ্ঠার জন্য আল্লাহর নির্ধারিত মানহায হলো কিতাল।আমাদের দেশে এই আয়াতগুলোর অনুবাদ হয় লড়াই সংগ্রাম ইত্যাদি অর্থে। কেউ আরেকটু ভালো ভাবে অনুবাদ করলে কিতালের অনুবাদ জি হা দ করেন। জি হা দ যেহেতু আবার ব্যাপক অর্থবোধক শব্দ তাই জি হা দের তাফসির আবার সংগ্রাম আন্দোলন ইত্যাদিই করে সবাই। এক্ষেত্রে কোর'আনের আয়াতে ব্যবহৃত কিতাল বেচারা একদম মজলুম থাকেন। এসব আয়াত যে সশস্ত্র যুদ্ধের জন্য তা অনেকেই বুঝেন না।
.
কিন্তু ভাই তা মানলেন না। বললেন আমি নাকি অপব্যাখ্যা করতেছি- আমি নাকি যুদ্ধের আয়াত অন্য যায়গায় লাগাচ্ছি। আমি তাকে বললাম ঠিক আছে ভাই- তাহলে আমাকে দ্বীন প্রতিষ্ঠার মানহায কি এ ব্যাপারে একটা দলিল দিন।
.
তিনি আমাকে বললেন সুরা নিসার ৭৬ নাম্বার আয়াত পড়ুন।এটাই দ্বীন প্রতিষ্ঠার মানহায।
.
আমি পড়লাম। কিন্তু এই আয়াতেও সুস্পষ্ট ভাবে কিতাল শব্দ ব্যবহার করেছেন আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া'তায়ালা। তোমরা শয়তানের বন্ধুদের বিরুদ্ধে কিতাল করো..
.

اَلَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا یُقَاتِلُوۡنَ فِیۡ سَبِیۡلِ اللّٰہِ ۚ وَ الَّذِیۡنَ کَفَرُوۡا یُقَاتِلُوۡنَ فِیۡ سَبِیۡلِ الطَّاغُوۡتِ فَقَاتِلُوۡۤا اَوۡلِیَآءَ الشَّیۡطٰنِ ۚ اِنَّ کَیۡدَ الشَّیۡطٰنِ کَانَ ضَعِیۡفًا ﴿٪۷۶﴾
.
যারা ঈমান এনেছে তারা লড়াই (কিতাল) করে আল্লাহর রাস্তায়, আর যারা কুফরী করেছে তারা লড়াই (কিতাল) করে তাগূতের পথে। সুতরাং তোমরা লড়াই (কিতাল) কর শয়তানের বন্ধুদের বিরুদ্ধে। নিশ্চয় শয়তানের চক্রান্ত দুর্বল। (সুরা নিসা- ৭৬)
.
এই আয়াতে কিতালের নির্দেশ দিতে ইউকতিলুনা এবং ফাকতিলু এসব শব্দ ব্যবহার হইছে।
.
বাস্তবতা হলো- কিতালের আয়াতগুলোকেই গণতান্ত্রিক ইসলামপন্থীরা অপব্যাখ্যা করে নিজেদের আন্দোলনের জন্য ব্যবহার করতে চায়। কারন তারা নিজেরাও জানে না এসব আয়াতে কিতাল অর্থাৎ সশস্ত্র যুদ্ধের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
.
আসলে অপব্যাখ্যা ছাড়া এসব দলের কিতাবগুলোতে কোনো সহীহ ব্যাখ্যা পাবেন না। অনেক আয়াত এবং হাদিস তারা নিজেদের জন্য ব্যবহার করে যা সুস্পষ্ট কিতালের নির্দেশ দিয়ে নাজিল হয়েছে বা কিতালের কথা উল্লেখ আছে।
.

যেখানে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'আলা এত এত আয়াতে সুস্পষ্ট ভাবে দ্বীন প্রতিষ্ঠার জন্য কিতালের নির্দেশ দিয়েছেন।তাহলে আমরা কেন তার নির্দেশ অমান্য করে অন্য কোনো মানহায গ্রহন করবো?
.
@WarStrategy