2022-01-16 20:39:12
২৬ জুন, ১২৪৩ সালে কোশে-দা এর যুদ্ধে সেলজুক সালতানাত-ই-রুম এর সুলতান দ্বিতীয় গিয়াস উদ-দ্বীন মঙ্গোল কুফফারদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে পরাজিত হন। এর মধ্যে দিয়ে সার্বভৌমত্ব হারায় সেলজুক সালতানাত-ই-রুম, আর আনাতোলিয়ার বড় একটি কব্জা করে নেয় মঙ্গোলরা।
সুলতান দ্বিতীয় গিয়াস উদ-দ্বীন এর মৃত্যুর পর তার তার দুই ছেলে ইয আদ-দ্বীন এবং রুকন উদ-দ্বীন সিংহাসন নিয়ে বিবাদে লিপ্ত হয়। এক পর্যায়ে এই বিবাদ রূপ নেয় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে।
ওদিকে মঙ্গোল সম্রাট আবাকা খান তামাশা দেখতে থাকে। সে দুই ভাইয়ের বিবাদে হস্তক্ষেপ করে, ঠিক যেমনটা করে থাকে আজকের কুফফারা যখন দুটি মুসলিম দেশের মাঝে সংঘর্ষ চলতে থাকে।
ইয আদ-দ্বীন ও রুকন উদ-দ্বীনকে আবাকা খান আলাদা সীমান্ত নির্ধারণ করে দিয়ে ক্ষমতা দেয়, ঠিক যেমনটা এখনকার কুফফাররা মুসলিম দেশগুলোর মাঝে জাতীয়তাবাদের বিষবাষ্প ছড়িয়ে উম্মাহ কনসেপ্টকে ভুলিয়ে দেয়। আবাকার চক্রান্তে তারা দুইজন ভুলেই যায় যে তারা দুই ভাই।
ইয আদ-দ্বীন এক পর্যায়ে নিজের ভুল বুঝতে পারে। সে সবকিছু পুনরায় আগের মত করতে চেষ্টা-তদবির করতে থাকে এবং মামলুক সালতানাতের সাথে জোট গড়ার চিন্তা করে।
মঙ্গোলরা এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ইয আদ-দ্বীনের আওতায় থাকা সব ভূমি দখল করে নেয়, যেমনটা করে থাকে এখনকার কুফফাররা।
রুকন উদ-দ্বীনকে মঙ্গোলরা পুরোপুরি নিজেদের কব্জায় রাখে এবং এক পর্যায়ে সিংহাসনচ্যুত করে। এর কিছুকাল পরেই সেলজুক সালতানাত-ই-রুম নাম লেখায় ইতিহাসের পাতায়।
তবে কাহিনী এখানেই শেষ হয়নি। সালতানাত-ই-রুমের পতনের পর পরই আল্লাহর ইচ্ছায় গোড়াপত্তন হয় ৬ শতাব্দীব্যাপি ৩ মহাদেশ দাপিয়ে বেড়ানো উসমানি সালতানাতের। দুনিয়াবি মোহ ও ক্ষমতার পিছনে ছুটে বেড়ানোরা প্রতিস্থাপিত হয় তাদের দ্বারা, যারা ছুটে জিহাদ ফি সাবিলিল্লাহ ও শাহাদাত এর পিছনে। বর্তমানেও কিন্তু আফগান, সোমালিয়া, মালিতে একই চিত্র দেখা যাচ্ছে!
Abdul Karim Izz al-Dīn
মূল লেখনি: https://twitter.com/Islaamichistory/status/1482741975925370884
twitter.com/Islaamichistory
64 views17:39