Get Mystery Box with random crypto!

ধরেন আ রা কা নের র হি ঙ্গা মুসলমানরা বাংলাদেশে ইসলাম প্রতিষ্ঠা | صوت الأمة

ধরেন আ রা কা নের র হি ঙ্গা মুসলমানরা বাংলাদেশে ইসলাম প্রতিষ্ঠার জন্য জি হা দ শুরু করলো? বাঙ্গালী মুসলমানদের প্রতিক্রিয়াটা কেমন হবে?
.
শরিয়তের দৃষ্টিতে আ রা কা নে যেমন জি হা দ ফরজে আইন তেমনি বাংলাদেশেও ফরজে আইন। এই দেশের বিধানের মাঝে কোনো পার্থক্য নাই।
.
কৌশলগত কারনে আ রা কা নের চেয়ে বাংলাদেশ গেরিলা যুদ্ধের জন্য বেশি উপযোগী ও বিজয় অর্জন সহজ!
.
কিন্তু আমরা সবাই আ রা কা নে তাদের জি হা দকে সমর্থন করলেও বাংলাদেশের বিরুদ্ধে সমর্থন করবো?
.
আরেকটা উদাহরন দেই- ভা র তের বিরুদ্ধে কা শ্মী রিদের জি হা দ সবাই সমর্থন করে। কিন্তু কৌশলগত দিক থেকে কা শ্মী রের আগে পা কি স্থানে ইসলাম প্রতিষ্ঠা পুর্ব শর্ত! পা কি স্থা ন মুসলমানদের অধিনে না আসা পর্যন্ত কা শ্মী র মুক্ত করা সম্ভব না। আবার শরিয়তের দৃষ্টিতে ভা র তের বিরুদ্ধে যেমন জি হা দ ফরজে আইন তেমনি পাকিস্থানের নাপাক প্রশাসনের বিরুদ্ধেও জি হা দ ফরজে আইন।
.
এখন কা শ্মী র মু জা হি দ রা যদি পাকিস্থানের বিরুদ্ধে জি হা দে নামে তাহলে পাকিস্থানের মানুষের কথা বাদ দিন- বাঙ্গালি সহ পৃথিবীর অন্যান্য মুসলিমরা কি তা সমর্থন করবে?
.
মুসলমানদের মধ্যে জাতীয়তাবাদি চেতনার বাসা বেধেছে। ফলে শরঈ ভাবে বৈধ হলেই আপনি সব কাজ করতে পারতাছেন না। কারন মনস্তাত্ত্বিক দিকটাও যুদ্ধের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। আপনার কাফেরদের বিরুদ্ধে জি হা দ জারি রাখতে হবে পাশাপাশি মনস্তাত্ত্বিক যুদ্ধেও কৌশলে বিজয় অর্জন করতে হবে!
.
সাধারন মানুষের কাছে যারা মজলুম প্রমান হবে তাদের তারা সমর্থন দিবে! এই জন্য যুদ্ধে বিজয় অর্জনের জন্য প্রতিপক্ষকে দোষী সাব্যস্ত করা এবং নিজেকে নির্যাতিত দেখানো গুরুত্বপূর্ণ যুদ্ধ কৌশল।
.
এমনকি আল্লাহ কোর'আনে শুধু কি তা ল ফরজ করা হইছে বলেই বিধান শেষ করে দেন নাই! সবচেয়ে বেশি আয়াত এই কি তা ল নিয়ে। আর আয়াতগুলোর বর্ননার ধরনটা দেখুন- আল্লাহ কুফফারদের অপরাধ খুলে খুলে বর্ননা করেছেন এবং কেন তাদের বিরুদ্ধে জি হা দ করা দরকার- জি হা দ না করলে তারা মুসলমানদের সাথে কেমন ব্যবহার করবে এবং কিভাবে পৃথিবীতে বিপর্যয় সৃষ্টি হবে অধিকাংশ আয়াতেই এসবের সুস্পষ্ট জবাব দেয়া হয়েছে।
.
অর্থাৎ পুরো কোর'আনে মুসলিমদের কি তা লকে আত্মরক্ষার যুদ্ধ হিসেবে বর্ননা করা হইছে। এমনকি মুসলিমদের বিজয়ের মুহুর্তে যে আক্রামনাত্মক জি হা দ আছে সেটাও দ্বীন ইসলাম ও মানবতার রক্ষার স্বার্থেই। এটাও আত্মরক্ষা বা ডিফেন্স এর অংশ।
.
একিউ এবং তালিব প্রতিপক্ষকে অপরাধি প্রমান করার এই গেম বেশ দারুন ভাবেই খেলছে! এবং বাস্তবেও কুফফাররা অপরাধি এবং এটাই সত্য যদিও মিডিয়ায় তারা নিজেদের সুশীল আর প্রতিপক্ষকে সন্ত্রাসী প্রমান করতে চায়।
.
একিউ এর কৌশল হলো- জাতীয়তাবাদী এই চেতনা যেনো মুসলিমদের বিরুদ্ধে কুফফাররা ব্যবহার না করতে পারে সে জন্য প্রত্যেক দেশেই অভ্যন্তরীণ ভাবে মুসলিমদের বিদ্রোহী করে তোলা- যাতে ব্যাপারটা জনগনের সাথে সরকারের যুদ্ধ হয়।
.
যেমন আফগানে আফগানিরা নেতৃত্ব দিচ্ছে- সোমালিয়ায় সেদেশের মানুষ। সিরিয়ায় তাদের দেশের জনগন। পাকিস্থানে পাকিস্থানিরা আর বাংলাদেশে বাঙ্গালীরা!
.
অর্থাৎ জি হা দ হবে এই কাফেরদের বেধে দেয়া সীমানার মধ্য দিয়েই। কাফের ও তাদের দালাল হটানোর জি হা দ। যুদ্ধটা হবে জনগনের সাথে সরকারে। অন্যদেশ থেকে আক্রামন করে বিজয় অর্জনের দরকার নেই। কারন আইএস ইরাকের সংগঠন ছিলো। সিরিয়ার আক্রামন করে সেখানে জনসমর্থন পায় নাই- বরং তাদেরকে দখলদার মনে করে সিরিয়ার জনগনই তাদের বিরুদ্ধে চলে গেছে।
.

রহিঙ্গারা আরাকানে নির্যাতিত তাই তারা মজলুম। তাদের প্রতি জনসমর্থন থাকবে কিন্তু তারা যদি বাংলাদেশে আক্রামন করে তখন মিডিয়ায় ও মানুষের কাছে তারা আগ্রাসী শত্রু হিসেবে চিহ্নিত হবে যদিও তাদের কাজ বৈধ।