Get Mystery Box with random crypto!

ফি শেখ তাবরীজি এবং তাঁর শিষ্যরা।তাদের আচরণে আকৃষ্ট হয়ে ক্ষুদ্র | আন নুসরাহ - النصرة

ফি শেখ তাবরীজি এবং তাঁর শিষ্যরা।তাদের আচরণে আকৃষ্ট হয়ে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র বহু মুসলিম জনগোষ্ঠী গড়ে উঠেছিল। সেইসময় মঙ্গোলিয়ানদের আক্রমন থেকে বাঁচতে মধ্য এশিয়া থেকে অনেক সুফি বখতিয়ার খিলজির আমন্ত্রণে তার রাজ্যে আসেন। সেসব সুফিদের ধর্মপ্রচারের কারনে মুসলিমদের সংখ্যা বেড়েছে।

৬. বাংলা লুণ্ঠনের জন্য অভিযান- এই অভিযোগটি খোদ একশ্রেণির কথিত মুসলমানদের মধ্যেও দেখা যায়! তিনি বাংলা আক্রমণ করলেন কেন, এসবের কি দরকার ছিল?

উত্তর:- সেসব কুলাংগারদের জেনে রাখা উচিত।কেয়ামতের ময়দানে প্রত্যেক মুসলমানকেই তাঁর প্রতিবেশী অমুসলিম ভাইয়ের ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে, আশপাশের অমুসলিমদের সে ইসলামের দাওয়াত দিয়েছিল কিনা? তিনি যদি বাংলা আক্রমণ না করতেন আমরা এখনো কুফরীতেই লিপ্ত থাকতাম। নিজেরা নামে মুসলিম পরিচয়টাও দিতে পারতাম কিনা সন্দেহ!! তাঁর বাংলা আক্রমণের কারণ হিসেবে ধরতে গেলে প্রথমত স্থানীয় মুসলমানদের উপর হিন্দুদের অত্যাচার,এর পর আসে ইসলাম সম্পর্কে এই ভুখন্ডের অধীবাসীদের আগ্রহ। যদি তা না হতো তাঁর আক্রমণের সময় গণপ্রতিরোধ গড়ে উঠতো,তা না হওয়ায় বুঝা যায় তারা এই অভিযানকে খুশিমনেই নিয়েছিলো। দ্বিতীয়ত হিন্দুদের হাতে নির্যাতিত বৌদ্ধদের আমন্ত্রণ। রাজ্যবিস্তার একজন বীরের সহজাত প্রবৃত্তি,আর খলজী ছিলেন একজন সেনানায়ক এবং দুর্ধর্ষ যোদ্ধা। রাষ্ট্রিয়ভাবে বাঙ্গালীদের উপর হিন্দুধর্ম চাপিয়ে দেয়া সম্রাট অশোক,নালন্দা ধ্বংসকারী শশাঙ্ক যদি হিন্দুদের কাছে বীর হয়,উন্নত চরিত্র দিয়ে ইসলাম প্রচারকারী মুহাম্মদ বিন বখতিয়ার খলজি আমাদের কাছে হওয়া দরকার ছিলো মহাবীর।কিন্তু আফসোস, শতকরা ৯০% মুসলমান তাঁকে লুণ্ঠনকারী হিসেবেই চিনে।

কবি আল মাহমুদের ভাষায় বখতিয়ার খিলজি,

"আল্লার সেপাই তিনি, দুঃখীদের রাজা।
যেখানে আজান দিতে ভয় পান মোমেনেরা,
আর মানুষ করে মানুষের পূজা,
সেখানেই আসেন তিনি।
খিলজীদের শাদা ঘোড়ার সোয়ারি।
দ্যাখো দ্যাখো জালিম পালায় খিড়কি দিয়ে
দ্যাখো, দ্যাখো।" (কবিতা- বখতিয়ারের ঘোড়া)

Okkgorblog

@Talibtimes2bn