Get Mystery Box with random crypto!

রমাদানে যারা সব রোজা রাখেন তাদের মধ্যে পর্ন দেখার হার কমে যায়। | আন নুসরাহ - النصرة

রমাদানে যারা সব রোজা রাখেন তাদের মধ্যে পর্ন দেখার হার কমে যায়।

গত বছর আমাদের পেইজ থেকে করা একটা জরিপে আমরা দেখতে পাই,
- রমাদানে শতকরা ৯৩ জনের ক্ষেত্রেই পর্ন দেখার হার কমে যায়।
- এর মধ্যে শতকরা ২১ জনের পর্ন দেখার হার শূন্যে নেমে আসে।
- এ ছাড়াও শতকরা ৬৬ জনের পর্ন দেখার হার অন্য মাসের তুলনায় অর্ধেকেরও নীচে নেমে আসে।

এ পরিবর্তনের রহস্য কী?
.
১) তাকওয়া বা আল্লাহ ভীতি অর্জন করা:
আল্লাহ্‌ সুবাহানাহু ওয়া তা'আলা বলেছেন, “হে মানুষ, তোমরা যারা ঈমান এনেছ, তোমাদের ওপর রোযা ফরজ করা হয়েছে, যেমনি করে ফরজ করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তীদের ওপর, যেন তোমরা তাকওয়া অর্জন করতে পার।” [সূরা বাকারা: ১৮৩]

অর্থাৎ, রমাদানে রোযা রাখার প্রকৃত উদ্দেশ্যই হচ্ছে তাকওয়া অর্জন করা।

তাকওয়া মানে কি?

আল্লাহর ভয়ে সকল প্রকার গুনাহ থেকে সর্বদা নিজেকে গুটিয়ে শরীর ও মনকে পাপ থেকে অক্ষত রেখে দুনিয়ার জীবন পাড়ি দেয়াই হচ্ছে তাকওয়া।

রোযায় সুবহে সাদিক থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত আমরা খাবার এবং পানাহার থেকে দূরে থাকি। এ সময়ে বাসায় কেউ না দেখলেও আমরা খাই না। কারণ, আমাদের মধ্যে আল্লাহ ভীতি কাজ করে। আল্লাহর ভয়ে একটি নির্দিষ্ট সময় খাবার গ্রহণ থেকে দূরে থাকার এই অভ্যাস অন্য মাসগুলোতে আমাদের আল্লাহর ভয়ে পাপ থেকে দূরে থাকতে সহায়তা করে।
.
২) যৌনাকাঙ্ক্ষা নিয়ন্ত্রণে থাকে:
যৌনাকাঙ্ক্ষা যে কোনো সময়ই জাগ্রত হতে পারে। কিন্তু যাদের বিয়ে করার সামর্থ্য নেই তাদের জন্য যৌনাকাঙ্ক্ষা নিয়ন্ত্রণের সবচেয়ে ভালো উপায় হচ্ছে, রোজা রাখা।

আবদুল্লাহ্ ইবনু মাস‘ঊদ (রা:) বলেন, “রসূলের ﷺ সঙ্গে আমরা কতক যুবক ছিলাম; আর আমাদের কোনো কিছু ছিল না। এই অবস্থায় আমাদেরকে রসূল ﷺ বলেন, হে যুব সম্প্রদায়! তোমাদের মধ্যে যারা বিয়ে করার সামর্থ্য রাখে, তারা যেন বিয়ে করে। কেননা, বিয়ে তার দৃষ্টিকে সংযত রাখে এবং লজ্জাস্থান হিফাজত করে এবং যার বিয়ে করার সামর্থ্য নেই, সে যেন রোজা রাখে। কেননা, রোজা তার যৌনতাকে দমন করবে।”
[সহীহ বুখারী: ৫০৬৬]
.
৩) মন আল্লাহমুখী থাকে:
রোজায় অন্য মাসের তুলনায় ইবাদত বেশি করা হয়। কুরআন তিলাওয়াত, পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ, তারাবীহ, তাহাজ্জুদে সময় পার হয়। বেশির ভাগ সময় ইবাদতে মসগুল থাকায় মন আল্লাহর দিকে ঝুঁকে থাকে। তাই পাপে লিপ্ত হওয়ার সম্ভাবনাও অনেক কমে যায়।
.
৪) শয়তানকে আটকে রাখা হয়:
রাসূল ﷺ বলেন, রমাদান শুরু হলে জান্নাতের দরজাসমূহ খুলে দেয়া হয়। জাহান্নামের দরজাসমূহ বন্ধ করে দেয়া হয়। শয়তানকে শিকলবন্দী করা হয়। [সহীহ বুখারী: ১৮৯৯]

শয়তানকে বন্দী রাখায় রমাদানে মানুষের মধ্যে পাপে লিপ্ত হওয়ার প্রবণতা কম দেখা যায়।
.
তাই রমাদান ছাড়াও অন্যান্য মাসে, প্রতি সপ্তাহে কমপক্ষে দু’দিন রোজা রাখুন। সোম এবং বৃহস্পতিবার রোজা রাখলে এটা রসূলের ﷺ সুন্নতের সাথে মিলে যাওয়ায় অতিরিক্ত সাওয়াব পাবেন। রোজা রাখা অবস্থায় তাকওয়া বৃদ্ধি পাবে এবং যৌনাকাঙ্ক্ষা নিয়ন্ত্রণে থাকবে। পর্ন আসক্তি থেকে মুক্তির ক্ষেত্রে এ দুটো জিনিস সবচেয়ে বেশি কাজে লাগে।

@RamadanReminder