Get Mystery Box with random crypto!

بسم الله الرحمن الرحيم الحمد لله والصلاة والسلام على رسول الله | আন নুসরাহ - النصرة

بسم الله الرحمن الرحيم
الحمد لله والصلاة والسلام على رسول الله وعلى آله وأصحابه ومن والاه،
أما بعد

তাকফির নিয়ে আমরা প্রান্তিকতার
শিকার। কেউ কেউ ঠুনকো অজুহাতে সামান্য সামান্য বিষয়ে তাকফির করে বসেন। আবার কেউ কেউ স্পষ্ট কুফর দেখতে পেয়েও বিভিন্ন সংশয় সন্দেহে তাকফির করা থেকে দূরে থাকেন। আসলে এ উভয়টিই প্রান্তিকতা। মুমিনকে কাফের বলা যেমন ভয়াবহ, কাফেরকে মুমিন বলাও তেমনি ভয়াবহ।
আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন,

“হে মুমিনগণ! তােমরা যখন আল্লাহর পথে সফর করবে তখন যাচাই বাছাই করে দেখবে। কেউ তােমাদেরকে সালাম দিলে পার্থিব জীবনের উপকরণ লাভের আকাঙ্খায় তাকে বলবে না যে, তুমি মুমিন নও।” - সূরা নিসা (০৪; ৯৪)
এ আয়াতে যাচাই বাছাই ছাড়া কাফের বলে দিতে নিষেধ করা হয়েছে।

অন্য আয়াতে ইরশাদ করেন,
“আল্লাহ যাকে গােমরাহ করে দিয়েছেন তােমরা কি তাকে হিদায়াত দিয়ে দিতে চাচ্ছাে?” -সূরা নিসা (০৪ : ৮৮)
তাফসিরে জালালাইনে এ আয়াতে তাফসিরে এসেছে,
যারা কাফের হয়ে গেছে তােমরা তাদেরকে হিদায়াতের ওপর আছে তথা মুমিন বলে গণ্য করতে চাচ্ছাে?” (তাফসিরে জালালাইন)

এ আয়াতে কাফেরকে মুমিন গণ্য করতে নিষেধ করা হয়েছে।
অতএব, এ উভয়টিই প্রান্তিকতা৷ উভয়টিই ভয়াবহ এবং উভয়টারই নেতিবাচক প্রভাব রয়েছে।

মােল্লা আলী কারী রহিমাহুল্লাহ (১০১৪ হি.) বলেন,
“কোনাে কাফেরকে মুসলিম মিল্লাতে অন্তর্ভুক্ত করে ফেলা কিংবা কোনাে মুসলিমকে মিল্লাত থেকে বহিষ্কার করা দেয়া, দ্বীনে ইসলামে উভয়টিই ভয়াবহ কাজ।” -শরহুশশিফা: ২/৪৯৯

মুফতি শফি রহিমাহুল্লাহ তাঁর ‘জাওয়াহিরুল ফিকহ’-গ্রন্থে বলেন,
“ফুরুয়ি তথা শাখাগত মতভেদ, ভিন্ন ব্যাখ্যা সম্ভব এমন কিংবা অস্পষ্ট কথাবার্তা, কিংবা এমন আকিদা ও শব্দ যা কুফর হওয়ার ব্যাপারে উলামায়ে কেরামের মাঝে দ্বিমত আছে: এ ধরনের বিষয়াদির ভিত্তিতে কোনাে মুসলিমকে তাকফির করা নেহায়েত অসতর্কতা এবং নিজ ঈমানকে হুমকির সম্মুখীন করার নামান্তর। কেননা, এ সূরতে পরিণতিতে ঈমানকে কুফর বলা হচ্ছে। ঠিক একইভাবে কোনাে সুস্পষ্ট
কাফেরকে মুসলমান আখ্যা দেয়াও নেহায়েত ভয়ানক অপরাধ এবং আপন ঈমানকে হুমকির সম্মুখীন করার নামান্তর। কেননা, এতে পরিণতিতে কুফরকে ঈমান বলা হচ্ছে। আর এতাে সুস্পষ্ট যে, ঈমানকে কুফর বা কুফরকে ঈমান আখ্যা দেয়া নিঃসন্দেহে কুফর; কিংবা কুফরের শঙ্কামুক্ত নয়। তাছাড়া কোনাে কাফেরকে মুসলমান বলে দেয়া শুধু একটি শাব্দিক ব্যাপার নয়, বরং গােটা মিল্লাত ও ইসলামি সমাজের ওপর মহা জুলুম। কারণ, এর দ্বারা গােটা সমাজ প্রভাবান্বিত হয়ে পড়ে। নিকাহ, নসব (বংশ), মিরাস, জবাইকৃত জন্তু, ইমামত, নামায এবং এছাড়াও সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় অধিকার ও কর্তব্য সব কিছুর ওপরই এর প্রভাব পড়ে।” জাওয়াহিরুল ফিকহ: ১/১০৪-১০৫
.
তাকফিরে ভুল হলে তাকফিরকারী নিজেই কি কাফের হয়ে যায় !
-শাইখ আব্দুল্লাহ রাশেদ হাফিযাহুল্লাহ

~ t.me/boycotttagut