Get Mystery Box with random crypto!

ইন্নালিল্লাহ! একি দেখলাম চতুর্দিকে ধান কাটা শেষ। মাঠ খালি হয় | আন নুসরাহ - النصرة

ইন্নালিল্লাহ! একি দেখলাম

চতুর্দিকে ধান কাটা শেষ। মাঠ খালি হয়েছে। দুপুরের সময় খুব ভালো একটা রোদ পড়ে। কুয়াশা মেশানো রোদ, যেটাকে বলে মিষ্টি রোদ।

মিষ্টি রোদের মধ্যে দিয়ে দুপুরের সময় হাঁটছি রাস্তা দিয়ে। দেখলাম একটা কিশোর রাস্তার একপাশে দাঁড়িয়ে হাসছে। আমি তাকে হাসার কারণ জিজ্ঞেস করলাম। সে আমাকে বলল, দূরে তাকিয়ে দেখো। ইশারা করলো।

দেখলাম প্রায় বহু দূরে একটি ধানক্ষেতে খড়ের ওপর দুইটি ছেলে। মনে হল বয়স ১৩ বছরের বেশি না। কিছু বুঝলাম না।

একটু উঁচু স্থানে দাঁড়িয়ে ভালো করে খেয়াল করে দেখলাম এই ছেলে দুটি বিবস্ত্র। একটি উপুর হয়ে শুয়া আর তার উপর আরেকটি।
বুঝতে পারলাম নিজেদের ওপর নিজেদের জৈবিক চাহিদা মেটাচ্ছে। তারা সমকাম করছে। ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।

আমি এটা অনুধাবন করা মাত্রই চোখ সরিয়ে ফেললাম। ভীষণ লজ্জা লাগছিল এই দৃশ্য দেখে।

তারা এখানে রাস্তার পাশে বসে পর্নোগ্রাফি দেখছিল। একপর্যায়ে পর্নোগ্রাফিতে যা দেখল তার তার মতো করে তাদের প্র্যাকটিস করার ইচ্ছা জাগল। যেহেতু কোনো নারী নেই, তাছাড়া নারীর সাথে এটা করলে কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে অনেক হিসেব দেয়া লাগতে পারে, তাই নিজেদেরকে বিপরীত লিঙ্গ হিসেবে ব্যবহার করল।

রাস্তা থেকে দেড় কিলোমিটার দূরে গিয়ে গভীর মাঠে তারা এই পাশবিক কার্যক্রম শেষ করলো। নাউজুবিল্লাহ।

ঘটনাটা আমাকে প্রচুর প্যারা দিচ্ছে। স্মরণে আসলেই এখন বিষন্নতায় ছেড়ে যায় মন। উনুনে ভাতের হাড়িতে ফুটন্ত ভাত, একটা ভাত টিপলেই বুঝা যায় হাঁড়ির অন্যান্য ভাতগুলোর অবস্থা কি।

মাত্র একটা চাক্ষুষ প্রমাণের মাধ্যমে আমার কাছে স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে আমাদের বাড়ন্ত প্রজন্মটা কি শিখে ফেলেছে।

শহর তো বাদ, সারাদেশে গ্রামীণ এলাকাগুলোতে হাজার হাজার বাড়ন্ত কিশোর, যাদের প্রত্যেকের হাতেই মোবাইল। পর্নোগ্রাফি দেখে এখন তা প্র্যাকটিস করার জন্য তারা নিজেদের মধ্যে সমকামিতাকে বেছে নিয়েছে।

আর ১২-১৪ বছর বয়সে যদি এই সমকামিতার প্র্যাকটিস শুরু করে তাহলে আর ১০ বছর পরে এ দেশের যুবসমাজের অবস্থা কি হবে, এখনই যে বেহাল দশা??

এর জন্য এই বাচ্চাগুলো যতটা দায়ী তার চেয়ে বেশি দায়ী তাদের মা-বাবা। আর এর চেয়েও হাজারগুণ বেশি দায়ী ত্বাগুতি শাসন ব্যবস্থা।

ত্বাগুতি শাসনব্যবস্থা পাপের সকল সামগ্রী তাদের হাতে তুলে দিয়েছে এবং স্বল্পমূল্যে পাওয়ার সুযোগ করে দিয়েছে।
বাচ্চাদের তো আর রঙিন দুনিয়ায় ঢুকে গেলে এর পরিণতি নিয়ে ভাবার সময় হয়না। যদিও একটা পর্যায়ে তারা বুঝতে পারে তার খারাপ কাজ করছে কিন্তু ইতিমধ্যে তাদের মন এর মধ্যে আবদ্ধ হয়ে গেছে।

প্রজন্ম নপুংসক হয়ে যাক, পশু হয়ে যাক, তাতে তাগুতের অনেক লাভ আছে। এই প্রজন্মকে রঙিন দুনিয়ায় যত ডুবিয়ে রাখা যাবে তাগুত তার অপরাধ ততই ধামাচাপা দিয়ে রাখতে পারবে। তার ক্ষমতার স্থায়িত্ব ততই বৃদ্ধি পাবে। কারণ নপুংসকরা তো আর ত্বাগুতের বিরুদ্ধে অস্ত্র ধরবে না।

রাব্বে কারীমই ভালো জানেন এই ডিজাস্টার এর শেষ কোথায়, তিনিই জানেন কখন আমাদের এই নিকৃষ্ট ত্বাগুতি শাসন ব্যবস্থা থেকে মুক্তি দিবেন
-Omayer Tasneem Binyameen