মুজাহিদিন আলিমদের লেখনী [[মুজাহিদ আব্দুল্লাহ আযযাম (র.) এর পক | আন নুসরাহ - النصرة
মুজাহিদিন আলিমদের লেখনী
[[মুজাহিদ আব্দুল্লাহ আযযাম (র.) এর পক্ষ থেকে কিছু উপদেশ]](2)
অসন্তুষ্টি প্রকাশ না করে পরামর্শ দিনঃ
এই জন্য, আল্লাহ্র নবী তাদের কথা আমাদের কাছে বলে গেছেন, যারা মুখোমুখি প্রশংসা করে থাকে। তিনি (স.) বলেছেন “তাদের মুখে ধূলা নিক্ষেপ কর” অর্থ যারা কোন ব্যক্তির সামনে ওই ব্যক্তিরই প্রশংসা করে, তাদের মুখে। তিনি (স.) আরও বলেন যখন তোমরা সামনাসামনি তোমার ভাইয়ের প্রশংসা করলে মানে তুমি তার মাধ্যমে মেরুদণ্ড ভেঙ্গে দিলে। এটা শুধু সেই ক্ষেত্রেই করা যেতে পারে যখন আপনি তার ভুলগুলো শুধরে দিতে চান। এই ধরনের ক্ষেত্রে তার কিছু ভালো গুণ আগেই উল্লেখ করাতে দোষের কিছু নেই। যেমন তাকে বলাঃ ভাই তুমি অত্যন্ত বুদ্ধিমান। মানুষরা তোমায় পছন্দ করে এবং তোমাকে নেতা হিসেবে মানে। কিন্তু আমি তোমার কিছু দোষ লক্ষ্য করেছি। তোমার পক্ষে কি এগুলো শোধরে নেয়া সম্ভব হবে? যদি সেই ব্যক্তির কর্তৃত্ব তোমার উপর থাকে, তোমার সিনিয়র অথবা তোমার মাতাপিতা হোন সেই ক্ষেত্রে তাদেরকে চিঠি (বা মেসেজ) পাঠাতে পার। উদাহরণ স্বরূপ-
হাসান আল-বান্না (রহিমাহুল্লাহ) বলেনঃ “আমরা অভ্যস্ত হয়ে গেছি সৎ কাজের আদেশ ও অসৎ কাজের নিষেধ এই নীতিতে। আমাদের একজন শাইখ ছিলেন যিনি আমাদের আমাদের পড়াতেন আর দেখাশোনা করতেন। একদিন আমি উনাকে মাসজিদের দুটি পিলারের মধ্যবর্তী স্থানে নামাজ পড়তে দেখলাম। তাই আমি উনাকে বলতে চাইছিলাম যে পিলারের মধ্যে নামাজ পড়া মাকরুহ। অতঃপর আমি একটি চিঠি লিখি এবং প্রেরক হিসেবে দিলাম “একজন উত্তম উপদেশদাতা”। লিখলাম, ‘হে শাইখ আমি আপনাকে দেখেছি মাসজিদের পিলারের মাঝে আপনি নামাজ পড়েন কিন্তু আল্লাহ্র রাসুল (স.) তা অপছন্দ করতেন’। আমি সেটা উনার ডাক বিভাগের মাধ্যমে পাঠিয়েছিলাম। তিনি চিঠি পড়ে উত্তর দিলেন, ‘হে যুবকেরা আমি এক ব্যক্তির চিঠি পেয়েছি যে কিনা আমাকে দুই পিলারের মাঝে নামাজ না পড়তে উপদেশ দিয়েছে এবং আমার তা আগে জানা ছিল না যে পিলারের মধ্যে নামাজ পড়া মাখরুহ, তোমরা কেউ এটা করো না’।
হাসান আল-বান্না আরও বলেনঃ “আমি সেই যুবকদের মধ্যে থেকে ছিলাম যাদের সামনে উনি কথা গুলো বলেছিলেন। সুতরাং, আমরা আমাদের শিক্ষককে কোন অপমান না করেই ভালো একটা কাজ করে ফেললাম…”
অতএব সৎ কাজের আদেশ ও অসৎ কাজের নিষেধ দেয়া ব্যক্তির জন্য আবশ্যক সে যেন মানুষদের ভালোবাসে; সে যেন দূরদর্শি হয়; সেন যে জিহ্বা সংযত রাখতে পারে। কারো কাছে গিয়ে এরূপ বলো না যে “আপনাকে আমি আল্লাহ্র জন্য ঘৃণা করি কারন আপনি এইটা করেছেন বা অইটা”। এর পরিবর্তে, আপনি কি এভাবে বলতে পারেন না “আমি আপনাকে আল্লাহর জন্য ভালবাসি, আমার ভাই! যদিও, আমি আপনার মাঝে সাধারন এবং ছোট একটি ভুল দেখেছি।”
আল্লাহ্র কসম, এক ভাই আমাকে নিচের ঘটনা বর্ণনা করলেনঃ
“কেউ একজন আমার কাছে আসল এবং বলল, ‘আমি তোমাকে আল্লাহ্র জন্য ঘৃণা করি’।”
তাই আমি তাকে বললাম, ‘কেন? কেন তুমি আল্লাহ্র জন্য আমাকে ঘৃণা কর?’
সে জবাবে বললঃ “কারন তোমার বাবা ইখওয়ানুল মুসলিমীনের সদস্য ।”
লা হাউলা ওয়ালা কুয়্যাতা ইল্লা বিল্লাহ। ইসলাম কি তাই? আমি তাকে ঘৃণা করি আল্লাহ্র জন্য- কিন্তু কেন? কারন তার বাবা ইখওয়ানুল মুসলিমীনের সদস্য! আমাদের সম্পর্কের ব্যাপারে আল্লাহ্ই যথেষ্ট, এবং এই ব্যাক্তি মনে করল যে সে ভালো কাজের আদেশ এবং মন্দ কাজের নিষেধ করেছে এবং সে সত্যের ঘোষণা দিয়েছে এবং সে চিন্তা করল যে সে পুরস্কৃত হবে যে সিদ্ধান্ত একজন মুসলিমের উপর সে চাপিয়ে দিয়েছে তাঁর কারণে……………
[ফি দিলাল সুরাহ তাওবা – পৃ-৭৫]
#shaikhabdullahazzamrahimahullah
@BalligMUE