Get Mystery Box with random crypto!

ভালোবাসা কারে কয় একদিন রাসুল (সা.) বলেন, ‘আমার ভাইদের সঙ্গ | আন নুসরাহ - النصرة

ভালোবাসা কারে কয়

একদিন রাসুল (সা.) বলেন, ‘আমার ভাইদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে খুব ইচ্ছা করছে।’ সাহাবায়ে কেরামগন বললেন আমরা কি আপনার ভাই নই?
রাসুল (সা.) বললেন, ‘তোমরা তো আমার সাহাবি তথা সঙ্গী। আমার ভাই হলো, যারা আমার ওপর ঈমান আনবে; কিন্তু আমাকে দেখবে না।’
( আনাস রা: থেকে বর্ণিত: মুসনাদে আহমাদ, হাদিস : ১২৭১৮)

কতটা ভালোবাসলে মানুষ এমন বাক্য ব্যবহার করে!
শুধু কি তাই ?

রাসুল (সা.) কোরবানির সময় দুটি মোটাতাজা শিংবিশিষ্ট দুম্বা ক্রয় করতেন। সালাত আদায় করে খুতবা প্রদান করতেন। অতঃপর তিনি সালাতের স্থানে দাঁড়ানো থাকতেই একটি দুম্বা নিয়ে আসা হতো। তা নিজ হাতে ছুরি দিয়ে জবাই করে বলতেন,
‘হে আল্লাহ, এটা আমার পুরো উম্মতের পক্ষ থেকে, যারা আপনার তাওহিদের সাক্ষ্য দিয়েছে এবং আমার রিসালাত পৌঁছে দেওয়ার সাক্ষ্য দিয়েছে।’
(আবু রাফে রা: থেকে বর্ণিত মুসনাদে আহমাদ, হাদিস : ২৭৭৮২)

জানেন প্রাণের চেয়েও প্রিয় এই মহান ব্যক্তি কি বলেছিলেন আল্লাহর সামনে ?

যখন ওনাকে বলা হলো আপনার উপর শান্তি বর্ষিত হোক,
তখন উনি আমাদের কে ও উক্ত দোয়ায় শামিল করে বললেন "আমাদের উপর শান্তি বর্ষিত হোক, ও আমার নেককার উম্মতের উপর ও শান্তি বর্ষিত হোক"
[তাফসিরে রুহুল মাআনী ৩/৩৮ পৃষ্ঠা]

শুধু তাই নয় আরও শুনুন পৃথিবীর সবচেয়ে নির্মল ভালোবাসার কাহিনী,

উম্মুল মুমিনিন আয়েশা (রা.) বলেছেন, ‘রাসুল (সা.)-এর অন্তর প্রসন্ন দেখলে আমি বলতাম, হে আল্লাহর রাসুল, আপনি আমার জন্য দোয়া করুন।’
তিনি বলতেন, ‘হে আল্লাহ, আপনি আয়েশার আগে ও পরের, গোপন ও প্রকাশ্যে করা সব গুনাহ ক্ষমা করুন।’ রাসুল (সা.)-এর দোয়া শুনে আয়েশা (রা.) হেসে নিজের কোলে মাথা নিচু করে ফেলতেন।

তাঁর হাসিমাখা মুখ দেখে রাসুল (সা.) বলতেন, ‘আমার দোয়াতে কি তুমি আনন্দিত হয়েছ?’ আয়েশা (রা.) বলতেন,হে আল্লাহর রাসুল, এটা কেমন কথা, আপনার দোয়ায় আমি আনন্দিত হব না?’
তখন রাসুল (সা.) বলতেন, ‘আল্লাহর শপথ, এভাবেই আমি প্রত্যেক সালাতের পর আমার উম্মতের জন্য আমি দোয়া করি।’
[ইবনে হিব্বান, হাদিস : ৭১১১]

যে মানুষটি জীবনের প্রতিটি মুহূর্তে আমাদের মত অযোগ্যদের মিস করেছেন, উপলব্ধি করেছেন, আমাদেরকে পরম ভালোবাসায় আগলে রেখেছেন আমরা যদি ওনার মৃত্যুর দিনে বা মৃত্যুর মাসে আনন্দ উদযাপন করি সেই ব্যক্তিটি কি একটু হলেও কষ্ট পাবে না
জানিনা মানুষ এত অন্ধ হয় কিভাবে !

যে ব্যক্তি রাসূল সা: এর মৃত্যু দিনের কষ্টগুলো উপলব্ধি করে ও তার দিল হু হু করে কেঁদে ওঠে না, আমি মনে করি সে আর যাই হোক সে মু'মিন নয় !

জেনে রাখা ভালো,
১২ ই রবিউল আউয়াল তারিখ কে রাসুল সা: এর জন্মদিন হিসেবে ধার্য করা হয় যে ইবনে কাসীর রহ: এর মত অনুসারে, ইবনে কাসির রহ: এর সেই বক্তব্যে ই রয়েছে যে,
রাসূল সা: ১২ ই রবিউল আউয়াল তারিখে মৃত্যু বরণ করেন !
তাহলে একটি বক্তব্যের একাংশ মানা আরেকাংশ ফেলে দেওয়া এটা কি ডাবল স্ট্যান্ডার্ড নয়

আল্লাহ আমাদের সবাইকে হেফাজত করুন আমীন!

.......
মুহাম্মাদ মিসবাহুল হক মেরাজী