Get Mystery Box with random crypto!

প্রতিবছর পুজা আসলে মুসলিমদের বুজাতে হয় পুজামন্ডপে যাওয়া হারাম, | আন নুসরাহ - النصرة

প্রতিবছর পুজা আসলে মুসলিমদের বুজাতে হয় পুজামন্ডপে যাওয়া হারাম, ওখানে আল্লাহর সাথে শিরক হচ্ছে, ওখানে মুসলমানদের যাওয়া ঠিক না।
.
অথচ কাফেরদের প্রতি, কাফেরদের কুফুরির প্রতি এবং তাদের উপাস্যদের প্রতি ঘৃণা থাকা শত্রুতা থাকা - সম্পর্কচ্ছেদের ঘোষনা দেয়া তাওহীদের অংশ। আমরা যখন আমাদের হৃদয় থেকে একাত্ববাদের স্বীকৃতি দেই তখন থেকেই আল্লাহর সাথে সীমালঙ্ঘনকারীদের প্রতি শত্রুতা সৃষ্টি হয়ে থাকবে এটাই স্বাভাবিক ছিলো। অথচ কাফেরদের প্রতি কিংবা তাদের কুফুরির প্রতি আমাদের কোনো বিদ্বেষ নেই। আর এই না থাকার কারন একটাই মুসলিম সমাজে আল ওয়ালা ওয়াল বার'আ আকিদার অনুপস্থিতি।
.

আল্লাহ্ তা‘আলা বলেনঃ



قَدْ كَانَتْ لَكُمْ أُسْوَةٌ حَسَنَةٌ فِي إِبْرَاهِيمَ وَالَّذِينَ مَعَهُ إِذْ قَالُوا لِقَوْمِهِمْ إِنَّا بُرَآَءُ مِنْكُمْ وَمِمَّا تَعْبُدُونَ مِنْ دُونِ اللَّهِ كَفَرْنَا بِكُمْ وَبَدَا بَيْنَنَا وَبَيْنَكُمُ الْعَدَاوَةُ وَالْبَغْضَاءُ أَبَدًا حَتَّى تُؤْمِنُوا بِاللَّهِ وَحْدَهُ
“তোমাদের জন্য ইব্রাহীম ও তাঁর অনুসারীদের মধ্যে রয়েছে উত্তম আদর্শ; তারা তাদের সম্প্রদায়কে বলেছিল ঃ তোমাদের সঙ্গে এবং তোমরা আল্লাহর পরিবর্তে যার ইবাদত কর তার সঙ্গেঁ আমাদের কোন সম্পর্ক নেই। আমরা তোমাদের মানি না, তোমাদের ও আমাদের মধ্যে সৃষ্টি হলো শত্রুতা ও বিদ্বেষ চিরকালের জন্য, যদি না তোমরা এক আল্লাহর উপর ঈমান আন।”
[সূরা মুমতাহিনা ৬০ঃ ৪]

তিনি (সুবহানাহু ওয়া তা‘আলা) আরো বলেনঃ
ثُمَّ أَوْحَيْنَا إِلَيْكَ أَنِ اتَّبِعْ مِلَّةَ إِبْرَاهِيمَ حَنِيفًا

“অতঃপর আমি তোমার প্রতি প্রত্যাদেশ করলাম, তুমি একনিষ্ঠ ইব্রাহীমের মিল্লাত অনুসরণ কর এবং সে মুশরিকদের অন্তর্ভুক্ত ছিল না।” [সূরা নাহল ১৬ঃ ১২৩]
.
শাইখ হামাদ বিন আতিক আন নাজদী (রহিমাহুল্লাহ) বলেনঃ “আর এখানে একটি চমৎকার লক্ষণীয় বিষয় রয়েছে, তার বক্তব্য- “নিশ্চয় তোমাদের সঙ্গে এবং আল্লাহর পরিবর্তে তোমরা যাদের ইবাদত কর তাদের সঙ্গে আমাদের কোন সম্পর্ক নেই।” লক্ষনীয় বিষয়টি এই যে, আল্লাহ্ কাফিরদের উপাস্যদের সাথে বারা’আর কথা বলার আগে কাফিরদের সাথে বারা’আ করার কথা বলেছেন। কারণ, প্রথমটি (কাফিরদের সাথে বারা’আ) দ্বিতীয়টির চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। কারণ সে তার উপর আসা হুকুমকে মানতে ব্যর্থ হতো যদি সে শুধুমাত্র কাফিরদের উপাস্য সমূহের সাথে বারা’আ করতো আর কাফিরদের সাথে বারাআ করা থেকে বিরত থাকতো। উপরন্তু, মুশরিকদের সাথে তার কৃত বারাআ স্বাভাবিক ভাবেই তাদের উপাস্য সমূহের সাথে বারাআর পথ খুলে দেয়। আর এভাবেই আল্লাহ্ তাঁর বাণীতে বলেনঃ

وَأَعْتَزِلُكُمْ وَمَا تَدْعُونَ مِنْ دُونِ اللَّهِ وَأَدْعُو رَبِّي عَسَى أَلا أَكُونَ بِدُعَاءِ رَبِّي شَقِيًّا
“আর আমি তোমাদের থেকে এবং তোমরা আল্লাহ্ ব্যতীত যাদের ইবাদত কর তাদের নিকট থেকে পৃথক হচ্ছি, আর আমি তো আমার রবেরই নিকট আহবান করতে থাকব; আশা করি আমার রবের নিকট আহবান করে আমি ব্যর্থকাম হবো না।” [সূরা মারইয়াম ১৯ঃ ৪৮]
.
সুতরাং তিনি কাফিরদের থেকে পৃথক হওয়াকে তাদের উপাস্য সমূহ থেকে পৃথক হওয়ার পূর্বে স্থান দিয়েছেন, পরবর্তী আয়াতে তিনি বলেছেন,

فَلَمَّا اعْتَزَلَهُمْ وَمَا يَعْبُدُونَ مِنْ دُونِ اللَّهِ وَهَبْنَا لَهُ إِسْحَاقَ وَيَعْقُوبَ وَكُلًّا جَعَلْنَا نَبِيًّا

“অতঃপর সে যখন তাদের থেকে এবং তারা আল্লাহ্ ছাড়া যাদের ইবাদত করে সেসব হতে পৃথক হয়ে গেলো তখন …” [সূরা মারইয়াম ১৯ঃ ৪৯]
.
এছাড়াও আল্লাহ্ বলেনঃ

وَإِذِ اعْتَزَلْتُمُوهُمْ وَمَا يَعْبُدُونَ إِلا اللَّهَ

“তোমরা যখন বিচ্ছিন্ন হলে তাদের থেকে এবং তারা আল্লাহর পরিবর্তে যাদের ইবাদত করে তাদের থেকে…” [সূরা কাহ্ফ ১৮ঃ ১৬]
.
এ পুরো বিষয়টি তোমার জন্য একটি কারণ, যেটি আল্লাহর শত্রুদের সাথে তোমার শত্রুতার দরজা খুলে দেয়। অনেক মানুষ র্শিকে পতিত না হওয়া সত্ত্বেও তারা মুশরিকদের সাথে শত্রুতাও করে না? তারা এইভাবে মুসলিম হতে পারবে না, কারণ তারা সকল নাবীর দ্বীনকে ত্যাগ করেছে।’’