Get Mystery Box with random crypto!

২০১৬ সালের ৮ জুলাই থেকে শুরু হওয়া ওই বিক্ষোভে শুধু এক মাসেই ম | আন নুসরাহ - النصرة

২০১৬ সালের ৮ জুলাই থেকে শুরু হওয়া ওই বিক্ষোভে শুধু এক মাসেই মোদির সন্ত্রাসী বাহিনী ৬৬ জন মুসলিমকে হত্যা করে। মানবাধিকার সংগঠনগুলি বলছে সবথেকে বেশী ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে ছররা গুলিতে। বহু মানুষ আহত হয়েছেন, অনেকে অন্ধ হয়ে গেছেন।

একসময়ে শিকার করার জন্য এধরণের ছররা গুলি ব্যবহার করা হত। ছোট ছোট ধাতব বলের ভেতরে বারুদ ভরে তারপরে প্লাস্টিকের আচ্ছাদন দিয়ে একেকটি ছররা তৈরি হয়। একেকটি কার্তুজে সাড়ে চারশো ছররা থাকে – যেটা বন্দুক থেকে ছোঁড়া হলে চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে বিক্ষোভকারীদের আহত করে।

পাশাপাশি, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং হিন্দু জাতীয়তাবাদী দল ভারতীয় জনতা পার্টি দীর্ঘসময় ধরে ভারতীয় সনবিধানে কাশ্মীরের বিশেষ সুবিধা সম্পর্কিত ৩৭০ অনুচ্ছেদ’এর বিরোধিতা করে আসছিল। ঐ অনুচ্ছেদের বিলোপ সাধন বিজেপি দলের ২০১৯ সালের নির্বাচনি তফসিলের অংশও ছিল। এপ্রিল-মে মাসে হওয়া সাধারণ নির্বাচনে জয় পাওয়ার পর ৫ আগস্ট ২০১৯ তারিখে নরেন্দ্র মোদির হিন্দুত্ববাদী ফ্যাসিস্ট সরকার ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ ও ৩৫(এ) ধারা পার্লামেন্টের দুই কক্ষের ভোটে বাতিল করে দেয়। এর মাধ্যমে ভারতের সংবিধানে কাশ্মীরের যে বিশেষ মর্যাদা ছিল তা বাতিল করা হয়। কাশ্মীরকে বিভক্ত করা হয় জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখ- এ দু’টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে।

সেইসাথে কাশ্মিরের আজাদী চাওয়া মুসলিমদের রুখতে মোদি সরকার মোতায়েন করেছিল অতিরিক্ত হাজার হাজার সেনা। করোনা আক্রমণ শুরু হওয়ার এক বছর আগেই কাশ্মিরের মানুষকে কারফিউ জারি করে যে গৃহবন্দি করে রাখা হয়েছিল, সেই বন্দিত্ব আজ পর্যন্ত চলমান।

কাশ্মিরের ব্যাপারে ভারত যে ইহুদি রাষ্ট্র ইসরাঈলকে নিজদের রোল মডেল হিসেবে নিয়েছে, তা বেশ কয়েকজন অফিয়সিয়ালের বক্তব্যে উঠে এসেছিল। মোদি সরকার ৩৭০ ধারা বাতিল করে কাশ্মীরী মুসলিমদের উপর নির্যাতনের মাত্রা আরো বহুগুণে বাড়িয়ে দিয়েছে। কাশ্মীরের সঙ্গে ভারতের অন্যান্য অংশ এবং দুনিয়ার সঙ্গে সব যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে রেখেছে। কাশ্মীরে ভারতীয়দের জমি কেনা, ব্যবসা-বাণিজ্য, শিল্প-কারখানা, চাকরি নিষিদ্ধ ছিল। এখন ভারতীয়রা সেখানে জমি কিনতে পারবে, ব্যবসা-বাণিজ্য-শিল্পে বিনিয়োগ করতে পারবে, চাকরি করতে পারবে। অর্থাৎ এসব ক্ষেত্রে ভারতের অন্যান্য রাজ্যের লোকদের জন্য নানা ধরনের সুযোগ সৃষ্টি করে কাশ্মীরিদের অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে আরও পেছনে ফেলার ব্যবস্থা করা হয়েছে। তাছাড়া এক্ষেত্রে তাদের একটা বড় চক্রান্ত হচ্ছে, কাশ্মীরে ভারতীয় হিন্দুদের বসতি স্থাপন করে সেখানে মুসলিমদের সংখ্যালঘুতে পরিণত করা।

২০১৫ সালে আল জাজিরাতে সাংবাদিক মেহেদী হাসানকে সাক্ষাতকার দিয়েছিল মোদীর জনতা পার্টির সাধারণ সম্পাদক রাম মাধব। সে সুস্পষ্টভাবে বলে তাদের লক্ষ্য হচ্ছে ভারত, বাংলাদেশ এবং পাকিস্তানকে একত্রিত করে অখন্ড ভারত প্রতিষ্ঠা করা। বিজেপির মূল শেকড় হল আরএসএস। সেই আরএসএস এর প্রধান মোহন ভগবত বলেছে উপমহাদেশে অখন্ড ভারত প্রতিষ্ঠা সম্ভব।
ভারতের নীতি নির্ধারকরা বেশ স্পষ্টভাবেই তাদের লক্ষ্য উদ্দেশ্য জানিয়ে দিয়েছে। তাদের কল্পিত অখন্ড ভারতে থকবে শুধু হিন্দুরা। মুসলিমরা সেখানে থাকবে না বা থাকতে দেওয়া হবে না। কাশ্মীর, আসাম, গুজরাট, দিল্লীতে মুসলিম নিধন, বাংলাদেশের প্রশাসন সহ সর্বস্তরে হিন্দুদের আধিপত্য… সবকিছুই অখন্ড ভারত প্রতিষ্ঠার বৃহৎ পরিকল্পনার অংশ। হিন্দুত্ববাদী ভারতের এই অখন্ড ভারত প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন আবর্তিত হচ্ছে গুজরাটের কসাই মোদীকে কেন্দ্র করে।