Get Mystery Box with random crypto!

বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট: তিন বছর কোন আয় করতে পারেনি, খরচ উঠবে কব | Reality Check BD

বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট: তিন বছর কোন আয় করতে পারেনি, খরচ উঠবে কবে?

চার বছর আগে ধনকুবের ইলন মাস্কের মালিকানাধীন স্পেসএক্স-এর নতুন প্রযুক্তির রকেট ফ্যালকন নাইনে করে যখন মহাকাশে প্রথম স্যাটেলাইটটি পাঠিয়েছিল বাংলাদেশে, তখন দেশটি মহাকাশে পদচিহ্ন আঁকা এলিট দেশগুলোর ক্লাবে প্রবেশের গৌরব অর্জনের পাশাপাশি এটা থেকে অনেক আয় করারও স্বপ্ন দেখেছিল।

কিন্তু চার বছর পর এসে কর্তৃপক্ষ বলছে, নানা কারণে উৎক্ষেপনের প্রথম তিন বছরে স্যাটেলাইটটি থেকে কোন আয় করতে পারেনি বাংলাদেশ। ফলে খরচ উঠে আসার যে প্রাথমিক হিসেব নিকেশ করা হয়েছিল, তাতে দেখা যাচ্ছে এই খরচ উঠতে আরো বেশি সময় লাগবে।

বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ তৈরি এবং উৎক্ষেপণে প্রায় তিন হাজার কোটি টাকা খরচ হয়েছিল, যা উৎক্ষেপণের সময় বলা হয়েছিল, পরবর্তী সাত বছরের মধ্যে অর্থাৎ ২০২৫ সালের মধ্যে তুলে আনা সম্ভব হবে।

কিন্তু স্যাটেলাইটটি উৎক্ষেপনের চার বছর পূর্তিতে এসে পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম বিবিসিকে বলেছেন, "চার বছরের মধ্যে প্রথম তিন বছরে আমরা নানা কারণে কোন আয় করতে পারিনি। কিন্তু আস্তে আস্তে আমরা আয় করতে শুরু করছি।"

বছরে ঠিক কী পরিমাণ আয় হচ্ছে স্যাটেলাইট থেকে সে বিষয়ে তথ্য দেননি মি. ইসলাম।

তবে তিনি বলেছেন, এই মুহূর্তে স্যাটেলাইট থেকে যে আয় হয়, এর পরিচালন ব্যয় হিসেবে তার এক দশমাংশের চাইতেও কম খরচ হয়।

টাকার অংকে সেটি কত সেটি উল্লেখ করেননি তিনি।

সূত্রঃ বিবিসি বাংলা
======

তিন হাজার কোটি টাকা খরচ করে তিন বছরেও কোন আয় নেই "স্বপ্নের বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট ১-এর"। অথচ দেশের মানুষকে মিথ্যা স্বপ্ন দেখিয়ে তাদের টাকায়ই এত ব্যয়বহুল একটি প্রজেক্টের কাজ সম্পন্ন করেছিলো তারা। বর্তমানে শ্রীলংকার কি অবস্থা আপনারা সবাই-ই কমবেশি অবগত। শ্রীলংকার সরকারের একের পর এক ভুল সিদ্ধান্তে আজ শ্রীলংকার অর্থনীতি ধ্বংস। সেদেশের মানুষকে এখন থাকতে হচ্ছে একবেলা খেয়ে কিংবা না খেয়ে।

কিন্তু তাতে কার কি যায় আসে? "মহাকাশে পদচিহ্ন আঁকা এলিট দেশগুলোর ক্লাবে প্রবেশের গৌরব অর্জন" আমাদের দেশের নেতাদেরকে কিন্তু এখনও তৃপ্তি দেয়। 'দেশ অনেক এগিয়ে গেছে', 'বাংলাদেশ শ্রীলংকার মতো হবে না' বলে তারা এখনও ব্যাপক প্রোপ্যাগান্ডা চালায়। তারা কিন্তু বাস্তবতা জানে এবং জেনেশুনেই তারা এধরণের কথাগুলো বলে। কারণ তারা জানে, যে এদেশের মানুষ তাদের কিছুই করতে পারবে না।

স্বপ্নের মেট্রোরেল, স্বপ্নের এক্সপ্রেস ওয়ে, স্বপ্নের পদ্মাসেতু, স্বপ্নের স্যাটেলাইট- সব কিছুরই একটা দাম আছে। যার মূল্য চুকাতে হবে আমাদের মতোই সাধারণ জনগণকে। ইতোমধ্যেই দ্রব্যমূল্যের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। সাধারণ মানুষকে এখন টিসিবির পন্যের জন্য দাঁড়াতে হচ্ছে দীর্ঘ লাইনে। কোনমতে এখনও ২/৩ বেলা খেয়ে না খেয়ে বেঁচে আছে দেশের গরীব মানুষগুলো। তবে সেই দিন বেশি দূরে নেই যেদিন এদেশের অবস্থায়ও হবে শ্রীলংকার মতো। আসতে আসতে কিন্তু আমরা কিন্তু এগিয়ে যাচ্ছি সেদিকেই।