Get Mystery Box with random crypto!

সূরা আল কাহাফ কেনো নাযিল হয়েছিলো জানেন? রাসূলুল্লাহ সাল্লাললা | Arif Azad

সূরা আল কাহাফ কেনো নাযিল হয়েছিলো জানেন?

রাসূলুল্লাহ সাল্লাললাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নবুয়তকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে মুশরিকরা আহলে কিতাবদের কাছ থেকে তিনটা প্রশ্ন ধার করে আনে। আহলে কিতাবরা বলে দিয়েছিলো—সত্যিকার নবি না হলে এই প্রশ্নগুলোর উত্তর দেওয়া কখনোই সম্ভব হবে না।

মুশরিকরা নবিজী সাল্লাললাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে কখনোই সত্য নবি মনে করতো না৷ তাদের ধারণা ছিলো এই প্রশ্নগুলোর উত্তর মুহাম্মাদ সাল্লাললাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কখনোই দিতে পারবেন না এবং তিনি যে আল্লাহর নবি নন, সেটা সকলের সামনে প্রমাণ হয়ে যাবে।


প্রশ্ন তিনটা ছিলো—

১. গুহার সেই বালকদের ঘটনাটা কী? কী ঘটেছিলো তাদের ভাগ্যে?

২. সেই ধর্ম অন্তপ্রাণ রাজা কে যাকে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা পূর্ব এবং পশ্চিমের গোটা রাজত্ব দান করেছিলেন?

৩. রুহ কী?

আমরা জানি—মুশরিকদের উত্থাপিত এই প্রশ্নগুলোর জবাব দিয়ে সূরা আল কাহাফ সহ আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা জিবরাইল আলাইহিস সালামকে নবিজী সাল্লাললাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে পাঠান।


এখানে আমার চিন্তাটা একটু অন্য জায়গায়৷ যদিও ষড়যন্ত্র আর কূটচালের অংশ, তবুও মুশরিকরা আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলার কাছে জানতে চেয়েছিলো কেবল তিনটা ঘটনা৷ কিন্তু সূরা আল কাহাফে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা কি শুধু তিনটা ঘটনাই জানিয়েছেন?


মুশরিকদের উত্থাপিত তিনটা প্রশ্নের জবাব তো দিয়েছেনই, সাথে বাড়তি করে সূরা আল কাহাফে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা আমাদেরকে আরো দুটো বাড়তি ঘটনা জানিয়েছেন।


১. সেই দুই বাগানের মালিকের ঘটনা যে অঢেল সম্পদের মালিক হওয়ার পর আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলাকে ভুলে গেলো এবং ধ্বংস হলো।

২. মুসা আলাইহিস সালাম এবং খিযির আলাইহিস সালামের ঘটনা।


এই বাড়তি দুই ঘটনার কথা কিন্তু মুশরিকরা জানতে চায়নি, তথাপি আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা অনুগ্রহ করে জানিয়েছেন আমাদের।


হোক না তারা আল্লাহর দ্বীনের অকল্যাণ কামনা করেই প্রশ্নগুলোর জবাব চেয়েছে, কিন্তু উত্তর দানের বেলায় আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা কিন্তু তাঁর স্বভাবসুলভ বদান্যতা ঠিক ঠিক ধরে রেখেছেন৷ তারা জানতে চাইলো তিনটে ঘটনা, আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা জানালেন পাঁচটা।


মুশরিকদের চাওয়ার বিপরীতেই যদি আপনার রব বাড়তি দিতে পারেন, বাড়তি জানাতে পারেন, হাজার গুনাহ করলেও আমরা তো তাঁরই গুনাহগার বান্দা, আমরা তো তাঁকেই দিনশেষে সিজদাহ করি। আমরা যদি তাঁর কাছে কোনোকিছু চাই, তিনি কতোগুণ বেশি করে আমাদের দিতে পারেন ভাবুন তো...