Get Mystery Box with random crypto!

দুটো দৃশ্যপট আমি আপনার সামনে সাজাতে পারি। দুই জায়গাতে আপনার দু | Arif Azad

দুটো দৃশ্যপট আমি আপনার সামনে সাজাতে পারি। দুই জায়গাতে আপনার দুই অবস্থা আপনি সহজেই ধরতে পারবেন।



ধরা যাক একই অফিসের দুইজন লোকের ডিউটি আগামিকাল সকাল আটটায় শুরু এবং যেভাবেই হোক সকাল সাড়ে সাতটার ট্রেন তাদেরকে ধরতেই হবে।


আরো ধরা যাক, এই দুই লোকের একজন জেগে আছে রাত দুটো পর্যন্ত। দুটো পর্যন্ত জেগে সে কী করেছে? মাইলের পর মাইল ফেইসবুক স্ক্রল করেছে, ইউটিউব ব্রাউজ করে কোন বক্স অফিস হিট করা মুভি কিংবা বেশ তাক লাগানো কোন নাটক দেখেছে। রাত দুটোর দিকে ঘুমিয়ে সে জেগেছে সকাল সাতটায়। পাক্কা পাঁচ ঘণ্টা ঘুমের চক্র পূরণ করতে সে মোটেও ভুলেনি। কিন্তু তার ট্রেন সাড়ে সাতটায়। আধ ঘণ্টার মধ্যে প্রস্তুত হয়ে তাকে থাকতে হবে স্টেশনে। এই আধ ঘণ্টার মধ্যে তার সে কী ছুটোছুটি!



আবার ধরা যাক, দুজনের আরেকজন দশটা বাজতেই ঘরের সকল বাতি নিভিয়ে দিয়ে বিছানায় গা এলিয়ে দিয়েছে। রাত আটটার দিকে সে ফেইসবুকে একটু ঢুঁ মেরেছে বটে, তবে তা সাকুল্যে পনেরো মিনিটের জন্য। সাড়ে আটটার পর সে আর সোশ্যাল মিডিয়ায় আসেনি। দশটার দিকে বিছানায় এলে চোখে ঘুম নামতে তার সাড়ে দশটা বেজে যায় প্রতিদিন। এই আধ ঘণ্টার মাঝে সে রাতের জিকির-আযকারগুলো সেরে নিতে পারে। এরপর সাড়ে দশটার দিকে ঘুমিয়ে যাওয়ার পর তার অ্যালার্ম যখন বাজে তখন ঘড়িতে রাত সাড়ে তিনটে।


ফযরের ওয়াক্ত হয় সাড়ে চারটায়। এক ঘণ্টা সময় আগে জেগে সে চার রাক'আত তাহাজ্জুদ সালাত আদায় করেছে, ছয় পৃষ্ঠা কুরআন তিলাওয়াত করেছে এবং শেষ রাতে করতে পেরেছে অধিক পরিমাণ ইস্তিগফার। যখন মসজিদগুলোতে আযান হলো, সে মসজিদে চলে গেলো। ফযর সালাত পড়ে সেখানে বসে পুনরায় কুরআন তিলাওয়াত করে, জিকির-আযকার সেরে, সালাতুত দোহা পড়ে নিয়ে একেবারে ঘরে ফিরেছে সে। এতোসবের পরেও তার হাতে যেন অফুরন্ত সময়। গা শীতল করা ঠান্ডা পানি দিয়ে গোসল সেরে, কাপড়-চোপড় পরে নিয়ে সে রওনা করলো স্টেশানের দিকে। তার কাজগুলোতে কোন তাড়াহুড়ো নেই কিন্তু।


খেয়াল করলে দেখবেন— দৃশ্যপটের প্রথম ব্যক্তি ঘুমিয়েছে পাক্কা পাঁচ ঘণ্টা। আর দ্বিতীয় ব্যক্তিও কিন্তু তার কম ঘুমায়নি। সে-ও পাঁচ ঘণ্টা ঘুম পূরণ করে নিয়েছে। কিন্তু, দৈনন্দিন রুটিনটাকে কেবল একটুখানি বদলে নিয়ে দ্বিতীয়জন যেখানে গভীর রাতে তাহাজ্জুদ, কুরআন তিলাওয়াত, আযকার, ফযরের সালাত, সালাতুত দোহা পড়েও খুব ধীরস্থিরভাবে অফিসে যেতে পেরেছে, একই পরিমাণ ঘুমিয়ে প্রথম ব্যক্তি তাহাজ্জুদ দূরে থাক, ফযরটা পর্যন্ত কাযা করে ফেলেছে। আর, এই রুটিন মানতে গিয়ে অফিসে যেতেও তাকে রোজ হিমশিম খেতে হচ্ছে।



যে ব্যক্তি আল্লাহর রঙে নিজেকে সাজিয়ে নেয়, সবখানে তার জন্য উইন-উইন সিচুয়েশান!