Get Mystery Box with random crypto!

দুনিয়াতে ট্যালেন্ট বলতে কিছু নাই।পরিশ্রমী পোলাপান দিনের পর দিন | IT SHEBA

দুনিয়াতে ট্যালেন্ট বলতে কিছু নাই।পরিশ্রমী পোলাপান দিনের পর দিন সাধনা করে যে দক্ষতা যে জ্ঞান অর্জন করে আইলসা পোলাপান সেটাকেই ট্যালেন্ট বলে।
এই কথাগুলা বিশ্বাস না হলে, তোমার আশেপাশের ট্যালেন্টেড একটা স্টুডেন্টকে বলো-- তোর তো ডিব্বা ভর্তি ট্যালেন্ট। তাই আজকের পর থেকে ক্লাসের বাইরে তুই বই ধরবি না। কোন প্রাকটিস, রিভিশন দিবি না। বাসায় কোন স্টাডি করবি না। দেখি ট্যালেন্ট এর ঠেলায় তুই ক্লাসে ফার্স্ট, সেকেন্ড হতে পারস কিনা?
.
তখন বুঝতে পারবে সে শুধু মগজের ঘিলু দিয়ে ট্যালেন্টেড হয় নাই। বরং হার্ডওয়ার্ক, ডেডিকেশন, পার্সপেক্টিভ আর ডিসিপ্লিন এর আউটকাম হিসেবে ট্যালেন্টেড হইছে। এজন্যই আশেপাশে অনেক ট্যালেন্টেড পোলাপান দেখবে: প্রেমের চক্করে, ওভার কনফিডেন্স এর ঢেকুরে, সঙ্গেদোষে, কিংবা জায়গা পরিবর্তনে এডজাস্ট করতে না পেরে, অথবা ফোকাস হারিয়ে হার্ডওয়ার্ক করা কমায় দিছে। আর দুই-তিন মাসের মধ্যে তার ট্যালেন্ট গায়েবুল হাওয়া হয়ে গেছে।
.
একজন ট্যালেন্টেড পোলাপান আর আমরা ফাঁকিবাজ (স্বঘোষিত স্মার্ট !!!) ম্যাংগোপিপল এর মধ্যে ডিফারেন্স কী কী !!!

১. Hard Work over Shortcut
ওরা হার্ডওয়ার্ক করে। দিনের পর দিন বোকার মতো পড়ালেখা, প্রাকটিস, রিভিশন দেয়, শিখে নেয়, বুঝে নেয়। আর আমরা শর্টকার্ট সিলেবাস, চালাকি, কপিবাজি, টিচারকে বোকা বানানোর ফাঁকফোকর খুঁজি।

২. Discipline over Deadline
ওরা বারোমাসি। বছরের বারোমাস হার্ডওয়ার্ক করে, বারোমাস অর্গানাইজডভাবে এফোর্ট দেয়। রেগুলার এফোর্ট মেইনটেইন করে। রেগুলার ভালো আউটপুট পায়। আর আমরা সিজনাল। শুধু পরীক্ষার ডেডলাইন আসলে কোমড়ে গামছা বেঁধে নামি। কোন রকমে পার পেলে আবার যেই লাউ সেই কদু হয়ে যাই।

৩. Maximizing Effort over Maximizing Entertainment
আমাদের ঘুম ভাঙ্গে ফেইসবুক দিয়ে আবার আমরা ঘুমাইতে যাই ফেইসবুক স্ক্রল করতে করতে। এছাড়া খেলা, মুভি, নাটক, BTS, ভাইরাল, নিউ ট্রেন্ড, এই এপ ওই এপ তো আছেই। আর যারা ট্যালেন্টেড তাদের হিসাবটা জাস্ট উল্টা। তারা খেয়াল করে করে সিরিয়াস কাজ কর্ম করে। এর মধ্যে রিলাক্স বা ব্রেক এর জন্য হালকা একটু সময় পাইলে এন্টারটেইনমেন্ট নিদৃষ্ট সময় দেখে।

৪. Finishing The Task over Excuses
অসুস্থ, মাথাব্যাথা, ফ্যামিলি ইস্যু, কারেন্ট না থাকা, ইন্টারনেট না থাকা, বুয়া সাজেক ট্যুরে, কিংবা পাশের বাসার বিড়াল এর মিয়াও, মিয়াও করার মতো সব সমস্যাই আমাদের লাইফে যেমন আছে ট্যালেন্টেড পোলাপান এর লাইফেও আছে। শুধু ডিফারেন্স হচ্ছে:: আমরা সমস্যাকে পুঁজি করে অজুহাত হিসেবে কাজ টা না করে পার পেতে চাই। আর ওরা যত দ্রুত সম্ভব এডজাস্ট করে কাজটা ফিনিশ করার রাস্তা বের করে ঠিকই কাজটা ফিনিশ করে ফেলে।

.
এইটুক পড়ার পর কিছু স্বঘোষিত পন্ডিত বলবে-- ভাই, এতো পরিশ্রম করে কি হবে?
তাদের জন্য উল্টা প্রশ্ন: এতো পরিশ্রম না করে, কি করছো?

Jhankar mahbub