Get Mystery Box with random crypto!

কারো কাছে শরীয়া আইন মানে মৃত্যুদণ্ড আর হাতকাটা, কারো কাছে শরী | Footsteps of the Ashaab

কারো কাছে শরীয়া আইন মানে মৃত্যুদণ্ড আর হাতকাটা, কারো কাছে শরীয়া আইন মানে কাবাবের গোস্তটা দ্বিগুণ হয়ে যাওয়া।

অন্ধের ক্ষীর খাওয়ার গল্পটা জানেন?
অন্ধ উস্তাদকে তার ছাত্র বলল, হুজুর! আজ মা আপনার জন্য ক্ষীর তৈরি করেছে। উস্তাদ জীবনও ক্ষীর খাননি। তাই জিজ্ঞেস করলেন, ক্ষীর কেমন? ছাত্র বলল, এটা দুধ দিয়ে তৈরি করে। উস্তাদ বেচারা দুধও খাননি কখনো। তাই জিজ্ঞেস করলেন, দুধটা আবার কী জিনিস? ছাত্র বলল, হুজুর, দুধ হচ্ছে বকের মতো শাদা। অন্ধ উস্তাদ তো বক দেখেননি কখনো, তাই জিজ্ঞেস করলেন এই বকটা দেখতে কেমন? ছাত্র এবার হাত বাঁকিয়ে বকের গলার মতো বানিয়ে হুজুরের হাতের কাছে নিয়ে বলল, এইযে বক এমন। হুজুর দুই হাত দিয়ে ছাত্রের বাঁকানো হাতটা ধরে টরে বললেন, না বাবা আমি ক্ষীর খাব না। এত বড় ক্ষীর আমার গলা দিয়ে ঢুকবে না, শেষে ক্ষীর গলায় আটকে আমি মারা পড়ব।

এই হচ্ছে অন্ধের ক্ষীর খাওয়ার গল্প।
আপনি এই পোস্ট কলোনিয়াল যুগে যদি মানুষকে শরীয়া আইন বোঝাতে চান, তাহলে এই অবস্থাই হবে। একশো বছরের বেশি সময় ধরে শরঈ শাসনের অনুপস্থিতি, তার উপর উপর্যুপুরি শরীয়া-বিরোধী প্রপাগান্ডা; এসবের পর আপনি মানুষকে শরীয়া আইনের কথা বলতে গেলে তারাও অন্ধ হুজুরের মতো ক্ষীরকে বক মনে করে আতকে উঠবে।

অন্যদিকে শরীয়া আইন নিজ চোখে দেখার পর একজন হিন্দু অকপটে বলতে পারবে শরীয়া আইন মানে কাবাবের গোস্ত দ্বিগুণ হয়ে যাওয়া, কারণ এখানে কেউ কাউকে ঠকাতে পারেনা। শরীয়া আইন মানে একটি গুলি খরচ না করেই শহর দখল করা, শরীয়া আইন মানে থার্ড পার্টির হামলার আশঙ্কায় সিভিলিয়ানদের রাতভর পাহারা দেওয়া, শত্রু দেশের নাগরিক হলেও রাষ্ট্রীয় সিকিউরিটিতে এয়ারপোর্ট পর্যন্ত পৌঁছে দেওয়া।

এখন বলুন, অন্ধদের ক্ষীর চেনাতে যাবেন? নাকি চক্ষু অপারেশন করে হলেও অন্ধকে চক্ষুষ্মান করবেন? কোনটা করা উচিত?

– Abdur Rahman Ad Dakhil