Get Mystery Box with random crypto!

সেই মুসলিমরা কি আজো বেঁচে আছে! যারা নিজেদের বোনদের ইজ্জত-আব্রু | Footsteps of the Ashaab

সেই মুসলিমরা কি আজো বেঁচে আছে! যারা নিজেদের বোনদের ইজ্জত-আব্রু রক্ষা করতে পারে?

মদীনার বাজারে ইহুদীদের বনু কাইনুকা গোত্রের এক স্বর্ণের দোকানে গিয়েছিলো এক মুসলিম মেয়ে। দোকানের এক ইহুদী কর্মচারী ঐ মুসলিম মেয়ের মুখের কাপড় খুলতে বলে। কিন্তু ঐ মুসলিম মেয়েটি তার মুখের কাপড় খুলতে রাজী হয় না। ঐ মুসলিম মেয়েটি যখন দোকানের একটি চেয়ারে বসে তখন ঐ ইহুদী কর্মচারী মেয়েটির পোশাকে পেরেক মেরে চেয়ারের সাথে আটকে দিলে, উঠতে গিয়ে ঐ মুসলিম মেয়েটির জামা ছিড়ে তার শরীর অনাবৃত হয়ে যায়। মেয়েটি চিৎকার দিয়ে বলে উঠে, "ওয়া ইসলামা? (ইসলাম কোথায়?)"।
মুসলিম মেয়েটির আর্তনাদ শুনে এক মুসলিম পথচারী এটা দেখে ফেলে। সে অন্য কোনো মুসলিমের আসার অপক্ষো করেনি। তার কাছে ছুরি ছিলো। ছুরিটা বের করে ওই ইহুদী বুকে বসিয়ে দেয় এবং বলে, "মুসলিমরা এখনো বেঁচে আছে। নিজেদের বোনদের রক্ষা করতে পারে।"
এটা দেখে বনু কাইনুকার অন্যান্য ইহুদীরা জড়ো হয়ে ওই ইহুদীকে হত্যার প্রতিশোধ নিতে সেই মুসলিমকে হত্যা করে ফেলে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর কাছে এই খবর পৌছায়। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) প্রশ্ন উঠান নি, "কেন লোকটা ওই ইহুদীকে হত্যা করতে গেলো?" রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বনু কাইনুকাকে অবরোধ করেন। ১৫ দিন পর তারা আত্মসমর্পণ করে। এরপর বনু কাইনুকা গোত্রের সকল ইহুদীকে মদীনা থেকে বের করে দেন।

মুহাম্মাদ ইবনু কাসিম আস-সাকাফি (রহ.) এক মুসলিম বোনকে রাজা দাহিরের কবল থেকে মুক্ত করার জন্য হিন্দুস্তানে আক্রমণ করেছিলেন।

প্রিয় পাঠকবৃন্দ, একটু ভাবুন তো-

আজকে আমাদের কত বোন তাগুতের বাহিনীর হাতে বন্দী-লাঞ্ছিত? কত শত বোন আওয়ামী গুণ্ডাদের হাতে অপমানিত-অপদস্থ?
আর কতকাল ঘুমাবেন ভাইয়েরা আমার? এখনো কি জাগবেন না? অস্ত্র হাতে তুলে নেবেন না? তাদের পাওনা বুঝিয়ে দিবেন না?

– abu ahmad

নিশ্চয়ই পাওনা বুঝিয়ে দিতে আপনি সক্ষম, লোন উলফ হামলার ঈদাদ গ্রহণ ও বাস্তবায়নের মাধ্যমে আজও আপনি পারেন পূর্বসূরি বীরদের পদাঙ্ক অনুসরণ করে উম্মাহর বোনদের উপর চলমান এই লাঞ্ছনা দূর করতে, যা ভয়ংকর ভীতির সঞ্চাররণ ঘটাবে প্রতিটি তাগুতের-দোসরের অন্তরে।