যেভাবে শায়খ উ(সা)'মা বিন লাদেন ছত্রভঙ্গ করে দিয়েছিলেন নর্দান | আন নুসরাহ || AN Nusrah
যেভাবে শায়খ উ(সা)'মা বিন লাদেন ছত্রভঙ্গ করে দিয়েছিলেন নর্দান অ্যালায়েন্সকে।
১৯৯৬ সালে তা(লে)(বা)ন কাবুল দখল করে নেয়। তখন আহমদ শাহ মাসুদের উত্তরাঞ্চলীয় জোটের সাথে তা(লে)(বা)নের পুরোদমে যুদ্ধ চলছিল। পাঞ্জেশীর ছিল মাসুদের একদম শক্ত ঘাঁটি। মাসুদকে পরাজিত করা সম্ভব হচ্ছিলো না।
ইতিমধ্যে শাইখ উ(সা)মা আফগানে চলে এসেছিলেন। সৌদি আরবের রাজপরিবার শাইখের নাগরিকত্ব বাতিল করার পর তিনি চলে যান সুদানে। পরে আমেরিকার চাপে সেখান থেকে তাকে বের করে দেওয়া হলে তিনি আফগানে চলে আসেন।
আসার পরপরই তানজিম আল (কা)য়(দা)র মুজাহিদীন তা(লে)(বা)নের কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে নর্দার্ন অ্যালায়েন্সের বিরুদ্ধে যুদ্ধে লিপ্ত হন।
মাসুদ ছিলো খুবই ধূর্ত। সে আমেরিকার কাছ থেকে টাকা নিত তা(লে)(বা)নের বিরুদ্ধে যুদ্ধের কথা বলে কিন্তু তাদেরকে ইনিয়ে বিনিয়ে বুঝাতো যে এই টাকা দিয়ে সে তেমন কোন অর্জন করতে পারেনি। আরো টাকা দিত আমেরিকা।
আহমদ শাহ মাসুদকে হত্যা করতে শায়খ উ(সা)মা এক অদ্ভুত প্ল্যান করেন। তিনি কয়েকজন মুজাহিদকে পাঠান যারা ফরাসি ভাষায় দক্ষ ছিলেন। মাসুদ ফরাসিদেরকে ভালোবাসতো তাই মু(জা)হিদগণ সাংবাদিকের বেশে মাসুদের কাছে আসলে অল্প ক'দিনের মধ্যে মাসুদের সঙ্গে তাদের বেশ সখ্যতা হয়ে যায়।
নাইন ইলেভেনের মাত্র মাসখানেক আগে মাসুদ সাংবাদিক সম্মেলনে ব্রিফিং দিচ্ছিল। ফরাসি ভাষায় দক্ষ সাংবাদিক মু(জা)(হি)দগণ উপস্থিত ছিলেন। ব্রিফিং শেষ হলে মুজাহিদগণ তাকে বললেন, আপনার একটা ছবি তুলি!
মাসুদ আনন্দের সাথে রাজি হল এবং গর্বভরে দাঁড়ালো। মু(জা)হিদ কোন ইগনিশন সুইচে চাপ দিলেন। অমনি ক্যামেরার ভিতরে লুকিয়ে রাখা বোমা বিস্ফোরণ ঘটল। ভুম....ভুম....পটাশ ।
মাসুদ মরে গেলো। সঙ্গে আল-কা(য়ে)দার এই মুজাহিদগণ শহীদ হয়ে যান।
খবর যখন আমিরুল মুমীনিন মু(ল্লা)হ উ(মা)র শুনেন, অত্যন্ত আনন্দিত হোন, শায়খ উসামাকে মুবারকবাদ জানান।
মাসুদের মত শক্তিশালী নেতার মৃত্যুতে নর্দান অ্যালায়েন্স ছত্রভঙ্গ হয়ে দিগ্বিদিক পালিয়ে যায়।
বর্তমানে নর্দান অ্যালায়েন্সের নেতৃত্ব দিচ্ছে আহমদ শাহ মাসুদের ছেলে আহমদ মাসুদ। তাদের হাতে পাঞ্জেশিরের কিছু অংশ আছে।
চিত্র: আহমেদ শাহ মাসুদ(ডানে) ও তার ছেলে আহমেদ মাসুদ . Omayer Binyameen