Get Mystery Box with random crypto!

ম উম্মাহর ওপর চালানো নির্যাতন সহ্য করতে পারিনি। যদি আমি জানতাম | আল-জামী

ম উম্মাহর ওপর চালানো নির্যাতন সহ্য করতে পারিনি। যদি আমি জানতাম না যে আমি ভুল পথে আছি। আল্লাহর কসম, যদি আমার অন্তরে কলংক থাকতো আমি খারেজ্যিয়াতের পথ থেকে ফিরে আসতে পারতাম না। ইচ্ছে করেই থেকে যেতাম। সত্য জেনেও না জানার ভান করতাম।



এবার আমি আমার প্রচারের আরো ভিন্নমাত্রা যোগ করার জন্য ফেসবুকে আইডি খুললাম। আইডি খুলে ফ্রেন্ড রিকুয়েস্ট পাঠাতে লাগলাম বিভিন্ন জনের কাছে। রিকুয়েস্ট আসতেও থাকলো।

সার্চ দিয়ে খুঁজে বের করে রিকুয়েস্ট পাঠালাম তানজিম আল ক্বাইদাহপন্থী ওই ভাইয়াটির কাছে, যার সাথে তিন চার মাস আগেও আলাপ হতো। ভাইয়াকে অনেক ভালবাসতাম।

ভাইয়া আমাকে চিনতে পারলেন ও সালাম দিলেন। আমাকে হঠাৎ দেখে তাজ্জব হলেন, এতদিন কোথায় ছিলাম জানতে চাইলেন।
বললাম, এতদিন আই-এস ও আল ক্বাইদা নিয়ে গবেষণা করেছিলাম।

ভাইয়া বললেন, গবেষণার ফলাফল কি হলো?


বললাম, ভাইয়া, দাওলাতুল ইসলামের সবগুলো বই পড়েছি। আমি এখন দাওলার সমর্থক।

"ইন্নালিল্লাহি ওয়াইন্না ইলাইহি রাজিউন", বললেন ভাইয়া।

আমি হেসে বললাম, আরে ভাই, আমি মরিনি। বেচে আছি!..................

***************


ভাইয়ের সঙ্গে দাওলা নিয়ে বেশ কয়েকবার তর্কাতর্কি হতে যাচ্ছিল। তর্কাতর্কি বেশি এগোয়নি। আমি কিংবা ভাইয়া কেউই দাওলা নিয়ে তর্কাতর্কি করে নিজেদের বন্ধুত্ব নষ্ট করতে চাইছিলাম না।


ভাইয়া প্রথমে আমাকে টেলিগ্রাম থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেললেন। কারণ ভাইয়া বললেন এখানে আমার নিরাপত্তা নেই। আমাকে আমার চ্যানেলটি কেটে দিতে বললেন। যে ওয়েবসাইটটি খুলেছি সেটাও কেটে দিতে বললেন। ফলে দাওলার খারেজীদের সঙ্গে আমার যোগাযোগের সকল গেট বন্ধ হয়ে গেল।
শুধু ভাইয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করতাম ফেসবুকে।


ভাইয়া বললেন, তুমি তো একপাক্ষিকভাবে দাওলার বই পড়েছো এতদিন। এখন তুমি আল-কায়েদার বই পড়ো। আল কায়েদার বই পড়লে তো আর গোনাহ হবে না! আমি বললাম, ঠিক আছে। বই যত ইচ্ছা পড়বো। দিতে পারেন।


ভাইয়া প্রথমেই পাঠালেন উস্তায আবু আন্ওয়ার আল হিন্দী(হাফি) এর স্কুল অফ জিহাদ। এটা পড়ে আমি বেশ শিহরিত হলাম। ৫ বার রিভাইস দিলাম বইটাকে। এরপর ভাইয়াকেও দাওলার দাওয়াত দেওয়ার জন্য বেশ কিছু বই পাঠালাম এবং পড়তে বললাম।

ভাইয়া বলল, এগুলো পড়লে তার মাথা নষ্ট হয়ে যাবে, এগুলো মিথ্যা বানোয়টে ভরা। আবার শুরু হল তর্ক-বিতর্ক। কিন্তু একপর্যায়ে ভাইয়া নিজেই এই বিতর্ক ভেঙ্গে দিলেন।

বললেন তিনি বিতর্ক করতে পারবেন না। তবে বই পাঠাবেন। ভাইয়া এরপরে ধাপে ধাপে ২/৩ টি করে বই পাঠাতে লাগলেন। আমি খুবই মনোযোগ দিয়ে পড়লাম।


ভাইয়া যুদ্ধ কৌশল সম্পর্কিত বই গুলোই বেশি করে পাঠাচ্ছিলেন। পড়ে বেশ প্রভাবিত হলাম। আল কায়েদা ও আইএস এর পার্থক্যটা বুঝতে পারলাম।


কারণ তানজিম আল কায়েদার ভাইয়ারা যুদ্ধকৌশল নিয়ে যতটা আলোচনা করেন আইএস তার শতাংশও করে না। তাদের ওয়েবসাইট আর বইগুলো হিংসা আর হিংসায় ভরা। তারা নিজেরা তাদের কল্পিত খেলাফত হারিয়েছে আর তালেবান বিজয় অর্জন করেছে এতে তাদের কোনো মতেই সহ্য হচ্ছে না। ভাইয়া অনবরত বই পাঠাতে থাকলেন। প্রতিদিনই।



আলহামদুলিল্লাহ আজ এক সপ্তাহের কিছু বেশি সময় গেল, তিন মাস ধরে খারেজিয়াতের বৃক্ষ আমার হৃদয়ে শিকড় গেড়ে বসে যাচ্ছিল আল-কায়েদার বইগুলো পড়ার মাধ্যমে মাত্র ১ সপ্তাহে আমার হৃদয় থেকে সম্পূর্ণরূপে উপড়ে গেছে
এবং ইনশাআল্লাহ নিজেকে একজন হকপন্থী মুজাহিদদের পথের পথিক হিসেবে কাটিয়ে যাব বাকি সময়টুকু।
আমি মনে করি একবার আমি সঠিক মানহাজের খোঁজ পেয়ে গেছি আমার আর কোন ফেৎনায় পড়ে সুযোগ নেই।
ইনশাআল্লাহ্।

আল্লাহপাক আমাদেরকে সব ধরনের ফেতনা থেকে হেফাজত করুন। আমীন।।



[বিঃদ্রঃ-কোনো দাওলা সমর্থক ইনবক্সে নক দিলে আমাদের উচিত হলো তাদের সাথে তর্কে না জরিয়ে ব্লক মেরে দেওয়া কারণ যারা কুরআন-হাদিস নিয়ে মিথ্যা বলতে পারে তাদের থেকে কখনোই সত্যের প্রত্যাশা করা যায় না।]

~ তানভীর ইমতিয়াজ