Get Mystery Box with random crypto!

গভীর চিন্তার বিষয়, প্রগতিবাদীরা তখন কোথায় ছিলো??? কিছুদিন | আল-জামী

গভীর চিন্তার বিষয়, প্রগতিবাদীরা তখন কোথায় ছিলো???



কিছুদিন আগে আসামে ৮ হাজার সংখ্যালঘু বাঙ্গালী মুসলিম পরিবারকে অসম রাজ্য সরকার উচ্ছেদ করেছে সেখানে কৃষি খামার বানানোর কথা বলে! বেশ কয়েকটা মসজিদ ভেঙে গুড়িয়ে দিয়েছে। এখানে কোন সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা হয়নি বরং ঠান্ডা মাথায় প্রশাসন এসে বলল তোমার বাড়ীর জায়গাটা অনেক উর্বর, সুতরাং তুমি এখান থেকে চলে যাও-আমি কৃষি কাজ করব! মগের মুল্লুক বলেন আর বিজেপি/আরএসএসের মুল্লুক বলেন এই ধরনের একটা ঘটনা ঘটল আমাদের প্রতিবেশি বাঙ্গালীদের উপর / বাঙ্গালী মুসলমানের উপর! কিন্তু বাংলাদেশের কয়জন প্রগতিবাদী এই ঘটনার প্রতিবাদ করেছে? এই মানুষগুলা কি সংখ্যালঘু ছিল না? এই মানুষগুলা কি জুলুমের শিকার হয়নি?

মিয়ানমার সেনাশাসকদের অত্যাচারে জীবন বাচাতে সেদেশের সংখ্যালঘু রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নিয়েছে। এই রোহিঙ্গাদের বাচ্চা-কাচ্ছা কেন বেশি হয় সেটা নিয়ে বঙ্গীয় প্রগতিবাদীরা নানা ট্রল করে থাকে। সংখ্যালঘু নির্যাতনকারী মিয়ানমার সরকারের সমালোচনার পরিবর্তে নির্যাতিত হওয়া সংখ্যালঘু রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে এসব প্রগতিবাদীরা ঘৃনার চাষাবাদ করে থাকে।

পাহাড়ে সংখ্যালঘু ত্রিপুরা মুসলিমদের নেতা ওমর ফারুক ত্রিপুরা যখন খুন হলেন আর অন্যসব ত্রিপুরা মুসলিমদের যখন হুমকি-ধামকি দেয়া হচ্ছিল তখন কয়জন প্রগতিবাদী এই ঘটনায় প্রতিবাদ করেছিলেন? উল্টা কিছু কিছু প্রগতিবাদী ওমর ফারুক ত্রিপুরাকে জঙ্গি অভিযোগ দেয়া শুরু করলেন! যতটুকু মনে পড়ে প্রথম আলো-তাসনীম খলিলরা এই কাজে নেতৃত্ব দিয়েছিল।

অর্থ্যাৎ বাংলাদেশের প্রগতিবাদীরা যখন দেখে নির্যাতিত ব্যক্তি / জনগোষ্ঠী সংখ্যালঘু মুসলিম তখন তারা চুপ থাকে অথবা সেই নির্যাতনকে জাস্টিফাই করে আর যখন দেখে মুসলমানদেরকে অপরাধের কাঠগড়ায় দাঁড় করানোর সুযোগ আছে তখন এরা কোমরে গামছা বেধে মুসলমান কোপানোর জন্য মাঠে নেমে পরে। এদের মাঠে নামাটা যতটা নির্যাতিত হিন্দুর প্রতি সহমর্মিতা দেখানো তার চাইতে বেশি মনের মধ্যে লালন করা মুসলিম বিদ্বেষটা উগড়ে দেয়ার জায়গা থেকে।

ভারতে যখন সংখ্যালঘু মুসলমানরা নির্যাতিত হয় তখন এরা কমন একটা যুক্তি হাজির করে থাকে- ভারতে মুসলমারা নির্যাতিত হলে সেখানে ১৮/২০ কোটি মুসলমান কিভাবে বসবাস করতেছে? ভারত তো মুসলিম জনসংখ্যার দিক থেকে দুনিয়ার তৃতীয় বৃহত্তম দেশ! অথচ এই উদ্ভট যুক্তিটা বাংলাদেশের হিন্দুদের ক্ষেত্রেও দেয়া যায়- বাংলাদেশে হিন্দুরা নির্যাতিত হলে কিভাবে এখানে প্রায় ২ কোটি হিন্দু বসবাস করতেছে? বাংলাদেশ তো হিন্দু জনসংখ্যার দিক থেকে দুনিয়ার তৃতীয় বৃহত্তম দেশ!

আমাদের প্রগতিবাদীরা নিজেদেরকে প্রগতিশীল মনে করলেও এদের মধ্যে প্রগতি নেই, আছে উগ্র বিজেপি-আরএসএসের মত মগজভর্তি মুসলিম বিদ্বেষ। সেই তুলনায় বাংলাদেশের সাধারন মুসলমানরা নিজ দেশের সংখ্যালঘু হিন্দু নির্যাতনে যেমন কথা বলে তেমনি ভারত-মিয়ানমারে সংখ্যালঘু নির্যাতন নিয়ে কথা বলে, পাহাড়ে সংখ্যালঘু ত্রিপুরা মুসলিমদের জন্য কথা বলে অর্থ্যাৎ একটা কনসিস্টেন্সি আছে।

-Nurun Nabi


@al_zami