Get Mystery Box with random crypto!

মুসলিম বিশ্ব অভিভাবকহীন ও নেতৃত্বশূন্য:প্রত্যাশা, তালেবান সেই | আল-জামী

মুসলিম বিশ্ব অভিভাবকহীন ও নেতৃত্বশূন্য:প্রত্যাশা, তালেবান সেই অভিভাবকহীন ও নেতৃত্বশূন্যতা পুরন করবে।


মুসলিম বিশ্ব অভিভাবকহীন ও নেতৃত্বশূন্য । মোড়লীপনা করছে কুফফার বিশ্ব। মুসলমান নির্যাতিত নিগৃহীত। পক্ষে বলার মত কেউ নেই। ইমরান এরদোগান রাজনৈতিক বুলি আওড়ায় মাত্র। কাজের কাজ কিছুই না। গ্লোবাল বিশ্বে নিজের অবস্থান সুসংহত করার জন্য নামে মাত্র মাঝে মাঝে কিছু ভালো কথা বলে। যেগুলো তার রাজনৈতিক অবস্থান কেই সুদৃঢ় করে। এতে নিজের একগাদা ফ্যান তৈরি হয়। মুসলিম বিশ্বের জন্য তাদের কান্নাকাটি মেকি ছাড়া কিছুই না।
তবে মুসলিম বিশ্বের অন্য নেতাদের চেয়ে কিছুটা ভালো। সেই মুনাফিকেরা মেকিও করতে জানে না। মদ নারী আর ক্ষমতা নিয়ে তাদের দিন চলছে। গায়রতহীন, আত্মমর্যাদাবোধ বিলুপ্ত হয়ে গেছে। ওদের নিজের সামনে তার মাকে বোন কে বিবিকে ধর্ষণ করলে তাদের আত্মমর্যাদাবোধ জেগে উঠবে না। পৌরুষত্বহীন মানসিক বিকলাঙ্গ এবং ব্যক্তিত্বহীন জাতী তারা। ব্যক্তিত্বের কবর রচনা করেই তারা ক্ষমতার চেয়ারে বসে আছে। তাই মুসলিম বিশ্বের আহাজারি তাদের চর্মকর্ণে পৌছেনা।
আরব দেশগুলোতে অশ্লীলতা আর বেহায়াপনার সয়লাবে অন্য মুসলিম দেশগুলোকে হতাশার কালো চাদরে ঢেকে দিয়েছে। আশায় বুক বাধা আরব দেশগুলো থেকে মুসলমান নাক ছিটকিয়ে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। দ্বীনের নিভু নিভু আলোকে তারা তাদের হটকারীতা আর কুটচালের বাতাসে নিভিয়ে দিচ্ছে। কোরআনের বিধান কে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে তারা কুফফারদের সাথে বন্ধুত্বের হাত প্রসারিত করেছে। কুফফারদেরকে নিজেদের মনিব বানিয়ে নিয়েছে আর নিজেরা গোলামে পরিণত হয়েছে। ভাবখানা এমন যে, মনে হয় তারা গোলামই ছিলো আর গোলাম থাকতেই স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে।
মুসলিম বিশ্বের এই নাজুক পরিস্থিতিতে তালেবান এবং আলকায়দা নামক উম্মাহর শ্রেষ্ঠ বীরদের আবির্ভাবে উম্মাহ কিছুটা প্রাণ পেতে শুরু করলো। আশান্বিত হচ্ছিলো যে, তাদের নবজাগরণেই মুসলমান আবার জেগে উঠবে। আবার সেই উমরী খেলাফতে বিশ্বকে শাসন করবে। পুরো বিশ্বে আবার শান্তি প্রতিষ্ঠা হবে। এই স্বপ্ন উম্মাহর মায়েরা বোনেরা এবং তরুণ নৌজোয়ানরা দেখছে। বীরদের বিজয়ে উম্মাহর ভেতরে চঞ্চলতা চেতনায় প্রেরণায় উদ্দীপনা নতুন করে শানিত হচ্ছে।
তালেবানদের বিরুদ্ধ হলুদ মিডিয়ার কাভারেজকৃত সংবাদগুলোর কমেন্ট পড়লেই বুঝা যায়। তালেবানরা মুসলিমদের কাছে কতটা প্রশংসিত এবং সমাদৃত।

কিন্তু বাধ সাধে মুসলিম নামক মুনাফিক শাসকগোষ্ঠীর হটকারীতা আর নিরবতায়।
১৫ ই আগস্টে তালেবান ক্ষমতা গ্রহণ করলেও এখনো মিলেনাই আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি। আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি দিবে কারা? সেই কুফফার বিশ্বই। তাদের স্বীকৃতি ছাড়া বৈশ্বিক সম্পর্ক গড়া ,দারিদ্রমোচন এবং বোমার আঘাতে ঝাঁঝরা হওয়া একটি দেশ কে ঢেলে সাজানো সম্ভব নয়। এমনটাই মনে করে কুফফার বিশ্ব।
তারমানে তালেবান কুফফার বিশ্বের কাছে ধরা। এইতো! ফ্রান্সের কুখ্যাত প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রো বলেছে, শর্ত মানলে তালেবানকে তারা স্বীকৃতি দিবে। এমন শর্ত যা তালেবানের পক্ষে মানা সম্ভব নয়। তারা তালেবানকে একঘরে করতে চাচ্ছে। চাইলেই মুসলিম দেশগুলো পারে, তাদের নেফাকিয়াত থেকে বের হয়ে তালেবান কে বাণিজ্য সহায়তা করতে। সৌদি কাতারকে যেভাবে অবরোধ করেছিলো , আর কাতার অন্য মুসলিম দেশের সাহায্যে সৌদিকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়েছিলো,ঠিক তেমনিভাবে তালেবানও মুসলিম দেশগুলোর সাহায্যে কুফফার বিশ্বকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখাতে পারে।
এই সময়ে মুসলিম দেশগুলো যদি এক হয়ে তালেবানকে নেতৃত্বের আসনে বসিয়ে নিজেরা হুংকার ছাড়ে , তাহলে কোথাকার জাতীসংঘ আর কোথাকার হিউম্যান আর কোথাকার স্বীকৃতি সব বাতাসে উড়বে। তখন মুসলিম বিশ্বের ঝামেলাগুলো মিটা শুরু করবে। আর কুফফাররা আবারো নত স্বীকার করে মুসলমানদের গোলামে পরিণত হতে বাধ্য হবে।

কিন্তু মুনাফিক শাসকগোষ্ঠী কি পারবে কুফফারদের লাত্থী মেরে তালেবানকে স্বীকৃতি দিতে???
এইতো ভন্ড ইমরান খান বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের উচিত তালেবান সরকারকে স্বীকৃতি দেওয়া।
অথচ এই ভণ্ড এখনো তালেবান সরকারকে স্বীকৃতি দিচ্ছে না? এদের ভন্ডামী সাধারণ মানুষ ধরতে পারে না।
ভন্ড এরদোগান বলেছে, তালেবান সরকারকে এখনই স্বীকৃতি দেওয়া বোকামী। তারা কত দিন স্থায়ী হয় সেটাই দেখার বিষয়।

এই মুনাফিকদের কারণে আজো মুসলমানরা নির্যাতিত হচ্ছে লাঞ্ছিত হচ্ছে অপদস্থ হচ্ছে।
তালেবানদের মত এরা কোরআনের পদাঙ্ক অনুসরণ করলে মুসলমান আবার প্রাণ ফিরে পাবে।

তবে আমরা তালেবানকে অভিভাবক শুন্যতা পুরনের আশা করছি।
ওয়ামা তাওফিকি ইল্লা বিল্লাহ।

মুহিউদ্দীন জামী

@al_zami